জোহরা মমতাজ সেহগল (২৭শে এপ্রিল ১৯১২ – ১০ই জুলাই ২০১৪) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী এবং নৃত্য পরিচালক ছিলেন। জোহরা উদয় শঙ্করের দলে একজন নৃত্যশিল্পী হিসাবে কাজ করার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। অতপর এই দলের হয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মতো দেশে সফর করেছিলেন। তিনি বলিউডে প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একজন চরিত্র অভিনেত্রী হিসাবে অভিনয় করে গেছেন।
জোহরা মুমতাজ সেহগল | |
---|---|
জন্ম | সাহেবজাদী জোহরা মমতাজউল্লাহ খান বেগম ২৭ এপ্রিল ১৯১২ শাহরানপুর, আগ্রা এবং ওউধ সংযুক্ত প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১০ জুলাই ২০১৪ | (বয়স ১০২)
পেশা | অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, নৃত্য পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৩৫–২০০৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | কামেশ্বর নাথ সেহগল |
তিনি যে সকল বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর অংশ ছিলেন তার মধ্যে নীচা নগর, আফসার (১৯৪৬), ভাজি অন দ্য বিচ (১৯৯২), দ্য মিস্টিক মাসেউর (২০০১), বেন্ড ইট লাইক বেকহাম (২০০২), দিল সে .. (১৯৯৮), সায়া (২০০৩), সাওয়ারিয়া এবং চিনি কম (২০০৭) অন্যতম। এছাড়াও তিনি দ্য জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন (১৯৮৪), তন্দুরি নাইটস (১৯৮৫–৮৭) এবং আম্মা ও পরিবার (১৯৯৬)-এর মতো টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। ৯০ বছর বয়সে তিনি ২০০২ সালে চলো ইশক লড়ায়ে নামক চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ভারতীয় মঞ্চ নাটকের চূড়ামণি হিসাবে বিবেচিত জোহরা ১৪ বছর ধরে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (আইপিটিএ) এবং পৃথ্বীরাজ কাপুরের পৃথ্বী থিয়েটারে অভিনয় করেছিলেন। তিনি বেন্ড ইট লাইক বেকহ্যামের মতো ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
তিনি ১৯৯৮ সালে পদ্মশ্রী, ২০০১ সালে কালিদাস সম্মান এবং ২০০৪ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ভারতের জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও নাটক একাডেমি তাঁকে আজীবন কৃতিত্বের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান, সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপ প্রদান করেছে। ২০১০ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ পেয়েছিলেন। হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে ২০১৪ সালের ১০শে জুলাই তারিখে তিনি নতুন দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান।
তিনি কামেশ্বর সেহগল নামে এক হিন্দু ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর বাবা-মার প্রাথমিক বিরোধিতা ছিল, কিন্তু তাঁরা শেষ পর্যন্ত এই বিয়েতে অনুমোদন দিয়েছিলেন। ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের বিবাহের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জওহরলাল নেহ্রুর যোগ দিতে আসার কথা ছিল, কিন্তু গান্ধীর ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য কয়েক দিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জোহরা ও কামেশ্বরের দুটি সন্তান ছিল; কিরণ সেগল এবং পবন সেহগল। পবন সেহগল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হয়ে কাজ করেন। কিরণ একজন অত্যন্ত নামী ওড়িশি নৃত্যশিল্পী।
২০১২ সালে, কন্যা কিরণ সেগল "জোহরা সেহগাল: ফ্যাটি" শিরোনামে জোহরার জীবনীটি লিখেছেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article জোহরা সেহগল, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.