হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন কোনও হৃদ্রোধ হওয়া (হৃৎপিণ্ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া) ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একটি জরুরি চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী, ঔষধ বা যন্ত্রের সহায়তার অপেক্ষায় থেকে সময় নষ্ট না করে বারংবার (মিনিটে কমপক্ষে ১০০-১২০ বার বা সেকেন্ডে ২ বার) ব্যক্তিটির বক্ষ সঞ্চাপন করে (বুকে চাপ দিয়ে) হৃৎসংবাহন করা হয় ও প্রায়শই একই সাথে (প্রতি ৩০ বার চাপ দেওয়ার পরে বা প্রতি ১৫ সেকেন্ডে ২ বার) মুখ থেকে মুখে বাতাস ঢুকিয়ে কৃত্রিম শ্বসন নিশ্চিত করা হয়। একে ইংরেজি ভাষায় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (Cardiopulmonary Resuscitation) বা সংক্ষেপে সিপিআর (CPR) বলা হয়। স্বতঃস্ফূর্ত রক্ত সঞ্চালন ও শ্বসন ফিরিয়ে আনার জন্য পরবর্তী সমাধানগুলি প্রয়োগ করার আগ পর্যন্ত যেন রোগী বেঁচে থাকে, তার মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ক্রিয়া যেন অক্ষুণ্ণ থাকে ও সম্ভব হলে হৃৎপিণ্ড যেন আবার সচল হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তি বা রোগী হঠাৎ নিঃসাড় হয়ে পড়ে ও তার শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় বা অত্যন্ত অস্বাভাবিক হয়ে যায় (যেমন মুমূর্ষু শ্বসন), তখন এই পদ্ধতিটি প্রয়োগের সুপারিশ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রথমেই টেলিফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার নম্বরে কল করতে হবে, যাতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা যতদ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন এককভাবে জীবন বাঁচায় না, বরং স্বাস্থ্যকর্মীদের পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এই পদ্ধতিটি আক্রান্ত ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করে যেতে হয়, যাতে তার বেঁচে যাওয়ার সুযোগ-সম্ভাবনা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়। হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি প্রয়োগ না করলে প্রতি মিনিটে আক্রান্ত ব্যক্তির বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পায়।
হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন | |
---|---|
বিশেষত্ব | হৃদ্বিজ্ঞান |
আইসিডি-৯ | 99.60 |
মেশ | D016887 |
ওপিএস-৩০১ কোড: | 8-771 |
মেডিসিনপ্লাস | 000010 |
হৃদ-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি, এর আগে ও পরে করণীয় কাজগুলিকে একত্রে ইংরেজিতে "ডক্টর্স এবিসিডি" (DRSABCD) এই সংক্ষিপ্ত স্মৃতি-সহায়ক বর্ণগুচ্ছ দিয়ে মনে রাখা যায়। D অর্থ Danger (বিপদ), R অর্থ Response (সাড়া), S অর্থ Send for help (সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো), A অর্থ Airway (শ্বাসপথ), B অর্থ Breathing (নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস), C অর্থ Cardiopulmonary Resuscitation (হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন) এবং সবশেষে D অর্থ Defibrilation (হৃৎপেশিকম্প-রোধন)। এই কাজগুলি ক্রমান্বয়ে করতে হয়।
হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগে প্রথমেই খেয়াল করে নিতে হবে উদ্ধারকারী, পার্শ্ববর্তী কোনও ব্যক্তি এবং সবশেষে আঘাতপ্রাপ্ত বা অসুস্থ ব্যক্তি কোনও বিপদের সম্মুখীন কি না। অসুস্থ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে গিয়ে যেন নিজে বিপদে না পড়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করে নিতে হবে। এরপর দেখতে হবে অসুস্থ ব্যক্তিটি সচেতন কি না, অর্থাৎ কথা বললে, হাত ধরলে বা কাঁধে চাপ দিলে ব্যক্তিটি সাড়া দেয় কি না। যদি অসুস্থ ব্যক্তিটি অচেতন হয়ে যান, তাহলে প্রথমেই হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি প্রয়োগ না করে সবার আগে জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য যদি টেলিফোন নম্বর থাকে, তাহলে সেটিতে কল করতে হবে। এরপর দেখতে হবে অসুস্থ ব্যক্তির শ্বাসপথ খোলা আছে কি না এবং ব্যক্তিটির নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস চলছে কি না। নিঃসাড় ও অচেতন ব্যক্তিটির মুখ খুলে ভেতরে দেখতে হবে। যদি মুখে কিছু না থাকে, তাহলে থুতনি আলতো করে উঠিয়ে মাথা পেছনে হেলিয়ে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। মুখে যদি কিছু থাকে, তাহলে ব্যক্তিটিকে পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে মুখ খুলে মুখের ভেতরে পরিস্কার করিয়ে নিয়ে তারপর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করতে হবে।
