পাল শাসনের পর বাঙালি পৃথক ও সতন্ত্র জাতি হিসাবে প্রকাশিত হয়। গুপ্ত যুগে স্থাপত্য ও শিল্পে যে উত্কর্ষতা লাভ করেছিল তা পাল যুগে আরও সমৃদ্ধ হয়। বাংলার শিল্পের এই ধারাটিকে পূরবী ধারা বলা হয়। সেই সময় বিতপাল, ধীমান ছিলেন পূর্বী ধারার বিখ্যাত শিল্পী। সেই সঙ্গে টেরাকোটা শিল্পেরও প্রভূত উন্নতি হয়। পাহাড়পুরের মন্দিরের (আনুমানিক খ্রিষ্টীয় নবম শতক) টেরাকোটার অনেক উৎকৃষ্ট নিদর্শন পাওয়া গেছে।
পুরো বঙ্গ অঞ্চল ধরেই বাংলার মন্দির স্থাপত্য রীতির বিকাশ ঘটেছিল। বাংলার পশ্চিমে মালভূমি অঞ্চলে প্রথ দিকে বিস্তার একটু বেশি হলেও পরের দিকে সারা বাংলা জুড়েই মন্দির শিল্পরীতির নিদর্শন পাওয়া যায়।
বঙ্গীয় ধারায় যে সকল মন্দির হয়েছিল সেগুলো পূর্বে বর্তমান বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের পূর্বাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই বিশাল অঞ্চল জুড়ে বঙ্গীয় শিল্পরীতিতে মন্দির তৈরি হয়েছে।
বাংলার মন্দির গুলিকে স্থাপত্য শৈলী হিসাবে মূলত ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
এছাড়াও কিছু মৌলিক মন্দির দেখা যায়।
মূল নিবন্ধ: চালা শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
চালা শিল্পরীতির বাংলার সমাজজীবনের প্রতিফলন দেখা যায়। এটি খড়ের চালা দাওয়া মাটির ঘরের আদলে তৈরী। এই শিল্পরীতির প্রধান বৈশিষ্ট চলার বাঁকানো শীর্ষ ও কার্নিশ। এটিও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত।
মূল নিবন্ধ: রত্ন শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
রত্ন মন্দির চালা মন্দিরের একটি সম্প্রসারিত শিল্পরীতি। চালা শিল্পরীতির মন্দিরের উপর চূড়া বসানো থাকলে তখন তাকে রত্ন মন্দির বলা হয়। রত্ন মন্দিরের বিশেষত্ব হলো চালার বাঁকানো কার্নিশ। চূড়ার সংখ্যা হিসাবে একে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
মূল নিবন্ধ: দালান শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
চালা ও রত্ন রীতির শিল্পরীতিতে বাঁকানো কার্নিশ ও ঢালু ছাদের ব্যবহার করা হতো। পরবর্তিতে বাঁকানো কার্নিশ ও ঢালু ছাদের পরিবর্তন করে সোজা কার্নিশ ও সমতল ছাদের শিল্পরীতিকে দালান শিল্পরীতি বলা হয়। এইটকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
এদেরও আরও কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
মূল নিবন্ধ: মঞ্চ শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
মঞ্চ বা স্টেজের মত করে মন্দির করাকেই মঞ্চ শিল্প ধারার স্থাপত্য বলা হয়। নানা ধর্মীয় উত্সবের সময় বিগ্রহ এনে মঞ্চে বসানো হত বলে চার দিক থেকে দেখতে পাওয়ার জন্য খিলান সহযোগে খোলা থাকে। তবে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। এর কয়েকটি ধরন হলো -
মূল নিবন্ধ: মঠ
মূল নিবন্ধ: দেউল (স্থাপত্য)
বাংলার সবথেকে আগের মন্দিরগুলোর মধ্যে দেউল অন্যতম। খ্রিস্টিয় ষষ্ঠশতক থেকে দেউল শিল্পরীতির বিকাশ ঘটে। এরপর মুসলিম শাসনেঁর পর অন্ত-মধ্য যুগে বাংলায় দেউল শিল্পে এক নবজাগরণ আসে। বাংলায় চালা শিল্পরীতি স্থানীয় মানুষের আপন হলেও পঞ্চদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ১৬ শতকের মধ্যে দেউল স্থাপত্য রীতির প্রভূত উন্নতি হয়।
দেউল শিল্পরীতিকে মোটামুটি তিনটে প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article বাংলার মন্দির স্থাপত্য, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.