কেন্দুলি মেলা

জয়দেব মেলা বা জয়দেব-কেন্দুলি মেলা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার জয়দেব কেন্দুলি গ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নানের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা শুরু হয়। এই মেলাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে এক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। এই মেলা মূলত বীরভূমের সংস্কৃত পণ্ডিত জয়দেবের স্মৃতি তর্পণ উদ্দেশ্যে উদযাপিত হয়।

জয়দেব-কেন্দুলি মেলা
কেন্দুলি মেলা
বীরভূমের জয়দেব মেলা
অন্য নামকেন্দুলি মেলা, জয়দেব মেলা
পালনকারীবাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়
উদযাপনমকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে
স্থানজয়দেব কেন্দুলি, বীরভুম জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
প্রাচীনত্বআনুমানিক ৪০০ বছর
তারিখমকর সংক্রান্তি
উপলক্ষবীরভূমের কবি জয়দেবের উদ্দেশ্যে স্মৃতি তর্পণ
সংঘটনবার্ষিক
আচার অনুষ্ঠান

অজয় নদের পাড়ে ছোট্ট গ্রাম জয়দেব কেন্দুলি। নদীর পাড়ে বাউল আখড়ায় বসেছে জমজমাট গানের আসর। প্রতিবছরই এই সময়টার অপেক্ষায় দিন গোনেন বাউলপ্রেমী মানুষজন। মকরস্নানের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় গান-বাজনা, মেলা, উত্‍সব। কেন্দুলি গ্রামে গীতগোবিন্দের রচয়িতা কবি জয়দেবের জন্মস্থান। লক্ষ্মণসেনের সভাকবি ছিলেন তিনি। লক্ষ্মণসেনই এখানে রাধামাধব মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

জয়দেব মেলা মানেই বাউল গানের আসর। সেইসঙ্গে অবশ্যই কীর্তন।

ইতিহাস

কেন্দুলি মেলা 
রাধাবিনোদ মন্দির

বীরভূম-বর্ধমান জেলার সীমান্ত বরাবর বয়ে চলা অজয় নদের ধারে কেন্দুলি গ্রাম। এখানেই ছিল রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি জয়দেবের নিবাস। রাধাগোবিন্দের মন্দির সহ কেন্দুলিতে জয়দেবের স্মৃতিধন্য বহু দ্রষ্টব্য থাকলেও কেন্দুলির সব চেয়ে বড় পরিচয় পৌষ সংক্রান্তির মেলা, যাকে কেন্দ্র করে কেন্দুলির কথা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে। প্রাচীনত্ব ও জনপ্রিয়তার নিরিখে এ মেলা আজ দেশের অন্যতম প্রধান মেলা হিসেবে পরিগণিত হয়। এই একবিংশ শতকেও সমাগম হয় লক্ষাধিক মানুষের। ঐতিহাসিকদের মতে গঙ্গাবোধে অজয়ে মকরস্নান উপলক্ষেই এই মেলার সূচনা হয়েছে সুদূর অতীতে। পরে তার সঙ্গে জয়দেবীয় ঐতিহ্যধারা যুক্ত হয়ে হয়েছে জয়দেবের মেলা।

পুণ্যস্নান

অজয় নদে মকর সংক্রান্তির দিনে পুণ্যার্থীরা স্নান করেন। এই সময় নদীতে জল কম থাকে। সেই কারণে প্রতিবছর প্রশাসন থেকে বালি তুলে জল জমানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ডুব দেওয়ার জন্য পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘাট বানানো হয় প্রতিবছর।

বাউল গান

জয়দেব মেলা মানেই বাউল গানের আসর। সেই সঙ্গে অবশ্যই কীর্তন। প্রতিবছর এই মেলায় তৈরি করা হয় কীর্তনীয়াদের জন্য কীর্তনের আখড়া এবং বাউলদের জন্য বাউলের আখড়া। প্রায় ৩০০ টি আখড়া তৈরি করা হয় মেলাটিতে। মেলার স্থানের পাশের রামপুর ফুটবল মাঠেও চলে মেলা।

যোগাযোগ

ট্রেনে বোলপুর স্টেশন থেকে বাসে করে যাওয়া যায়। বোলপুর বাস স্ট্যান্ড থেকেও কেন্দুলি যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। অন্যান্য ছোট গাড়িও আছে।

আরও পড়ুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

কেন্দুলি মেলা ইতিহাসকেন্দুলি মেলা পুণ্যস্নানকেন্দুলি মেলা বাউল গানকেন্দুলি মেলা যোগাযোগকেন্দুলি মেলা আরও পড়ুনকেন্দুলি মেলা তথ্যসূত্রকেন্দুলি মেলা বহিঃসংযোগকেন্দুলি মেলাজয়দেবজয়দেব কেন্দুলিপশ্চিমবঙ্গবীরভূম জেলা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

তাজমহলউমর ইবনুল খাত্তাবআয়াতুল কুরসিট্রাভিস হেড২০২২–২৩ নিউজিল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর (ডিসেম্বর ২০২২)তক্ষকইংরেজি ভাষাউপজেলা পরিষদবাংলাদেশের কোম্পানির তালিকাকুরআনপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১সৌদি আরবসালমান শাহফাতিমানাটকউদ্ভিদকোষবাংলাদেশের জেলালিভারপুল ফুটবল ক্লাবজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কামরুল হাসানঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েমিজানুর রহমান আজহারীযুক্তরাজ্যণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলযোগাযোগলোকসভা কেন্দ্রের তালিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলপারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রসমূহের তালিকাকাজী নজরুল ইসলামইসরায়েল–হামাস যুদ্ধদ্বিতীয় মুরাদজান্নাততুলসীব্যঞ্জনবর্ণ১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহএ. পি. জে. আবদুল কালামপুরুষে পুরুষে যৌনতানোরা ফাতেহি২৫ এপ্রিলকাঠগোলাপইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়আশালতা সেনগুপ্ত (প্রমিলা)উপসর্গ (ব্যাকরণ)জাতিসংঘবন্ধুত্ববাবরপরমাণুনিজামিয়া মাদ্রাসাভারতীয় জনতা পার্টিপৃথিবীমোবাইল ফোনদিল্লী সালতানাতজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)ফিলিস্তিনরাজনীতিচাঁদপুর জেলানিজামিয়াইসলাম ও হস্তমৈথুনশ্রীলঙ্কাসংযুক্ত আরব আমিরাতপূরণবাচক সংখ্যা (ভাষাতত্ত্ব)দর্শনদেব (অভিনেতা)ফেনী জেলাহারুনুর রশিদবারো ভূঁইয়াশিবা শানুবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২লালবাগের কেল্লাওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবআন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরসিন্ধু সভ্যতাবাঙালি হিন্দুদের পদবিসমূহবাংলাদেশের অর্থনীতিআরব্য রজনীভারতের সংবিধান🡆 More