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করার একটি উপায় হল ব্যক্তিটির বুক উপরে-নিচে ওঠানামা করছে কি না, তা খেয়াল করা। এছাড়া মুখ ও নাকের কাছে কান নিয়ে শুনেও এই পরীক্ষা করা যায়। বুকের নিচের অংশে হাত স্থাপন করেও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের অনুভূতি নেওয়া যায়। যদি ব্যক্তিটি অচেতন হয় কিন্তু নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চালু থাকে, তাহলে তাদেরকে পাশ ফিরিয়ে শুইয়ে দিতে হবে এবং যত্নের সাথে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের মাথা, ঘাড় ও মেরুদণ্ড যেন একই সরলরেখায় থাকে। এরপর কিছুক্ষণ পর পর শ্বাসপ্রশ্বাস পরীক্ষা করে যেতে হবে যতক্ষণ না অ্যাম্বুলেন্স না এসে পৌঁছায়। যদি ব্যক্তিটি অচেতন থাকে এবং তার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে, তবে হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
এই পদ্ধতিটি দুইজন উদ্ধারকারী বা প্রয়োগকারী সম্পাদন করলে ভালো হয়। একজন উদ্ধারকারী আক্রান্ত ব্যক্তিকে মেঝেতে বা শক্ত সমতল জায়গায় চিৎ করে শুইয়ে তার একটি হাতের তালুর গোড়া আক্রান্ত ব্যক্তির বুকের উরোস্থির (বুকের মধ্যভাগে অবস্থিত লম্বা চ্যাপ্টা হাড়) উপর স্থাপন করেন এবং অপর হাতটি প্রথম হাতের উপরে রেখে দুই হাতের আঙুলগুলি একে অপরের ভেতরে রেখে শক্ত করে আঁকড়ে রাখেন। এরপর হাতের উপরে যেন কাঁধ থাকে এমন অবস্থানে গিয়ে রোগীর নিঃশ্বাস নির্গমনের সময় শুধু হাতের জোর দিয়ে নয়, বরং শরীরে সমস্ত ওজন ব্যবহার করে সোজা নিচের দিকে চাপ প্রয়োগ করেন; এরপর হাত দুইটি আগের অবস্থানে রেখেই চাপ সরিয়ে নেন যাতে বুক আবার স্বাভাবিক অবস্থানে উঠে ফেরত আসে। এভাবে অ্যাম্বুলেন্স আসার আগ পর্যন্ত বা ক্লান্ত না হবার আগ পর্যন্ত একজন প্রাপ্তবয়স্ক আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ৫ থেকে ৬ সেন্টিমিটার (২ থেকে প্রায় আড়াই ইঞ্চি) গভীর পর্যন্ত মিনিটে কমপক্ষে ১০০ থেকে ১২০ বার বক্ষ সঞ্চাপন করতে হয়। চাপ এতটা জোরে দিতে হবে যেন হৃৎপিণ্ডের ভেতরের রক্ত উপরে উঠে গিয়ে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এই ব্যাপারটিকে বাহ্যিক হৃৎসংবাহন বলে। এইরূপ বক্ষ সঞ্চাপনের পাশাপাশি আরেকজন উদ্ধারকারী কৃত্রিম শ্বসন প্রদান করতে পারেন; এজন্য তিনি চিৎ করে শোয়ানো আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীর মাথা আস্তে করে পেছনের দিকে হেলিয়ে দিয়ে ২টি আঙুলের সাহায্যে থুতনি বা চোয়াল উঠিয়ে ধরে রেখে ও রোগীর নাক আঙুলে চেপে বন্ধ ধরে নিজের মুখ রোগীর মুখের উপরে সম্পূর্ণ লাগিয়ে জোরে ও স্থিরভাবে ১ সেকেন্ড ধরে ফু দিয়ে নিঃশ্বাসবায়ু রোগীর শ্বাসপথে প্রবেশ করান (মুখ-থেকে-মুখে পুনরুজ্জীবন) এবং খেয়াল রাখেন যে রোগীর বক্ষদেশ প্রসারিত হচ্ছে অর্থাৎ উঁচু হচ্ছে কি না, যা নির্দেশ করবে যে নিশ্বাসবায়ু ফুসফুসে প্রবেশ করছে। এরকম দুই সেকেন্ড সময় ধরে দুইবার রোগীর মুখে নিঃশ্বাসবায়ু ঢোকাতে হয়। তারপর আবার বক্ষ সঞ্চাপন শুরু করতে হয়। সাধারণত প্রতি ৩০টি বক্ষ সঞ্চাপনের পর ২ বার মুখে শ্বাস দিতে হয় (অর্থাৎ বক্ষ সঞ্চাপন ও শ্বসনের অনুপাত ৩০:২)। প্রয়োগকারীর নিশ্বাসবায়ুতে সাধারণত শতকরা ১৫ ভাগ অক্সিজেন থাকে, যা বিপদকালীন সময়ে রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। উপরের দুইটি প্রক্রিয়ার (বাহ্যিক হৃৎসংবাহন বা বক্ষ সঞ্চাপন এবং কৃত্রিম মুখ-থেকে-মুখে শ্বসন) সম্মিলিত রূপকেই হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরীজ্জীবন পদ্ধতি বলা হয়।
