ডেম অলিভিয়া ম্যারি ডা হ্যাভিলন্ড ডিবিই (ইংরেজি: Olivia de Havilland; ১ জুলাই ১৯১৬ - ২৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ মার্কিন অভিনেত্রী ও শতবর্ষী। তার কর্মজীবনের ব্যপ্তি ১৯৩৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে তিনি ৪৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তিনি তার সময়ের একজন অন্যতম মুখ্য অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি হলিউডের স্বর্ণযুগের সর্বশেষ জীবিত তারকাদের একজন। তার ছোট বোন অভিনেত্রী জোন ফন্টেইন।
ডেম অলিভিয়া ডা হ্যাভিলন্ড ডিবিই | |
---|---|
Olivia de Havilland | |
জন্ম | অলিভিয়া ম্যারি ডা হ্যাভিলন্ড ১ জুলাই ১৯১৬ |
মৃত্যু | ২৬ জুলাই ২০২০ | (বয়স ১০৪)
অন্যান্য নাম | লিভি |
নাগরিকত্ব |
|
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩৩ – বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | জোন ফন্টেইন (বোন) হিয়ারওয়ার্ড ডা হ্যাভিলন্ড (চাচাতো ভাই) জেফ্রি ডা হ্যাভিলন্ড (চাচাতো ভাই) |
পুরস্কার | নিচে দেখুন |
স্বাক্ষর | |
ডা হ্যাভিলন্ড এরল ফ্লিনের সাথে পর্দা যুগল হিসেবে রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র ক্যাপ্টেন ব্লাড (১৯৩৫) ও দি অ্যাডভেঞ্চার অব রবিনহুড (১৯৩৮)-এ অভিনয় করে প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন। তার সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র ভূমিকা হল ধ্রুপদী গন উইথ দ্য উইন্ড (১৯৩৯) চলচ্চিত্রের মেলানি হ্যামিলটন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি তার গৃহীত পাঁচটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়নের প্রথম মনোনয়নটি লাভ করেন। এটি পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে তার একমাত্র অস্কারের মনোনয়ন। ১৯৪০-এর দশকের তিনি সাহিত্য-আশ্রিত চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসেন এবং হোল্ড ব্যাক দ্য ডন (১৯৪১), টু ইচ হিজ ওন (১৯৪৬), দ্য স্নেক পিট (১৯৪৮) ও দি এয়ারেস (১৯৪৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন এবং প্রতিটি কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন ও টু ইচ হিজ ওন ও দি এয়ারেস চলচ্চিত্রের জন্য দুটি অস্কার লাভ করেন। এছাড়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দুটি নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার, একটি ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব হতে একটি ভোল্পি কাপ অর্জন করেন। চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামাঙ্কিত একটি তারকা খচিত হয়। ১৯৫০-এর দশকের ডা হ্যাভিলন্ড প্যারিসে বসবাস করতেন।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি মঞ্চ ও টেলিভিশনেও সমান সফলতা লাভ করেন। তিনি তিনবার ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিনয় করেন। মঞ্চে তার কাজগুলো হল রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (১৯৫১), ক্যান্ডিডা (১৯৫২) ও আ গিফ্ট অভ টাইম (১৯৬২)। টেলিভিশনে তিনি কয়েকটি সফল মিনি ধারাবাহিক কাজ করেন, সেগুলো হল রুটস: দ্য নেক্সট জেনারেশন্স (১৯৭৯) ও আনাস্তাসিয়া: দ্য মিস্ট্রি অব অ্যানা (১৯৮৬)। দ্বিতীয় কাজটির জন্য তিনি একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি একাধিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে জাতীয় শিল্পকলা পদক, লেজিওঁ দনর, ও অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারের ডেম কমান্ডার।
ডা হ্যাভিলন্ড ১৯১৬ সালের ১লা জুলাই জাপান সাম্রাজ্যের টোকিওতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ওয়াল্টার ডা হ্যাভিলন্ড (১৮৭২-১৯৬৮) টোকিওর ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন এবং পরে সনদ-সম্পর্কিত অ্যাটর্নি হন। তার মাতা লিলিয়ান ফন্টেইন (বিবাহপূর্ব রুজ; ১৮৮৬-১৯৭৫) লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে অধ্যয়ন করেন এবং মঞ্চে অভিনেত্রী হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। লিলিয়ান স্যার ওয়াল্টার প্যারাটের সাথে গানও গাইতেন এবং সুরকার রাফ ভন উইলিয়ামসের সাথে ইংল্যান্ড সফরেও যান। অলিভিয়ার চাচাতো ভাই স্যার জেফ্রি ডা হ্যাভিলন্ড (১৮৮২-১৯৬৫) ছিলেন একজন বিমান নকশাবিদ ও ডা হ্যাভিলন্ড এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।
