নিউক্লিয়ার প্রকৌশল হল প্রকৌশলবিদ্যার একটি ফলিত শাখা যেখানে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভাংগন(ফিশন), গঠন(ফিউশন) , তেজস্ক্রিয়তা ও নিউক্লিয় পদার্থবিদ্যা সংক্রান্ত ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এই প্রকৌশলবিদ্যার একটি শাখা হল নিউক্লিয়ার ফিশন, যেখানে মূলত পারমাণবিক চুল্লির নকশা, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ এবং এর সঠিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচিত হয়। এছাড়াও অন্যান্য শাখার মধ্যে রয়েছে মেডিকেল ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় তেজস্ক্রিয়তার প্রয়োগ(মুলত আয়নিত তেজস্ক্রিয়তার প্রয়োগ), নিউক্লিয়ার ফুয়েল ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ধাতুর জীবনচক্র, নিউক্লিয়ার শক্তির নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার বর্জ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ, নিউক্লিয়ার ফিউশন, ইত্যাদি।
নিউক্লিয়ার ফিশন হলো একটি সংবেদনশীল পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ২টি ভিন্ন অংশে ভাগ হয়ে যাওয়া, ছোট ক্ষুদ্র অংশ ও অন্যান্য কণা যেমন নিউট্রন। প্রায় ২.৪ নিউট্রন বের হয় প্রতিটি ফিশনে যা অতিরিক্ত ফিশনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় যদি যথেস্ট পরিমাণে ফিশনযোগ্য উপাদান উপস্থিত থাকে। নিউক্লিয়ার ফিশনের সাধারণ প্রকার হলো তাপীয় ফিশন যা সংগঠিত হয় তুলনামূলকভাবে ধীর তাপীয় নিউট্রনের যার গতিশক্তি প্রায় ০.০২৫ eV, শোষণের ফলে। দ্রুত ফিশন হলো ফিশন যা আরো শক্তিসম্পন্ন নিউট্রনের শোষণের ফলে সৃষ্ট হয় যার গতিশক্তি থাকে MeV শ্রেণীতে। বিশেষ করে ভারী নিউক্লিয়াস সমূহে স্বতস্ফূর্ত ফিশন ঘটতে পারে। নিউক্লিয়াস সমূহ যা নিউট্রনের মাধ্যমে ফিশনযোগ্য সাধারণত বহন করে স্বতস্ফূর্ত ফিশনের কমপক্ষে একটি ভীষণ ক্ষুদ্র সুযোগ। সাধারণভাবে, তাপীয় ফিশন ব্যবসায়িক রিঅ্যাকটরে ব্যবহৃত হয়, যদিও ফাস্ট ব্রিডার রিঅ্যাকটর সাঁজোয়া দ্রুত ফিশনে উন্নীত হয়। আমেরিকা শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুত পেয়ে থাকে নিউক্লিয়ার ক্ষমতা থেকে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার শিল্পে বা জাতীয় গবেষণাগারে এই ক্ষেত্রের নিউক্লিয়ার প্রকৌশলীরা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কাজ করে থাকে। বর্তমানে এই শিল্পে গবেষণা সরাসরি সংগঠিত হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী এবং পরোক্ষ নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্য সংবলিত দ্রত উৎপাদন রোধক রিঅ্যাকটরের নকশা উদ্ভাবনে। যদিও সরকারের গবেষণাগারের গবেষণা সংগঠিত হচ্ছে একই ক্ষেত্রে, তারা আরো অসংখ্যা ব্যাপার নিয়ে যেমন নিউক্লিয়ার জ্বালানী এবং নিউক্লিয়ার জ্বালানীর চক্র,উপরের স্তরের রিঅ্যাকটরের নকশা এবং নিউক্লিয়ার অস্ত্রের নকশা এবং তত্ত্বাবধান নিয়েও গবেষণা করে। আমেরিকার রিঅ্যাকটর সুবিধার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একটি মূল ভরসার জায়গা হলো নৌ বাহিনীর নিউক্লিয়ার কর্মসূচী।
নিউক্লিয়ার ফিউশন এবং প্লাজমা পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত আছে উচ্চ তাপমাত্রা, প্লাজমা গতিবিদ্যা এবং বিকিরণ প্রতিরোধক উপাদান। আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণা চলছে প্রোটোটাইপের টোকামাক গঠন করতে যার নাম হলো আইটিইআর। আইটিইআরের গবেষকরা প্রাথমিকভাবে অস্থির ও অন্যধরনের নকশার পরিশোধন করছে। আমেরিকার গবেষকরা একটি জড়তাগ্রস্ত সীমাবদ্ধ পরীক্ষা চালাচ্ছেন যাকে বলা হচ্ছে জাতীয় জ্বালানী সুবিধা বা এনআইএফ। এনআইএফকে ব্যবহার করা হবে নিউট্রনের পরিবহনের গণনার পরিশোধনের জন্য আমেরিকার দুর্লভ কাঁচামালের মজুদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো মেডিক্যাল পদার্থবিজ্ঞান এবং এর উপক্ষেত্রসমূহ যেমন নিউক্লিয়ার ঔষধ,বিকিরন থেরাপি,স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান এবং রোগনির্ণয়ের চিত্র তৈরি। এম আর আই থেকে পিইটি , এক্স রে মেসিন এবং অন্যান্য আরো ক্ষেত্রে মেডিক্যাল পদার্থবিজ্ঞান সরবরাহ করে সবচেয়ে আধুনিক রোগ নির্ণয়ের ক্ষমতা সাথে অনেক রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থা।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article নিউক্লিয়ার প্রকৌশল, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.