হাসপাতালে সম্ভব হলে একটি যন্ত্রের সাহায্যে আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসে বাতাস ঢোকানো যায় (যান্ত্রিক শ্বসন)। তবে বর্তমান সুপারিশগুলিতে কৃত্রিম যান্ত্রিক শ্বসনের পরিবর্তে দ্রুত ও উচ্চ গুণমানের হৃদ্-সংবাহন বা বক্ষ সঞ্চাপনের উপরে বেশি জোর দেওয়া হয়। অপ্রশিক্ষিত উদ্ধারকারীদের জন্য একটি সরলীকৃত হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতি (যাতে কেবলমাত্র বক্ষ সঞ্চাপন প্রয়োগ করা হয়) সুপারিশ করা হয়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বক্ষ সঞ্চাপন করলে পরিণাম আরও খারাপ হতে পারে, কেননা শিশুদের ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের সমস্যার তুলনায় ফুসফুসীয় বা শ্বাসযন্ত্রীয় সমস্যা ঘটার সম্ভাবনা বেশি।
হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতিটিতে হৃৎপিণ্ড পুনরায় সম্পূর্ণরূপে ও স্বাভাবিকভাবে সচল হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই পদ্ধতিটির মূল উদ্দেশ্য মস্তিষ্কে ও হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তের আংশিক প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল কলামৃত্যু বিলম্বিত করা এবং মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি ছাড়াই যেন রোগীকে সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, সেই সংক্ষিপ্ত সুযোগের মুহূর্তটির স্থায়িত্বকাল যথাসর্বোচ্চ সম্ভব দীর্ঘ করা। এই পদ্ধতি ঠিকভাবে প্রয়োগ হলে হৃৎপিণ্ড কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিটের ভেতরে স্পন্দিত হতে শুরু করতে পারে ও রোগীর চেতনা ফেরত আসতে পারে। তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী নয়। হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবনের ফলে এমন একটি হৃৎ-ছন্দ উৎপাদন হতে পারে, যা বৈদ্যুতিক অভিঘাতযোগ্য। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি বা রোগীর হৃৎপিণ্ডে টেকসই ও রক্তসিঞ্চনকারী (পারফিউজিং) হৃৎ-ছন্দ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সাধারণত হৃৎপিণ্ডে বৈদ্যুতিক অভিঘাত (ইলেকট্রিক শক) দেওয়া (যাকে হৃৎপেশীকম্পনরোধ বা ডিফিব্রিলেশন বলে) আবশ্যক। এজন্য একজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী হৃৎপেশীকম্পনরোধক যন্ত্র (ডিফিব্রিলেটর) ব্যবহার করে এই বৈদ্যুতিক অভিঘাতের কাজটি সম্পাদন করেন। কিছু উন্নত দেশে প্রতিটি মহল্লাতেই নির্দিষ্ট স্থানে সহজে বহনযোগ্য ও অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের জন্যও ব্যবহারযোগ্য স্বয়ংক্রিয় বহিঃস্থ হৃৎপেশীকম্পরোধক যন্ত্র (Automated External Defibrilator, অটোমেটেড এক্সটার্নাল ডিফিব্রিলেটর বা সংক্ষেপে AED এইডি) লভ্য থাকতে পারে। যথোপযুক্ত ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেরি না করে বৈদ্যুতিক অভিঘাত প্রদানের সুপারিশ করা হয়। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে স্বতঃস্ফূর্ত রক্ত সঞ্চালনের প্রত্যাবর্তন ঘটার আগ পর্যন্ত হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন চালিয়ে যেতে হয়। নতুবা তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হৃৎপেশীকম্পনরোধ বিশেষ কিছু হৃৎছন্দের জন্য কার্যকর, যথা নিলয়ের হৃৎপেশীকম্পন বা নাড়িবিহীন নিলয়জনিত হৃদ্দ্রুতি। এর বিপরীতে হৃৎসংকোচন বা নাড়িবিহীন বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়। বৈদ্যুতিক অভিঘাতের পরে স্বাভাবিক হৃৎছন্দ প্রতিষ্ঠিত হলে রোগীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয় যাতে তাঁর সুস্থ জীবনযাপনের গুণমান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়।
হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন পদ্ধতিটিতে রোগীর যকৃৎ সামান্য ছিঁড়ে যেতে পারে, ফুসফুসের কিছু জখম হতে পারে এমনকি পাঁজরের হাড় ভেঙে যেতে পারে, তবে এই জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণের সংকটকালীন মুহূর্তে এইসব ক্ষতি রোধ করার চেয়ে রোগীর হৃৎপিণ্ড ও শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া আংশিক সচল রেখে তার জীবন বাঁচানো অনেক বেশি জরুরি।
যদি অবশ্বসন হৃদরোধের একমাত্র বা প্রধানতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয় (আফিম-সদৃশ ঔষধ বা মাদক কিংবা অন্যান্য অবশ্বসন সৃষ্টিকারী ঔষধের কারণে), তাহলে শ্বসনে সহায়তা প্রদান ও রোগীকে পাশে ফিরিয়ে শোয়ানোই প্রথম কাজ, যাতে বমিকারক প্রতিবর্ত ক্রিয়া অবদমিত হয়।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article হৃদ্-ফুসফুসীয় পুনরুজ্জীবন, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.