১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ বা প্রথম আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইসরায়েল এবং আরব রাষ্ট্রসমূহ ও ফিলিস্তিনি আরব বাহিনীর গুলোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনী মধ্যে সংঘটিত হয়। এটি আরবিতে নাকবা (বিপর্যয়) ও হিব্রুতে মিলখেমেত হাতজমাউত (স্বাধীনতা যুদ্ধ) বলে পরিচিত যা ১৯৪৮ ফিলিস্তিন যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায়।

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: ১৯৪৮ ফিলিস্তিন যুদ্ধ
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ
ক্যাপ্টেন আভরাহাম আদান কর্তৃক উম্মে রাশরাশে পতাকা উত্তোলন
তারিখ১৫ মে ১৯৪৮ – ১০ মার্চ ১৯৪৯
(৯ মাস, ৩ সপ্তাহ ও ২ দিন)
চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি ১৯৪৯ সালের ২০ জুলাই সম্পন্ন হয়
অবস্থান
ফলাফল ইসরায়েলের বিজয়; ফিলিস্তিনি আরবদের বিজয়; আরব লীগের কৌশলগত পরাজয়; যুদ্ধবিরতি চুক্তি
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিভাগ পরিকল্পনাতে বরাদ্দকৃত ভূখণ্ড ইসরায়েল ধরে রাখতে সক্ষম হয়, আরব রাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দকৃত ভূখণ্ডের ৫০% ইসরায়েল কর্তৃক দখল করে নেয়া হয়, জর্ডান কর্তৃক পশ্চিম তীর অধিকার, মিশর কর্তৃক গাজা উপত্যকা অধিকার
বিবাদমান পক্ষ

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ Israel


২৬ মে ১৯৪৮ এর পূর্বে:
ইশুভ:

  • হাগানাহ
  • পালমাচ
  • ইরগুন
  • লেহি

২৬ মে ১৯৪৮ এর পরে:
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী

  • আইডিএফ সোর্ড‌ ব্যাটেলিয়ন

বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী:
মাহাল
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ Czechoslovakia
  • ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ মিশর
  • ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ Jordan
  • ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ ইরাক
  • ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ Syria
  • ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ Lebanon (লেবানন যুদ্ধে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং শুধু ১৯৪৮ সালের ৫-৬ জুন আল মালিকিয়ার লড়াইয়ে অংশ নেয়।)

অনিয়মিত:
All-Palestine Government জাইশ আল জিহাদ আল মুকাদ্দাস
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ জাইশ আল ইনকাজ আল আরাবি


বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী:
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুড
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ সৌদি আরব
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ ইয়েমেন

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ Pakistan
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ সুদান
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী

রাজনীতিবিদ:
ইসরায়েল ডেভিড বেন গুরিওন
কমান্ডার:
ইসরায়েল ইসরায়েল গালিলি
ইসরায়েল ইয়াকভ দরি
ইসরায়েল ইগায়েল ইয়াদিন
ইসরায়েল মিকি মারকুস  
ইসরায়েল ইগাল এলন
ইসরায়েল ইতজাক রবিন
ইসরায়েল ডেভিড শালতিল
ইসরায়েল মোশে দায়ান

ইসরায়েল শিমন আভিদান

রাজনীতিবিদ:
আরব লীগমিশরের রাজ্য আজজাম পাশা
মিশরের রাজ্য প্রথম ফারুক
জর্ডান প্রথম আবদুল্লাহ
ইরাক রাজতন্ত্র মুজাহিম আল পাচাচি
সিরিয়া হুসনি আল জাইম
All-Palestine Government মুহাম্মদ আমিন আল হুসাইনি
কমান্ডার:
মিশরের রাজ্য আহমেদ আলি আল মুয়াউয়ি
মিশরের রাজ্য মুহাম্মদ নজিব
জর্ডান জন বেগট গ্লাব
জর্ডান হাবিস আল মাজালি
১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ হাসান সালামা  

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ ফাউজি আল কায়ুকজি
শক্তি
ইসরায়েল: প্রাথমিকভাবে ২৯,৬৭৭, ১৯৪৯ সালের মার্চ নাগাদ ১,১৭,৫০০ জনে পৌছায়। এতে সমগ্র সামরিক ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত আছে মিশর: প্রাথমিকভাবে ১০,০০০, পরে ২০,০০০ জনে পৌছায়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইরাক: প্রাথমিকভাবে ৩,০০০, পরে ১৫,০০০-১৮,০০০ জনে পৌছায়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সিরিয়া: ২,৫০০–৫,০০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ট্রান্সজর্ডান: ৮,০০০–১২,০০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
লেবানন: ১,০০০
সৌদি আরব: ৮০০–১,২০০০ (মিশরীয় কমান্ড)
ইয়েমেন: ৩০০[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
জাইশ আল ইনকাজ আল আরাবি: ৩,৫০০–৬,০০০.
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
৬,৩৭৩ নিহত (৪,০০০ সৈনিক ও ২,৪০০ বেসামরিক) আরব সেনাবাহিনী:
৩,৭০০-৭,০০০ নিহত
ফিলিস্তিনি আরব:
৩,০০০-১৩,০০০ নিহত (যোদ্ধা ও বেসামরিক মিলিয়ে)

