অ্যান্ডোরার ইতিহাস: ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

আন্ডোরা, সরকারি ভাবে প্রিন্সিপালিটি অফ অ্যান্ডোরা ( কাতালান: Principat d'Andorra ) , যাকে প্রিন্সিপ্যালিটি অফ দ্য ভ্যালি অফ অ্যান্ডোরা বলা হয় ( কাতালান: Principat de les Valls d'Andorra ) দক্ষিণ - পশ্চিম ইউরোপের একটি সার্বভৌম ল্যান্ডলকড ক্ষুদ্র-রাজ্য যা পূর্ব পাইরেিনিস পর্বতমালা , স্পেন এবং ফ্রান্সের সীমানায় অবস্থিত ।

অ্যান্ডোরার ইতিহাস: নবম থেকে উনবিংশ শতক, বিংশ এবং একবিংশ শতক, আরও দেখুন
ঘটনার সাাথে কিিছুটা মিিল রয়েছে।

নবম থেকে উনবিংশ শতক

আন্ডোরা দাবি করে যে , তাদের শেষ স্বাধীন জীবিত সম্রাট মার্কা হিসপ্যানিকা একটি বাফার রাজ্য তৈরি করেছল যা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চার্লেম্যাগনে , ইসলামিক মুর থেকে খ্রিষ্টীয় ফ্রান্স কে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন । জানা যায় যে চার্লেম্যাগনে মুরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিনিময়ে সনদ প্রদান করেছিলেন । নবম শতাব্দীতে , শার্লম্যাগনের নাতি, চার্লস বাল্ড, আন্ডোরার অধিপতি হিসাবে কাউন্ট অফ আর্জেলের নামে করে দিয়েছিলেন । কাউন্টের একজন বংশধর পরবর্তীকালে জমিগুলি ডয়সেজ অফ আরজেল কে দিয়েছিলেন ।

একাদশ শতকে প্রতিবেশী সামন্তের সামরিক ভয়ে আরজেল বিশপ নিজে সুরক্ষার জন্য একজন কাতালান রাজকর্মচারী লর্ড অফ ক্যাবোয়েট এর কাছে আশ্রয় নেন । পরবর্তীকালে কাউন্ট অফ ফিনিক্স ১২০৮ সালে বিয়ের মাধ্যমে কাবোয়েটের লর্ডের উত্তরাধিকারী হয়ে ওঠে এবং অ্যান্ডোরার বিষয়ে অক্সিটান কাউন্ট এবং কাতালান বিশপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় ।

১২৭৮ সালে , একটি প্যারেজ (প্যারিয়াটিজস) স্বাক্ষরের মাধ্যমে দ্বন্দ্বটির সমাধান করা হয়েছিল , যাতে কাউন্ট অফ ফোরিক্সের এবং লা সেউ ডি'রজেল (কাতালোনিয়া) এর বিশপের মধ্যে আন্ডোরার সার্বভৌমত্ব ভাগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল । দুই শাসকের ভাগীদার সমানভাগে দুটি ভাগ করেছে । যা পরে সামন্ততান্ত্রিক সংস্থাটি তার ছোট রাজ্যটিকে তার রাজনৈতিক রূপ দিয়েছে । এর বিনিময়ে , এ্যান্ডোরা বার্ষিক রাজস্ব অথবা কোয়েস্টিয়া যাতে চারটি পশুর ঠ্যাং (হামস) , চল্লিশটি রুটি এবং কিছু মদ । ১২৭৮ সাল থেকে অ্যান্ডোরার সীমানা অপরিবর্তিত আছে ।

আরাগান এর রাণী ১৩৯৬ ও ১৫১২ সালে দুবার ধরে অ্যান্ডোরা কে অধিগ্রহণ করেন ।

১৫০৫ সালে , ফিক্সের জার্মেইন ক্যাসটিলের পঞ্চম ফার্দিনান্দ কে বিয়ে করেছিলেন এবং এর ফলে আন আধিপত্যকে স্প্যানিশ শাসনের হাতে চলে আসে । ১৫১৯ সালে এই রাজ্য দখলের সময় , সম্রাট চার্লস পঞ্চম লেস ভলস ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন । এটাও জানানো যায় যে তিনি ফিক্সের লাইনের জেরমাইনকে চিরস্থায়ীভাবে দেওয়া হয়েছিল । ১৫৯৮ সালে নাভেরের ক্যালভিনিস্ট রাজা তৃতীয় হেনরি , যিনি ফোক্সের কাউন্টও ছিলেন , তিনি হেনরি চতুর্থ হিসাবে ফরাসী সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন । এবং ১৬০৭ সালের একটি আদেশে তিনি অ্যান্ডোরার সহ-রাজপুত্রের হিসেবে তার ভূমিকা ফরাসী রাষ্ট্র প্রধানের কাছে স্থানান্তর করেছিলেন ।

