দিনাজপুর জমিদারি উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা আজও কোন সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। প্রচলিত কিংবদন্তি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ নামের ব্যক্তি দিনাজপুর রাজ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা এবং তার নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। যখন মুর্শিদকুলি খান কর্তৃক সুবা বাংলায় জমিদারী ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়, সে সময় তিনি দিনাজপুরের জমিদার হিসাবে জমিদারী সনদ প্রাপ্ত হন। পরবর্তীকালে বৃটিশ শাসনামলে ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে বৃটিশরা নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে এ জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি সম্ভবত http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0_%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF (DupDet · অনুলিপি-লঙ্ঘন) থেকে হুবহু বা আংশিকভাবে নকল করে নিবন্ধে যুক্ত করা হয়েছে, যা উইকিপিডিয়ার কপিরাইট নীতিমালা লঙ্ঘনের শামিল। অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট অংশের ভাষা সম্পাদনা করে কিংবা কপিরাইটকৃত লেখা অপসারণ করে কিংবা একই বিষয়ের জন্য লভ্য কপিরাইটমুক্ত বিষয়বস্তু যোগ করা অথবা নিবন্ধটিকে (বা অনুচ্ছেদটিকে) মুছে ফেলার জন্য ট্যাগ যোগ করে [১] এই সমস্যার সমাধান করুন। দয়া করে নিশ্চিত হোন যে কপিরাইট লঙ্ঘনের অনুমিত উৎসটি নিজেই উইকিপিডিয়ার একটি আয়না (মিরর) নয়। (জুন ২০২০) |
মুগল সম্রাট আকবর-এর শাসনামলে ব্রহ্মচারী ও মোহন্ত হিসেবে পরিচিত কাশী ঠাকুর নামক একজন সন্ন্যাসী দিনাজপুর ও মালদা জেলায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অধিকারী হন। কাশী ঠাকুর নিজেকে রাজা গণেশ-এর বংশোদ্ভূত বলে দাবি করতেন। জানা যায়, তিনি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি তাঁরই প্রিয়ভাজন কায়স্থ শিষ্য শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরীকে উইল করে দিয়ে যান। পরবর্তীকালে এ সম্পত্তি শ্রীমন্তের দৌহিত্র সুখদেব উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। সুখদেব রংপুর, বগুঁড়া ও মালদা, দিনাজপুর এবং বগুঁড়ায় প্রতিষ্ঠিত জমিদারির উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন। তিনি এ জমিদারি দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও-এর অন্তর্ভুক্ত ঘোড়াঘাট, নবাবপুর, ক্ষেতলাল, শিবগঞ্জ, পাঁচবিবি, বদলগাছি ও আদমদীঘি থানায় সম্প্রসারণ করেন।
বিশাল এ জমিদারির বিবেচনায় সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৭৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূুষিত করেন। ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র প্রাণনাথ উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। তিনিই ছিলেন পরিবারের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ক্ষমতাবান ব্যক্তি।
দেওয়ানি শাসনামলের শুরুতে দিনাজপুর জেলার আয়তন খুব বড় ছিল না বলে মীর কাশিমের আমলে জমিদারদের চাপের মুখে থাকতে হতো। নবাবি আমল বিলুপ্তির পর দেওয়ানি শাসনামলে দিনাজপুরের রাজা তার জমিদারীর আয়তন বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হন। যারফলে পার্শ্ববর্তী বিচ্ছিন্ন কিছু কিছু অঞ্চল এ জমিদারের অর্ন্তভূক্ত হয়। জেমস্ রেনেলের বিবরণ অনুযায়ী ১৭৮৪ খ্রিষ্টাব্দে দিনাজপুরের আয়তন ছিল ৩,৫১৯ বর্গমাইল। রেনেলের বিবরণের পর বুকানন হ্যামিল্টনের বিবরণে জানা যায় যে, দিনাজপুরের আয়তন ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছিল যা ওয়াল্টার হ্যামিল্টনের মন্তব্যে জানা যায়। স্থায়ী বন্দোবস্ত করা কালে দিনাজপুরের আয়তন ক্রমশই বৃদ্ধি হতে থাকে। ইদ্রকপুর জেলার প্রায় সমগ্র জেলা, শিলবাড়ী বা শালবাড়ী জেলার কিছু অংশ এবং মালদহ জেলার অধিকাংশ দিনাজপুরের অন্তর্ভুক্ত হয়। বুকানন হ্যামিল্টনের জরিপ অনুযায়ী আয়তনের পরিমাণ ছিল ৫,৩৭৪ বর্গমাইল।
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করার সময় দিনাজপুর জমিদারি বাংলার সবচেয়ে বড় জমিদারিগুলোর একটি ছিল। দিনাজপুর জমিদারি এ সময় তৃতীয় বৃহত্তম জমিদারি ছিল। এ জমিদারির অনুমিত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৪,৮৪,০০০ সিক্কা রুপি। বর্ধমান ও রাজশাহীর জমিদারির পরেই এর অবস্থান ছিল।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের দশ বছরের মধ্যে দিনাজপুর জমিদারিসহ বাংলার সব কয়টি বড় জমিদারির চূড়ান্ত পতন ঘটে। ১৭৯৮ সালের ভয়াবহ খরা, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসীদের বিদ্রোহ ইত্যাদি কারণে যথাসময়ে রাজস্ব জমা দিতে না পারায় জমিদারির জমি বিক্রি শুরু হয়, এবং এর পরের পনেরো মাসের মধ্যে প্রায় পুরো দিনাজপুর জমিদারি নিলামে ওঠে। কোম্পানির কালেক্টরেট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জমিদারদের দ্বন্দ্বও এ জমিদারির পতনের অন্য একটি কারণ ছিল। রায়ত বা কৃষকরা খাজনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, ফলে জমিদাররাও তাদের রাজস্ব সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি। এ রাজস্ব আদায়ে সরকার নিলামের মাধ্যমে জমিদারি বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। রাজা রাধানাথের জমিদারি আমলে দিনাজপুর জমিদারি নিলামে উঠে।
১৮০০ সালের পর দিনাজপুর জমিদারি টিকে থাকলেও তা ছিল পূর্বতন আমলের জমিদারির ছায়ামাত্র। ১৮৯৭ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কান্তজী মন্দির ও জমিদারবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরবর্তীকালে মহারাজা গিরিজানাথ রায়বাহাদুরকে এর সংস্কার করতে হয়েছিল। পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ অনুসারে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করা হলে তাঁর পালক পুত্র জগদীশনাথের আমলে এ জমিদারির বিলুপ্তি ঘটে। ১৯৬২ সালে কলকাতায় জগদীশনাথ-এর মৃত্যু হয়।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article দিনাজপুর জমিদারি, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.