১৯১৩ সালে জাপানে লিলিয়ান ও ওয়াল্টারের পরিচয় হয় এবং পরের বছর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু ওয়াল্টারের পরকীয়ার কারণে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। ডা হ্যাভিলন্ডের জন্মের পর তারা টোকিওতে একটি বড় বাড়িতে চলে যান, সেখানে লিলিয়ান গানের তালিম দিতেন। অলিভিয়ার ছোট বোন জোন ফন্টেইন (জোন ডা বোভোয়ার ডা হ্যালিলন্ড) পনের মাস পরে ১৯১৭ সালের ২২শে অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তারা দুই বোনই জন্মসূত্রে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
১৯১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লিলিয়ান তার স্বামীকে বুঝান তাদের অসুস্থ্য কন্যাদের আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সপরিবারে ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়া প্রয়োজন। তারা এসএস সাইবেরিয়া মারু থেকে সান ফ্রান্সিস্কো পাড়ি জমান, সেখানে তারা অলিভিয়ার টনসিলের চিকিৎসার জন্য অবস্থান করেন। জোনের নিউমোনিয়া হলে লিলিয়ান ক্যালিফোর্নিয়ায় তার কন্যাদের সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, এবং তারা সেখানে সান ফ্রান্সিস্কোর ৫০ মাইল দক্ষিণে সারাটোগা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। অলিভিয়ার পিতা তার পরিবার ত্যাগ করে জাপানি বাড়ির মালিকের নিকট ফিরে যান এবং তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন।
অলিভিয়া চার বছর বয়সে ব্যালে নৃত্য এবং পরের বছর থেকে পিয়ানো শেখার তালিম নেওয়া শুরু করেন। তিনি ছয় বছয় বয়সের পূর্বে পড়তে শিখেন। তার মা তাকে প্রায়ই নাটক, সঙ্গীত ও বাচনভঙ্গি শিক্ষা দিতেন, এবং তার শব্দচয়নের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শেকসপিয়ারের বিভিন্ন রচনার অংশবিশেষ আবৃতি করে শুনাতেন। এই সময়ের তার ছোট বোন জোন তাকে "লিভি" নামে ডাকতে শুরু করেন, যা পরবর্তী কালে তার ডাকনামে রূপান্তরিত হয়। ডা হ্যাভিলন্ড ১৯২২ সালে সারাটোগা গ্রামার স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানে ভালো ফলাফল অর্জন করতে শুরু করেন। তিনি পড়তে, কবিতা লিখতে ও ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন, এবং একবার কাউন্টির বানান প্রতিযোগিতায় তার বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ১৯২৩ সালে লিলিয়ান নতুন টিউডর ধরনের বাড়ি তৈরি করেন এবং তারা সেখানে ১৯৩০-এর দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত সেখানেই থাকেন। ১৯২৫ সালের এপ্রিলে লিলিয়ান ও ওয়াল্টারের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলে লিলিয়ান সান জোসের ও. এ. হেল অ্যান্ড কোং বিভাগীয় বিতাণির ব্যবস্থাপক জর্জ মিলান ফন্টেইনকে বিয়ে করেন। ফন্টেইন সম্মানিত ব্যবসায়ী ছিলেন, কিন্তু তার কঠোরতার কারণে তার দুই সৎকন্যা তার প্রতি বিদ্বেষাত্মক ও পরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
ডা হ্যাভিলন্ড সারাটোগার নিকটবর্তী লস গাটোস উচ্চ বিদ্যালয়ে তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। সেখানে তিনি বাগ্মিতা ও হকি খেলার পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং বিদ্যালয়ের নাটকে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি বিদ্যালয়ের নাটক ক্লাবে যোগ দেন এবং পরবর্তী কালে এই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হন। ইংরেজি ও বাগ্মিতা বিষয় শিক্ষিকা হওয়ার লক্ষ্যে তিনি বেলমন্টের নটর ডেম কনভেন্টেও অধ্যয়ন করেন।