১৭৯৩ সালে , ফরাসী বিপ্লবী সরকার ঐতিহ্যবাহী অ্যান্ডোরার সামন্ততান্ত্রিক শ্রদ্ধা প্রত্যাখ্যান করে এবং একে সহযোগীতা ত্যাগ করে । যদিও অ্যান্ডোরার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা ফরাসি দ্বারা সুরক্ষাকবচ উপভোগ করত এবং একচেটিয়াভাবে স্প্যানিশ প্রভাবের অধীনে ছিল ।

অ্যান্ডোরা নেপোলিয়োনের যুদ্ধের সময় নিরপেক্ষ ছিল । ১৮০৬ সালে অ্যান্ডোরার অধিবাসীরা তাকে অনুরোধ করার পরে নেপোলিয়ন রাজত্ব পুনরুদ্ধার করেছিলেন । এই রাজত্ব থেকে ফরাসী মুকুট পরবর্তীকালে রাজাদের কাছ থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতির কাছে চলে যায় । ১৮১২-১৩ সময়কালে ফরাসী সাম্রাজ্য কাতালোনিয়াকে অধিগ্রহণ করে এবং চারটি বিভাগে বিভক্ত করে । অ্যান্ডোরা এছাড়াও একটি জেলাকে অধিগ্রহণ করেছিল তার নাম ছিল পিউসারডা(সের্গেই বিভাগ ) ।

বিংশ এবং একবিংশ শতক

১৯৩৩ সালে নির্বাচনের আগে সামাজিক অস্থিরতার ফলে ফ্রান্স অ্যান্ডোরাকে দখল করে । ১২ জুলাই ১৯৩৪ সালে বোরিস স্কোসাইরিফ নামে একজন হঠকারী ব্যক্তি উর্জেলে একটি ঘোষণা জারি করেন । সেই ঘোষণায় তিনি নিজেকে আন্ডোরার সার্বভৌম রাজপুত্র প্রথম বোরিস বলে ঘোষণা করেন ।

একই সাথে উরজেলের বিশপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। ২০ জুলাই তাকে স্পেনীয় কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত স্পেন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । ১৯৩৬-১৯৪০ সাল পর্যন্ত স্পেনীয় গৃহযুদ্ধ এবং ফ্রান্সকোয়েস্ট স্পেনের দখল প্রতিরোধে ফরাসীরা সেনা আন্ডোরাতে পাঠিয়েছিল ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় , আন্ডোররা নিরপেক্ষ ছিল এবং স্পেন থেকে ফ্রান্সের পথ টি একটি পাচারের গুরুত্বপূর্ণ পথ ছিল । ফরাসীরা ফ্রান্সের বাইরে বিমান গুলিকে নামানোর জন্য অ্যান্ডোরাকে ব্যবহার করেছিল ।

১৯৪৩ সালে , অ্যান্ডোরা উনবিংশ শতাব্দীর পর প্রথম ফাঁসি কার্যকর করেছিল । অ্যান্টনি অ্যারেনিস তার দুই ভাইকে হত্যার জন্য ফারারিং স্কোয়াডের সামনে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল । কারণ প্রশিক্ষিত জল্লাদ অনুপস্থিত থাকায় গারোট দিয়ে আইনি পদ্ধতির সুযোগ ছিল না ।।

১৯৫৮ সালে অ্যান্ডোরা জার্মানির সাথে শান্তি ঘোষণা করেছিলেন । প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে যে ভার্সাই চুক্তি হয়েছিল তাতে অ্যান্ডোরার কথা ভুলেই গিয়েছিল । এই শান্তিচুক্তির প্রভাবে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং উভয়েই আইনি লড়াইয়ে সামিল হয়েছিল ।

ফ্রান্স ও স্পেন ছাড়া অন্য কোনও জাতির সাথে সামান্যই যোগাযোগ ছিল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই ছোট্ট ভূখন্ডের এই দেশটি উন্নতি লাভ করেছে তাদের উন্নয়নশীল পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে । এটি বিকাশ, পরিবহন এবং যোগাযোগের উন্নতির দ্বারা সাজানো । অ্যান্ডোরা পৃথক হয়ে না থেকে অ্যান্ডোরাকে ইউরোপীয় ইতিহাসের মূলধারায় নিয়ে আসার ঝোঁক বেড়েছে । গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য জনসাধারণের দাবির ফলে ১৯৭০-এর দশকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে নারীদের ভোটাধিকার বাড়ানো এবং ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে সরকারের নতুন এবং আরও সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত অঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল ।

