পম্পেই

পম্পেই নগরী (লাতিন: Pompeii, ইতালীয়: Pompei) হল একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান ছোট নগর বা শহর; ইতালির কাম্পানিয়া অঞ্চলের আধুনিক নেপলসের (নাপোলি) কাছে পম্পেই ইউনিয়নে এর অবস্থান। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতে আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্নুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ৬০ ফুট উঁচু ছাই এবং ঝামা পাথর এর নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়।

পম্পেই নগরীর প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা, হেরকুলেনিয়াম, এবং তোররে আনুনজাতা
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
A quiet street in Pompeii
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: iii, iv, v
সূত্র৮২৯
তালিকাভুক্তকরণ১৯৯৭ (২১শ সভা)
স্থানাঙ্ক40°44'58"N 14°29'5"E
পম্পেই
পম্পেইয়ের একটি বাড়ি

এর ঠিক ১৭ বছর আগে, ৬২ খ্রিস্টাব্দেও একটি ভয়াবহ ভূকম্পনের ফলে কাম্পানিয়া অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পম্পেই নগরী এবং পার্শ্ববর্তী হেরকুলেনিয়াম ও অন্যান্য শহরেও তার অভিঘাতে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পম্পেই নগরীও এতে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু সাথে সাথেই এর পুনর্নিমাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। ১৭ বছর পরে, যখন পুণর্নিমাণ কাজ একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলো (যদিও বাসস্থানগুলোকে তখনও অনেকাংশেই পুনরুদ্ধার করার দরকার ছিল), এই শহর এবং তার হতভাগ্য বাসিন্দারা প্রাচীন ইতিহাসের একটি অন্যতম দুর্ভাগ্যজনক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকারে পরিণত হয়। কারলো দি বোরবোনে-এর আর্থিক সহায়তায় শহরটি ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় মাটির নিচ থেকে আলোতে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় প্রত্নত্তাত্ত্বিক অঞ্চল যা সর্বাপেক্ষা বেশি পরিদর্শন করা হয়েছে। পম্পেই নগরীর সাথে পার্শ্ববর্তী শহর হেরকুলেনিয়াম এবং অপলন্তেসকেও ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে এই স্থানটিকে ২,২৫৩,৬৩৩ জন পরিদর্শন করেছিলেন। আজ, ইতালির সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণের একটি হলো এই নগরী।

পুনরাবিস্কার

পম্পেই ও হেরকুলেনিয়াম ছিল ইতালির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আধুনিক নেপলস বা নাপোলি শহরের কাছে অবস্থিত দু'টি প্রাচীন রোমান শহর। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে পার্শ্ববর্তী ভিসুভিয়াস পর্বতের অগ্নুৎপাতে শহরদু'টি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় ও প্রায় ৪ - ৬ মিটার আগ্নেয় ছাই'এর তলায় চাপা পড়ে। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে একটি খাল খননের সময়ে আর্কিটেক্ট দোমেনিকো ফনতানা এখানে বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন খুঁজে পান। তবে সেই সময়েও তাকে যথাযথ গুরুত্বপ্রদান করা হয়নি। পরবর্তীকালে পুনরায় খননকার্য চালিয়ে ১৭৩৮ সালে হেরকুলেনিয়াম ও ১৭৪৮ সালে পম্পেই নগরীর ধ্বংসাবশেষ পুনরাবিস্কৃত হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

ইতালিইতালীয় ভাষাউইকিপিডিয়া:তথ্যসূত্র প্রয়োজনকাম্পানিয়াঝামা পাথরনাপোলিরোমান সাম্রাজ্যলাতিন ভাষা৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতের অগ্ন্যুৎপাত

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মাযহাবফ্রান্সিস স্কট কী সেতু (বাল্টিমোর)উদ্ভিদকোষঅরবিন্দ কেজরীওয়ালউমাইয়া খিলাফতকাফিরজিয়াউর রহমানশীর্ষে নারী (যৌনাসন)মুহাম্মাদের নেতৃত্বে যুদ্ধের তালিকাবাংলা ভাষায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকাভারতের ইতিহাসমূত্রনালীর সংক্রমণরবীন্দ্রসঙ্গীতইসলামে যৌনতাপাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারই-মেইলমরিয়ম বিনতে ইমরানপল্লী সঞ্চয় ব্যাংককলকাতা নাইট রাইডার্সজীবনানন্দ দাশচিরস্থায়ী বন্দোবস্তআয়াতুল কুরসিসত্যজিৎ রায়সূরা লাহাবসংস্কৃত ভাষাজয়নুল আবেদিনইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিউসমানীয় উজিরে আজমদের তালিকাতাওরাতপৃথিবীমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়সলিমুল্লাহ খানঋগ্বেদসালমান এফ রহমানশাহবাজ আহমেদ (ক্রিকেটার)স্টকহোমখুলনাক্রিস্তিয়ানো রোনালদোচেন্নাই সুপার কিংসসিরাজগঞ্জ জেলাপাল সাম্রাজ্যহেপাটাইটিস সিভগবদ্গীতাফিতরাজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)ক্রিয়াপদমীর মশাররফ হোসেনজীববৈচিত্র্যবাংলাদেশের বিভাগসমূহ১৯৭১ বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডনেপালআলিমক্কাপারাজিমেইলদক্ষিণ কোরিয়ানাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ভারতের জাতীয় পতাকাদুর্গাপূজাহেপাটাইটিস বিজহির রায়হানগজলওপেকবাংলাদেশ আনসারমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজাকির নায়েকমহাসাগরআইজাক নিউটনএম এ ওয়াজেদ মিয়াপহেলা বৈশাখপিনাকী ভট্টাচার্যভূগোলমদিনানিউমোনিয়াসৈয়দ মুজতবা আলীনিরাপদ যৌনতাবাঙালি হিন্দু বিবাহগুগল🡆 More