জৈন মন্দির হল জৈনধর্মের অনুগামীদের উপাসনালয়। ভারতের গুজরাত ও রাজস্থান রাজ্যে জৈন মন্দিরকে দেরাসর বলা হয়। জৈন মন্দিরকে বসডি নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই শব্দটি সাধারণত দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রচলিত। আবু পর্বতের বিমল বসহি ও লুনা বসহি মন্দিরের নামের মধ্যে উত্তর ভারতে ‘বসডি’ শব্দটির ঐতিহাসিক ব্যবহারের প্রমাণ নিহিত রয়েছে। এই শব্দটি সংস্কৃত ‘বসতি’ শব্দটি থেকে এসেছে। মন্দিরগুলি পণ্ডিতদের বাসস্থান ছিল বলে এই শব্দটি প্রযোজ্য হত।
জৈন মন্দিরগুলি বিভিন্ন প্রকার স্থাপত্যশৈলী অনুসারে নির্মিত হয়ে থাকে। উত্তর ভারতের জৈন মন্দিরগুলি দক্ষিণ ভারতের জৈন মন্দিরগুলির সম্পূর্ণ বিপরীত শৈলীতে নির্মিত। অন্যদিকে পশ্চিম ভারতের জৈন মন্দিরগুলিও অনেকটা পৃথক শৈলীতে নির্মিত। জৈন মন্দির দুই ধরনের হয়:
সকল শিখর-বন্দি মন্দিরে বহু-সংখ্যক শ্বেতপাথরের স্তম্ভ থাকে। এই স্তম্ভগুলির গায়ে উপদেবতাদের ছবি বিভিন্ন ভঙ্গিমায় সুন্দরভাবে খোদাই করা থাকে। প্রত্যেক দেরাসরে একজন প্রধান দেবতা থাকেন। তাঁকে বলা হয় ‘মূলনায়ক’। জৈন মন্দিরের প্রধান অংশটিকে বলা হয় ‘গম্ভরা’ (গর্ভগৃহ)। এখানেই মূলনায়কের প্রস্তরখোদিত মূর্তিটি রাখা থাকে। কাউকেই অস্নাত অবস্থায় এবং পূজার উপযোগী পোশাক ছাড়া গম্ভরায় ঢুকতে দেওয়া হয় না। মন্দিরগুলির সামনে মানস্তম্ভ (সম্মানের স্তম্ভ) নামে এক ধরনের স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। শতবর্ষপ্রাচীন জৈন মন্দিরকে বলা হয় তীর্থ।
জৈন মন্দির দর্শন করতে গেলে কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়:
মন্দিরে পূজা ও বিগ্রহ স্পর্শ করার ক্ষেত্রে প্রথাগত নিয়ম অনুসৃত হয়ে থাকে। এগুলি অঞ্চল বা সম্প্রদায় ভেদে পরিবর্তন সাপেক্ষ।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article জৈন মন্দির, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.