ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মানভূম ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকায় এককের মানে বিভিন্নতা পরিদৃষ্ট হয়।
বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজে ব্যবহার্য দুই প্রকার পরিমাপ হলো শতাংশের হিসাব ও কাঠা'র হিসাব। এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক এই যে, এক একরের এক শত ভাগের এক ভাগকে বলা হয় "এক-শতাংশ" জমি। অধিকতর প্রচলিত শব্দবন্ধ হলো "এক ডেসিমাল জমি"। অন্যদিকে কাঠার উর্ধ্বতর একক হলো "বিঘা" এবং বিঘা'র উর্ধ্বতর একক হলো "একর।" ২০ কাঠা সমান এক বিঘা জমি এবং তিন বিঘা সমান এক একর জমি। এই পরিমাপ সর্বজনীন, এবং "প্রমিত মান" (Standard Measurement) হিসেবে সরকারীভাবে অনুমোদিত।
টিকা: কোন ভূমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফল যদি ৪৮৪০ বর্গগজ হয় তাহলে এটা ১ একর হবে। যেমনঃ ভূমির দৈর্ঘ্য ২২০ গজ এবং প্রস্থ ২২ গজ সুতরাং ২২০×২২ গজ = ৪৮৪০ বর্গগজ।
টিকা: একশত শতাংশ বা, এক হাজার সহস্রাংশ বা, দশ হাজার অযুতাংশ = ১ একর। দশমিক বিন্দুর (.) পরে চার অঙ্ক হলে অযুতাংশ পড়তে হবে।
বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের আশেপাশের ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে বিভিন্ন প্রকারের ভূমি পরিমাপে মাপ-ঝোক প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো কানি-গন্ডা, বিঘা-কাঠা ইত্যাদি। অঞ্চল ভেদে এই পরিমাপগুলোর আয়তন বিভিন্ন রকমের হয়ে তাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমির পরিমাপ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হলেও সরকারি ভাবে ভূমির পরিমাপ একর, শতক পদ্ধতিতে করা হয়। সারাদেশে একর শতকের হিসাব সমান।
কানি: কানি দুই প্রকার। যথা -
কাচ্চা কানি: ৪০ শতকে এক কাচ্চা কানি। কাচ্চা কানি ৪০ শতকে হয় বলে একে ৪০ শতকের কানিও বলা হয়।
সাই কানি: এই কানি কোথাও ১২০ শতকে ধরা হয়। আবার কোথাও কোথাও ১৬০ শতকেও ধরা হয়।
কানি গন্ডার সাথে বিভিন্ন প্রকারের পরিমাপের তুলনা:
ছটাক, বিঘা এবং কাঠার হিসাব
ভূমির পরিমাপ পদ্ধতি সঠিক এবং সহজ করার জন্য ইংরেজ বিজ্ঞানী এডমন্ড গান্টা এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তিনি ভূমি পরিমাপের জন্য ইস্পাত দ্বারা এক ধরনের শিকল আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে তার নাম অনুসারেই এই শিকলের নামকরণ করা হয় গান্টার শিকল। আমাদের দেশে গান্টার শিকল দ্বারা জমি জরিপ অত্যন্ত জনপ্রিয়। একর, শতক এবং মাইলষ্টোন বসানোর জন্য গান্টার শিকল অত্যন্ত উপযোগী। এই শিকলের দৈর্ঘ্য ২০.৩১ মিটার (প্রায়) বা ৬৬ ফুট।
গান্টার শিকল ভূমি পরিমাপের সুবিধার্থে একে ১০০ ভাগে ভাগ করা হয় থাকে। এর প্রতিটি ভাগকে লিঙ্ক বা জরিপ বা কড়ি বিভিন্ন নামে ডাকা হয়।
দৈর্ঘ্য ১০ চেইন × প্রস্থে ১ চেইন = ১০ বর্গ চেইন = ১ একর
আমাদের দেশে জমি-জমা মাপ ঝোকের সময় চেইনের সাথে ফিতাও ব্যবহার করা হয়। সরকারি ভাবে ভূমি মাপার সময় চেইন ব্যবহার করা হয় এবং আমিন বা সার্ভেয়ার ইত্যাদি ব্যক্তিগণ ভূমি মাপার সময় ফিতা ব্যবহার করেন। ভূমির পরিমাণ বেশি হলে চেইন এবং কম হলে ফিতা ব্যবহার করাই বেশি সুবিধাজনক।
গান্টার শিকলে ১০ লিঙ্ক বা ৭৯.২ ইঞ্চি পর পর নস বা ফুলি স্থাপন করা হয়
২০ লিঙ্ক বা ১৫৮.৪ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৩০ লিঙ্ক বা ২৩৭.৩ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৪০ লিঙ্ক বা ৩১৬.৮ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৫০ লিঙ্ক বা ৩৯৬.০ ইঞ্চি পর স্থাপিত হয়
৮০ গান্টার বা ১৭৬০ গজ পর স্থাপিত হয় - মাইল ষ্টোন
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ভূমি পরিমাপ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.