স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি প্রখ্যাত বাঙালি উদ্ভিদবিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর পৈতৃক বাড়ি। এটি শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল গ্রামে অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি | |
---|---|
স্থানীয় নাম স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু জাদুঘর | |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | শ্রীনগর উপজেলা |
অঞ্চল | মুন্সীগঞ্জ জেলা |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
সূত্র নং | BD-C-35-65 |
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম সফল বাঙালি বিজ্ঞানী যিনি উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে তা আবিষ্কার করেন। এছাড়া তিনি বেতার যন্ত্র আবিস্কারের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার পৈতৃক বাড়িটির ত্রিশ একর জায়গায় জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজ ও কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। তার জীবিত অবস্থায় তিনি তার সম্পত্তি দান করে যান। সেখানে ১৯২১ সালে সুরুজ বালা সাহা বিদ্যালয় ও পরে ১৯৯১ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে, যা চলে জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে। কমপ্লেক্সে নির্মিত হয়েছে জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর, পশু-পাখির ম্যুরাল, কৃত্রিম পাহাড়-ঝরনা ও সিঁড়ি বাধানো পুকুর ঘাট। জাদুঘরে জগদীশ চন্দ্র বসুর ছবি, গবেষণাপত্র, হাতে লেখা পান্ডুলিপি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তিতে তাকে লেখা চিঠি ও রবীন্দ্রনাথের বসুকে লেখা চিঠি, তেল রং দিয়ে আঁকা ১৭টি দুর্লভ ছবি, রয়্যাল সোসাইটিতে দেওয়া বক্তৃতার কপি এবং নানা দুর্লভ জিনিস রয়েছে।
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়িটি ৬ কক্ষবিশিষ্ট। বাড়িটির একটি কক্ষকে জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। এই বাড়িতে ৬টি দিঘী রয়েছে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article জগদীশ চন্দ্র বসু স্মৃতি জাদুঘর, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.