ইয়োহান ডাইজেনহোফার

ইয়োহান ডাইজেনহোফার (জার্মান: Johann Deisenhofer; জন্ম ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) একজন জার্মান প্রাণ-রসায়নবিদ। তিনি হার্টমুট মিশেল এবং রবার্ট হুবারের সাথে ১৯৮৮ সালে অবিচ্ছেদ্য ঝিল্লি প্রোটিনের প্রথম কেলাস কাঠামো নির্ধারণের জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই প্রোটিনসমৃদ্ধ ঝিল্লিস্তর এবং এতে সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলো উদ্ভিদের সালোক সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় ।

ইয়োহান ডাইজেনহোফার
ইয়োহান ডাইজেনহোফার
জন্ম (1943-09-30) ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ (বয়স ৮০)
নাগরিকত্বজার্মানি এবং আমেরিকা
মাতৃশিক্ষায়তন
  • টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়,মিউনিখ
  • ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ বায়োকেমিস্ট্রি
পরিচিতির কারণ
পুরস্কারগোল্ডেন প্লেট অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯)
রসায়নে নোবেল পুরস্কার) (১৯৮৮)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রবায়োফিজিক্স এবং বায়োকেমিস্ট
প্রতিষ্ঠানসমূহটেক্সাস সাউথওয়েস্টার্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে
ডক্টরাল উপদেষ্টারবার্ট হুবার
ওয়েবসাইটwww.utsouthwestern.edu/labs/deisenhofer

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

ইয়োহান ডাইজেনহোফার 
ঝিল্লীর কেন্দ্রে অবস্থিত ফটোসিনথেসিসের চিত্র

বাভারিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ডাইজেনহোফার ১৯৪৮ সালে পশ্চিম জার্মানির মার্টিনস্রেড, মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ বায়োকেমিস্ট্রি থেকে গবেষণামূলক কাজের জন্য মিউনিখের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন । ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে গবেষণা চালিয়ে গেছেন,যতদিন না তিনি হাওয়ার্ডের বৈজ্ঞানিক কর্মীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর তার সহকর্মীরা ছিলেন ডালাস টেক্সাস সাউথওয়েস্টার্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ফ্যাকাল্টিগণ ।

কর্মজীবন

মিশেল এবং হুবারকে সাথে নিয়ে ডাইজেনহোফার নির্দিষ্ট সালোকসংশ্লেষণে ব্যাকটেরিয়ায় পাওয়া একটি প্রোটিন কমপ্লেক্সের ত্রি-মাত্রিক কাঠামো নির্ধারণ করেছিলেন । এই ঝিল্লি প্রোটিন কমপ্লেক্স( যাকে সালোকসংশ্লেষণের প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র বলা হয়) একটি সাধারণ ধরনের সালোকসংশ্লেষণের সূচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৮২ এবং ১৯৮৫ সালের মাঝে এই তিন বিজ্ঞানী এক্স-রে স্ফটিকগ্রাফি ব্যবহার করে ১০০০০ টিরও বেশি পরমাণুর প্রোটিন কমপ্লেক্সের সঠিক ব্যবস্থা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা চালান। তাদের এই গবেষণা সালোকসংশ্লেষণের প্রক্রিয়াগুলিকে সহজভাবে বোঝার ধারণা দেয় এবং উদ্ভিদ এবং ব্যাকটেরিয়ার মাঝে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার পার্থক্য বা মিলগুলোকে বর্ণনা করে।

ডাইজেনহোফার বর্তমানে মার্কিন সরকারের বিজ্ঞান প্রসারে মনোনিবেশিত একটি সংস্থার হয়ে বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করছেন। ২০০৩ সালে ২২ জন নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে হিউম্যানিস্ট ইশতেহারে স্বাক্ষর করেন । বর্তমানে তিনি টেক্সাস সাউথওয়েস্টার্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

তথ্যসূত্র

Tags:

জার্মান ভাষানোবেল পুরস্কার

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

জার্মানিহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)এক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ক্যান্টনীয় উপভাষাচাকমারাগবি ইউনিয়নচড়ক পূজাহিন্দুধর্মের ইতিহাসউপন্যাসদশাবতারখেজুরতায়াম্মুমওবায়দুল কাদেরআযানমক্কাজওহরলাল নেহেরুবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকআরবি বর্ণমালাবিজ্ঞানভাষানীল বিদ্রোহকুরাসাওজানাজার নামাজসুফিবাদআর্-রাহীকুল মাখতূমভূগোলখালিস্তানঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ময়ূরআমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানফজরের নামাজভারতের জাতীয় পতাকাফরিদপুর জেলাবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীগণতন্ত্ররামসার কনভেনশনদুরুদসভ্যতাতাল (সঙ্গীত)২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপহিমালয় পর্বতমালামুসাবাংলা সাহিত্যপাঞ্জাব, ভারতর‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নথ্যালাসেমিয়াএস এম শফিউদ্দিন আহমেদবেগম রোকেয়াশাহ জাহানবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রস্বামী বিবেকানন্দতারাকলমপদার্থের অবস্থাভীমরাও রামজি আম্বেদকরফিদিয়া এবং কাফফারামরিশাসহনুমান (রামায়ণ)বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানসিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭অর্শরোগবঙ্গাব্দলাঙ্গলবন্দ স্নানহরমোনঋতুফেরেশতাসন্ধিজীবনানন্দ দাশবাংলাদেশের ভূগোলমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনফ্রান্সের ষোড়শ লুইউত্তর চব্বিশ পরগনা জেলামাশাআল্লাহমহেরা জমিদার বাড়ি🡆 More