ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া যুদ্ধ

ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া যুদ্ধ ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০০ সালের জুন পর্যন্ত ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সংঘটিত হয়। ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া — বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দুইটি দেশ — এই যুদ্ধে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে এবং উভয়পক্ষের হাজার হাজার সৈন্য হতাহত হয়, কিন্তু সীমান্তের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটে নি।

ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া যুদ্ধ
তারিখ৬ মে ১৯৯৮ – ২৫ মে ২০০০
অবস্থান
ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া সীমান্ত, দক্ষিণ ইরিত্রিয়া এবং তিগ্রাই
ফলাফল

ইথিওপীয় সামরিক বিজয়

  • আন্তর্জাতিক আদালতে ইরিত্রীয় বিজয়
  • কিছু বিরোধপূর্ণ অঞ্চল এবং সীমান্তবর্তী বাদমে ও তোসোরোনা-জালাম্বেসা শহরদ্বয় ইথিওপিয়ার দখলে থেকে যায়
  • শরণার্থী সঙ্কট
  • আলজিয়ার্স চুক্তি (২০০০)
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন
ইথিওপিয়া বিরোধপূর্ণ অঞ্চলসমূহ দখল করে নেয়
বিবাদমান পক্ষ
ইথিওপিয়া ইথিওপিয়া ইরিত্রিয়া ইরিত্রিয়া
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
ইথিওপিয়া নেগাসো গিদাদা
ইথিওপিয়া মেলেস জেনাবি
ইথিওপিয়া সাদকান গেব্রে-তেনাসে
ইরিত্রিয়া ইসাইয়াস আফেবার্কি
ইরিত্রিয়া সেবহাত এফ্রেম
শক্তি
ইথিওপিয়া ৩,০০,০০০–৩,৫০,০০০ সৈন্য ইরিত্রিয়া ১,০০,০০০–১,২০,০০০ সৈন্য (১৯৯৮)
ইরিত্রিয়া ১,৫০,০০০ সৈন্য (২০০০)
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
ইথিওপিয়া ৩৪,০০০–১,৫০,০০০ সৈন্য নিহত ইরিত্রিয়া ১৯,০০০–১,৫০,০০০ সৈন্য নিহত
৭০,০০০–৩,০০,০০০ বেসামরিক মানুষ নিহত

দ্য হেগে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের রায় অনুযায়ী, ইরিত্রিয়া আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছিল এবং ইথিওপিয়া আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধটি আরম্ভ করেছিল। যুদ্ধের শেষদিকে সমস্ত বিরোধপূর্ণ অঞ্চল ইথিওপিয়ার দখলে চলে যায় এবং ইথিওপীয় বাহিনী ইরিত্রিয়ার অভ্যন্তরে অগ্রসর হয়। যুদ্ধ সমাপ্ত হওয়ার পর জাতিসংঘ কর্তৃক বাদমেতে প্রতিষ্ঠিত ইথিওপিয়া–ইরিত্রিয়া সীমান্ত কমিশন রায় দেয় যে, বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি ইরিত্রিয়ার। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাদমে শহরসহ এর নিকটবর্তী অঞ্চল ইথিওপিয়ার দখলে রয়েছে।

তথ্যসূত্র

Tags:

ইথিওপিয়াইরিত্রিয়া

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সূরা আর-রাহমানবাংলাদেশ রেলওয়ে৬৯ (যৌনাসন)অর্শরোগডেঙ্গু জ্বরবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাযোনিলিওনেল মেসিরাজনীতিবাংলাদেশী টাকাসমকামিতাগ্রাহামের সূত্রআবু বকরকালীসুকান্ত ভট্টাচার্যযাকাতের নিসাবইসলামের পঞ্চস্তম্ভমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়বাংলাদেশের সংবিধানপর্যায় সারণী (লেখ্যরুপ)হিন্দুধর্মের ইতিহাসমুহাম্মাদের বংশধারাবাংলার নবজাগরণমৌলিক সংখ্যাধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)আরবি ভাষাইউসুফবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাপেশাশিবকোষ (জীববিজ্ঞান)রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসূরা লাহাবকম্পিউটারগজলরাদারফোর্ড পরমাণু মডেলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলমালয়েশিয়াবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহকৃষ্ণরুকইয়াহ শারইয়াহমাইকেল মধুসূদন দত্তসানরাইজার্স হায়দ্রাবাদসৌদি আরবজাযাকাল্লাহমুজিবনগর সরকারবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহধর্মীয় জনসংখ্যার তালিকাভারতের জাতীয় পতাকারমজানবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়জাতিসংঘের মহাসচিববাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমনামাজআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলফিদিয়া এবং কাফফারাচিরস্থায়ী বন্দোবস্তছিয়াত্তরের মন্বন্তরসিদরাতুল মুনতাহাপ্রেমঈদুল ফিতরমুঘল সাম্রাজ্যসিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডসমূহবাংলা শব্দভাণ্ডার২০২৪ কোপা আমেরিকাবাংলাদেশের ইউনিয়নহোমিওপ্যাথিআমর ইবনে হিশামওয়েবসাইটদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাএম এ ওয়াজেদ মিয়াফাতিমাআর্জেন্টিনাশাকিব খানআযানজাতীয়তাবাদতৃণমূল কংগ্রেস🡆 More