১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের বেলফোর ঘোষণা ও ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ মেন্ডেটের পর থেকে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ চলছিল। আরব ও ইহুদি উভয় গোষ্ঠীই ব্রিটিশ নীতির কারণে অসন্তুষ্ট ছিল। ফিলিস্তিনে আরব বিদ্রোহের পর থেকে আরবদের মধ্যে বিরোধী গ্রুপ গড়ে উঠে। ইহুদিদের প্রতিরোধের ফলশ্রুতিতে ইহুদি শক্তির উত্থান হয়। ফিলিস্তিন মেন্ডেটকে দ্বিখন্ডিত করার পরিকল্পনার ফলে সৃষ্ট চলমান উত্তেজনার ফলে ১৯৪৭ এর ৩০ নভেম্বর আরব ও ইহুদিদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ফিলিস্তিনকে দুভাগ করে একটি আরব রাষ্ট্র, একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও জেরুজালেমের জন্য একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক শাসন সৃষ্টি করা এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল।

১৯৪৮ এর ১৪ মে চলমান গৃহযুদ্ধ ইসরায়েল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার রাষ্ট্রীয় বিরোধ রূপ নেয়। মিশর, জর্ডান ও সিরিয়া এবং ইরাকের প্রেরণ করা সেনাদলের সম্মিলিত বাহিনী ফিলিস্তিনে ঢুকে পড়ে। তারা আরব অঞ্চলগুলো অধিকার করে নেয় এবং ইসরায়েলি বাহিনী ও বেশ কিছু ইহুদি বসতিতে আক্রমণ করে। কিছু সন্ধিকালীন সময় বাদে দশমাস যাবত চলা যুদ্ধের বেশীরভাগ সাবেক ব্রিটিশ মেন্ডেট অঞ্চলে এবং অল্প কিছু সময় সিনাই উপদ্বীপ ও দক্ষিণ লেবাবনে সংঘটিত হয়।

যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে ইসরায়েল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্রস্তাব ১৮১ কর্তৃক প্রস্তাবিত ভূখণ্ড ধরে রাখতে সক্ষম হয় এবং জাফা, লুদ, রামলা, গেলিলি, নেগেভের কিছু অংশ, তেলআবিব-জেরুজালেম সড়কসহ একটি প্রশস্ত উপত্যকা, পশ্চিম জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরের কিছু অংশসহ প্রস্তাবিত আরব রাষ্ট্রের ৬০% এর উপর কর্তৃক স্থাপন করে। ট্রান্সজর্ডান পূর্ব জেরুজালেমসহ অবশিষ্ট পশ্চিম তীরের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। মিশরীয় সেনারা গাযা উপত্যকা অধিকার করে। এতে কোনো আরব ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইরাকি ও ফিলিস্তিনিরা ছাড়া বাকি পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সংঘর্ষের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের জনসংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ৭০,০০০ এর মত ফিলিস্তিনি আরব ইসরায়েলের অংশ হওয়া অঞ্চল থেকে পালিয়ে যায় বা বহিস্কৃত হয় এবং তারা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। যুদ্ধের পরবর্তী ৩ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য স্থান থেকে প্রায় ৭০,০০০ এর মত ইহুদি তাদের দেশ থেকে পালিয়ে নাহয় বহিস্কৃত হয়ে ইসরায়েলে বসতি স্থাপন করা অন্যান্য ইহুদি উদ্বাস্তুদের সাথে ইসরায়েলে চলে আসে।

আরও দেখুন

  • নাকবা
  • আরব ভূমি থেকে ইহুদিদের দেশত্যাগ

তথ্যসূত্র

ইতিহাস

গল্প

  • The Hope by Herman Wouk, a historical novel that includes a fictionalized version of Israel's War of Independence.

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Anti-Jewish pogroms during the 1948 Arab-Israeli War

Tags:

১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ আরও দেখুন১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ তথ্যসূত্র১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ আরও পড়ুন১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ বহিঃসংযোগ১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধইসরায়েলনাকবাফিলিস্তিনি ফেদাইন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বগুড়া জেলাঝিনাইদহ জেলাজলাতংকপাবনা জেলারামায়ণগৌতম বুদ্ধষাট গম্বুজ মসজিদদেশ অনুযায়ী ইসলামসুন্দরবনসূরা ফাতিহালোকসভাআবুল খায়ের গ্রুপমোহনবাগান সুপার জায়ান্টবাংলাদেশের ইতিহাসবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলবাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার তালিকাসিরাজগঞ্জ জেলামহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রসুভাষচন্দ্র বসুবিকাশমাইকেল মধুসূদন দত্তসিফিলিসচৈতন্যচরিতামৃতনদীগায়ত্রী মন্ত্রনাটকহিমোগ্লোবিনসেভেন আপঢাকা বিভাগপ্রেমকৃত্তিবাসী রামায়ণজয়া আহসানবাংলাদেশ পুলিশবাংলাদেশ নৌবাহিনীঅষ্টাঙ্গিক মার্গমুহাম্মাদের সন্তানগণনারায়ণগঞ্জ জেলাইমাম বুখারীনাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রমুসাফিরের নামাজভারতের সংবিধানঅ্যান্টিবায়োটিক তালিকাবাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহের তালিকাব্রহ্মপুত্র নদউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগদারাজরাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)শ্রীকৃষ্ণকীর্তনঅমর্ত্য সেনসালাহুদ্দিন আইয়ুবিবাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেডরচনা বন্দ্যোপাধ্যায়টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবেদে জনগোষ্ঠীসার্বিয়াপ্রস্তর যুগআবদুল হামিদ খান ভাসানীআতাভারত বিভাজনপূবালী ব্যাংক পিএলসিকামরুল হাসানফিলিস্তিনপারমাণবিক অস্ত্রফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকাপাকিস্তানবাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের তালিকাপশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেডহুমায়ূন আহমেদযোনি পিচ্ছিলকারকওয়েব ধারাবাহিকবাংলাদেশ আওয়ামী লীগহনুমান চালিশাকলকাতাগর্ভধারণকৃত্রিম উপগ্রহস্বপ্ন যাবে বাড়ি🡆 More