১৯৩৩ সালে কিশোর বয়সেই ডা হ্যাভিলন্ড অপেশাদার মঞ্চ সারাটোগা কমিউনিটি প্লেয়ার্সে লুইস ক্যারলের উপন্যাস অবলম্বনে মঞ্চস্থ অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড নাটকে কাজের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি বিদ্যালয়ে মঞ্চস্থ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিস ও হ্যান্সেল অ্যান্ড গ্রেটেল। নাটকের প্রতি তার আগ্রহের ফলে তার সৎ বাবার সাথে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যিনি তাকে পাঠ্যক্রম-বহির্ভূত কাজের জন্য নিষেধ করেন। যখন তারা সৎ বাবা জানতে পারেন তিনি বিদ্যালয়ের তহবিল সংগ্রহের জন্য মঞ্চস্থ হতে যাওয়া জেন অস্টেনের প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস নাটকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন, তখন তিনি তাকে বাড়িতে থাকা অথবা এই নাটকে অভিনয় করা ও বাড়িতে না ফেরার মধ্যে কোন একটা নির্বাচন করতে বলেন। তার বিদ্যালয় ও সহপাঠিদের হারতে না দিতে চাওয়া ডা হ্যাভিলন্ড বাড়ি ত্যাগ করেন এবং তার পারিবারিক এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন।
১৯৩৪ সালের উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করার পর ডা হ্যাভিলন্ড তার পছন্দের ইংরেজির শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ওকল্যাণ্ডের মিলস কলেজে বৃত্তি পান। একই সাথে তিনি সারটোগা কমিউনিটি থিয়েটারে শেকসপিয়ারের আ মিডসামার নাইট্স ড্রিম নাটকে পাক চরিত্রে কাজের প্রস্তাব পান। এই গ্রীষ্মে অস্ট্রিয় পরিচালক মাক্স রাইনহার্ট হলিউড বলে একই নাটকের নতুন মঞ্চায়নের উদ্বোধনীর লক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়ায় আসেন। রাইনহার্টের একজন সহকারী সারাটোগায় তাকে অভিনয় করতে দেখার পর তিনি তাকে হার্মিয়া চরিত্রে দ্বিতীয় প্রতিনটের কাজের প্রস্তাব দেন। উদ্বোধনীর এক সপ্তাহ পূর্বে অপর প্রতিনট ও প্রধান অভিনেত্রী গ্লোরিয়া স্টুয়ার্ট দুজনেই এই কাজ ছেড়ে চলে গেলে ১৮ বছর বয়সী ডা হ্যাভিলন্ড হার্মিয়া চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান। তার অভিনয়ে মুগ্ধ রাইনহার্ট পরবর্তী চার সপ্তাহের সফরের জন্য তাকে এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। এই সফরে রাইনহার্ট এই নাটকের ওয়ার্নার ব্রস. প্রযোজিত চলচ্চিত্র পরিচালনার প্রস্তাব পান। রাইনহার্ট তাকে এই চলচ্চিত্রে হার্মিয়া চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। তখনও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য উৎসুক ডা হ্যাভিলন্ড শুরুতে পিছু হটে গেলেও রাইনহার্ট ও নির্বাহী প্রযোজক হেনরি ব্ল্যাঙ্ক তাকে ১৯৩৪ সালের ১২ই নভেম্বর ওয়ার্নার ব্রসের সাথে পাঁচ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করান। শুরুতে তার পারিশ্রমিক ছিল প্রতি সপ্তাহে $২০০, যা দিয়ে তার পেশাদার অভিনয় জীবন শুরু হয়, যার ব্যপ্তি ছিল ৫০ বছরের অধিক।
ডা হ্যাভিলন্ড ২০২০ সালের ২৬শে জুলাই ১০৪ বছর বয়সে ফ্রান্সের প্যারিসে তার নিজ বাড়িতে ঘুমের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
দেশ | তারিখ | সম্মাননা | সংক্ষিপ্তরূপ |
---|---|---|---|
যুক্তরাজ্য | ২০১৭ – ২৫ জুলাই ২০২০ | ডেম কমান্ডার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার | ডিবিই |
দেশ | তারিখ | সম্মাননা |
---|---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ২০০৮ – ২৫ জুলাই ২০২০ | জাতীয় শিল্পকলা পদক |
ফ্রান্স | ২০১০ – ২৫ জুলাই ২০২০ | লেজিওঁ দনরের শ্যভালিয়ে |
অবস্থান | তারিখ | প্রতিষ্ঠান | ডিগ্রি |
---|---|---|---|
ফ্রান্স | ১৯৯৪ | আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব প্যারিস | ডক্টরেট |
ইংল্যান্ড | ১৯৯৮ | হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় | ডক্টর অব লেটার্স (ডি. লিট.) |
অবস্থান | তারিখ | সংস্থা | পদবী |
---|---|---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১৯৪০ – ২৫ জুলাই ২০২০ | একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস | সদস্য (অভিনয়শিল্পী শাখা) |
পূর্ববর্তী: এলমো উইলিয়ামস | বয়োজ্যেষ্ঠ অস্কার বিজয়ী ২৫ নভেম্বর ২০১৫ - ২৬ জুলাই ২০২০ | পরবর্তী: TBC |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article অলিভিয়া ডা হ্যাভিলন্ড, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.