অঞ্চল পাঞ্জাব: পাকিস্তান ও ভারতের প্রদেশ

পাঞ্জাব (পঞ্জাব, পঞ্জ-অব, পাঁচটি নদী র জমি) ভারতীয় উপমহাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ার উত্তরদিকের অংশের একটি ভৌগোলিক অঞ্চল, যেটি পূর্ব পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের এলাকার সমন্বয়ে গঠিত।

এটা সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা দ্বারা অধ্যুষিত হয়েছে, ইন্দো-আর্য জাতি ও আখেমেনীয় সাম্রাজ্য, গ্রীক, কুষাণ সাম্রাজ্য, গজনভি, টিমুরিদ, মুঘল, আফগান, ব্রিটিশ এবং অন্যদের দ্বারা অসংখ্য আক্রমণের সাক্ষী। বর্তমানের পাঞ্জাবের মানুষকে পাঞ্জাবি বলা হয় এবং তাদের প্রধান ভাষা পাঞ্জাবি। পাঞ্জাব অঞ্চলের প্রধান ধর্মগুলি হল ইসলাম, হিন্দু, এবং শিখ। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠী হল খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধধর্ম।

১৯৪৭ সালে  ব্রিটিশ ভারত ভেঙে দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায়।

ভারতের এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত পাঞ্জাব রাজ্য, চন্ডীগড়, জম্মু বিভাগ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লির অংশ এবং রাজস্থানের অংশ, বিশেষ করে শ্রী গঙ্গানগর এবং হনুমানগড় জেলা।

পাকিস্তানে পাঞ্জাব অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত স্থানগুলি হল পাঞ্জাব প্রদেশ,ইসলামাবাদ, ভীমবার, মীরপুর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের দক্ষিণ আজাদ কাশ্মীরের অংশ।  এবং খাইবার পাখতুনখোয়া অংশ (যথা পেশোয়ার পাঞ্জাব অঞ্চলে পিশোর নামে পরিচিত)।

ভাষা

অঞ্চল পাঞ্জাব: ভাষা, প্রধান শহর, কালপঞ্জি
পাঞ্জাবী ভাষার উপভাষাসমূহ

পাঞ্জাবের প্রধান ভাষা পাঞ্জাবী, ভারতীয় পাঞ্জাবে, এই লেখা গুরুমুখী লিপিতে লেখা হয়। পাকিস্তানের , শাহমুখী লিপি (যেটি উর্দু লিপির কাছাকাছি ) ব্যবহার করা হয়। ভারতের হিমাচল প্রদেশ এবং হরিয়ানায় দেবনাগরী লিপিতে হিন্দি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

জনসংখ্যার প্রবণতা জন্য প্রধান ধর্মীয় দলের পাঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে , ব্রিটিশ ভারত (১৮৮১-১৯৪১)
ধর্মীয়

গ্রুপ

জনসংখ্যা

% ১৮৮১

জনসংখ্যা

% ১৮৯১

জনসংখ্যা

% ১৯০১

জনসংখ্যা

% ১৯১১

জনসংখ্যা

% ১৯২১

জনসংখ্যা

% ১৯৩১

জনসংখ্যা

% ১৯৪১

ইসলাম ৪৭.৬% ৪৭.৮% ৪৯.৬% ৫১.১% ৫১.১% ৫২.৪% ৫৩.২%
হিন্দুধর্ম ৪৩.৮% ৪৩.৬% ৪১.৩% ৩৫.৮% ৩৫.১% ৩০.২% ২৯.১%
শিখ 8.2% 8.2% 8.6% ১২.১% ১২.৪% ১৪.৩% ১৪.৯%
খ্রিস্টান ০.১% ০২% ০৩% ০.৮% ১.৩%
১.৫% ১.৫%
অন্য ধর্মের / কোন ধর্ম ০.৩% ০.২% ০.২% ০.২% ০.১% ১.৬% ১.৩%

প্রধান শহর

অঞ্চল পাঞ্জাব: ভাষা, প্রধান শহর, কালপঞ্জি 
বাদশাহী মসজিদ, লাহোর
অঞ্চল পাঞ্জাব: ভাষা, প্রধান শহর, কালপঞ্জি 
ক্লক টাওয়ার, ফয়সালাবাদ
অঞ্চল পাঞ্জাব: ভাষা, প্রধান শহর, কালপঞ্জি 
স্বর্ণ মন্দির, অমৃতসর