১৯৯০ এর দশক থেকে

১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে একটি জনপ্রিয় গণভোটের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধানের অনুমোদনের পর অ্যান্ডোরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৩ সালের মে মাসে একটি সংসদীয় গণতন্ত্রে পরিণত হয় । নতুন সংবিধানে ফরাসি এবং স্প্যানিশ রাজকুমারদের সামান্যই ক্ষমতা দিয়েছে । রাজনৈতিক দলগুলির বৈধকরণ এবং একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের বিধান সহ নাগরিক অধিকারগুলি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছিল । অ্যান্ডোরা ১৯৯১ সালে ইউরোপীয় সম্প্রদায়ের (বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ) সাথে শুল্ক ইউনিয়নে যোগদান করেছিলেন এবং ১৯৯৩ সালের ২৮ জুলাই জাতিসংঘে যোগ দেয় । ১৯৯৪ সালে এটি ইউরোপ কাউন্সিলের সদস্য হন । দেশটি তার রফতানির সম্ভাবনা বাড়ানোর এবং তার ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য উপায় খুঁজছে । ট্যাক্স হ্যাভেন হিসাবে আন্ডোরার অবস্থান এবং এর ব্যাংকিং গোপনীয়তা আইনগুলির কারণে অর্থনীতির আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

আরও দেখুন

টীকা

তথ্যসূত্র

বাহ্যিক তথ্যগুলি

Tags:

অ্যান্ডোরার ইতিহাস নবম থেকে উনবিংশ শতকঅ্যান্ডোরার ইতিহাস বিংশ এবং একবিংশ শতকঅ্যান্ডোরার ইতিহাস আরও দেখুনঅ্যান্ডোরার ইতিহাস টীকাঅ্যান্ডোরার ইতিহাস তথ্যসূত্রঅ্যান্ডোরার ইতিহাস বাহ্যিক তথ্যগুলিঅ্যান্ডোরার ইতিহাসঅ্যান্ডোরাইবেরীয় উপদ্বীপকাতালান ভাষাপিরিনীয় পর্বতমালাফ্রান্সস্থলবেষ্টিত রাষ্ট্রস্পেন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সমুদ্রমন্থনরুতুরাজ গায়কোয়াড়রংপুর জেলাজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়মুজিবনগরএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)পঞ্চগড় জেলাপায়ুসঙ্গমদোয়া কুনুতচৈতন্য মহাপ্রভুবাংলাদেশ বিমান বাহিনীউত্তরপ্রদেশমানব দেহমাদারীপুর জেলাধর্ষণবৌদ্ধধর্মচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনশিয়া ইসলামঅস্ট্রেলিয়াইউসুফবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলনামাজমহাত্মা গান্ধীইস্তেখারার নামাজঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ভূমি পরিমাপসহীহ বুখারীবাঙালি সংস্কৃতিডেঙ্গু জ্বরজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাশেখ মুজিবুর রহমানসার্বিয়াতাওহীদজহির রায়হানত্রিভুজসমাসপিঁয়াজবাংলাদেশ আওয়ামী লীগগোত্র (হিন্দুধর্ম)মাহরামউদারনীতিবাদএল নিনোবীর শ্রেষ্ঠপ্রাণ-আরএফএল গ্রুপমিজানুর রহমান আজহারীহরমোনবাংলাদেশের মন্ত্রিসভাবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠীক্রিকেটরনিল বিক্রমসিংহকম্পিউটারবিশ্বের মানচিত্রবাংলা লিপিদক্ষিণ এশিয়াশেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডজলাতংকগরুইউরোপবাংলা সাহিত্যবাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডজালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমিপথের পাঁচালীসচিব (বাংলাদেশ)২০২২–২৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগহবিগঞ্জ জেলাকম্পিউটার কিবোর্ডভালোবাসাবাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসঅক্ষয় তৃতীয়ালখনউ সুপার জায়ান্টসময়মনসিংহসালাহুদ্দিন আইয়ুবিমৌলিক পদার্থের তালিকাঢাকা বিভাগবাংলাদেশের উপজেলার তালিকানেপোলিয়ন বোনাপার্ট🡆 More