কালপঞ্জি

  • ৩৩০০–১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: হরপ্পা সভ্যতা
  • ১৫০০–১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: (ঋগ্বেদের সময়ের) বৈদিক সভ্যতা
  • ১০০০–৫০০খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: মধ্য এবং পরবর্তী বৈদিক যুগ
  • ৫৯৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: মহাবীরের জন্ম
  • ৫৬৭–৪৮৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: গৌতম বুদ্ধের সময়
  • ৫৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ: বৌদ্ধধর্ম প্রচলিত থাকল।
  • ৩২৬খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: আলেকজান্ডারের পাঞ্জাব আক্রমণ
  • ৩২২–২৯৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: প্রথম চন্দ্রগুপ্ত, মৌর্য রাজত্বকাল
  • ২৭৩–২৩২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ অশোকের রাজত্বকাল।
  • ১২৫–১৬০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ: শকেদের উত্থান
  • ২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ:শক শাসনের প্রারম্ভ
  • ৪৫–১৮০: কুশানদের শাসনকাল
  • ৩২০–৫৫০: গুপ্ত সাম্রাজ্য
  • ৫০০: হানিক আক্রমণ
  • ৫১০–৬৫০: বর্ধন যুগ
  • ৭১১–৭১৩: মুহাম্মদ বিন কাশিম সিন্ধু ও পাঞ্জাব অঞ্চলের ক্ষুদ্র অংশ জয় করেন।
  • ৭১৩–1200: Rajput states, Kabul Shahi & small Muslim kingdoms
  • ১২০৬–১২৯০: Mamluk dynasty established by Mohammad Ghori
  • ১২৯০–১৩২০: Khilji dynasty established by Jalal ud din Firuz Khilji
  • ১৩২০–১৪১৩: Tughlaq dynasty established by Ghiyasuddin Tughlaq
  • ১৪১৪–১৪৫১: Sayyid dynasty established by Khizr Khan
  • ১৪৫১–১৫২৬: Lodhi dynasty established by Bahlul Khan Lodhi
  • ১৪৬৯–১৫৩৯: গুরু নানক
  • ১৫২৬–১৭০৭: Mughal rule
  • ১৫৩৯–১৬৭৫: Period of 8 Sikh Gurus from Guru Angad Dev to Guru Tegh Bahadur
  • ১৬৭৫–১৭০৮: Guru Gobind Singh (10th Sikh Guru)
  • ১৬৯৯: খালসার জন্ম
  • ১৭০৮–১৭১৩: Conquests of Banda Bahadur
  • ১৭২২ Birth of Ahmed Shah Durrani, either in Multan in Mughal Empire or Herat in Afghanistan
  • ১৭১৪–১৭৫৯: Sikh chiefs (Sardars) war against Afghans & Mughal Governors
  • ১৭৩৯: Invasion by Nader Shah and defeat of weakened Mughal Empire
  • ১৭৪৭–১৭৭২: Durrani Empire led by Ahmad Shah Durrani
  • ১৭৫৬–১৭৫৯: Sikh and Maratha Empire cooperation in the Punjab
  • ১৭৬১: The Third Battle of Panipat, between the Durrani Empire against the Maratha Empire.
  • ১৭৬২: 2nd massacre (Ghalughara) from Ahmed Shah's 2nd invasion
  • ১৭৬৫–১৮০১: Rise of the Sikh Misls which gained control of significant swathes of Punjab
  • ১৮০১–১৮৩৯: শিখ সাম্রাজ্য এছাড়াও সরকার খালসা হিসাবে পরিচিত, মহারাজা রণজিৎ সিং দ্বারা শ্বাসিত।
  • ১৮৪৫–১৮৪৬: প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ
  • ১৮৪৬: জম্মুর নতুন রাজ্য জম্মু কাশ্মীরে যোগদান।
  • ১৮৪৮–1849: দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ
  • ১৮৪৯: ব্রিটিশ ভারতে পাঞ্জাবের সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তি
  • ১৮৪৯–১৯৪৭: ব্রিটিশ শাসনকাল
  • ১৯০১: পেশোয়ার ও সংলগ্ন জেলা পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে পৃথক হল।
  • ১৯১১: দিল্লির অংশগুলি পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে পৃথক হল।
  • ১৯৪৭: ভারত বিভাগে পাঞ্জাব দুই অংশের মধ্যে বিভক্ত হয়। (দুই নদী) পূর্ব অংশ হয়ে ওঠে ভারতীয় পাঞ্জাব ও পশ্চিম অংশ (তিনটি নদী) পাকিস্তান পাঞ্জাব
  • ১৮৬৬: ভারতীয় পাঞ্জাব তিনভাগে বিভক্ত হয়: Pপাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ।

ফটো গ্যালারি

তথ্যসূত্র

Tags:

অঞ্চল পাঞ্জাব ভাষাঅঞ্চল পাঞ্জাব প্রধান শহরঅঞ্চল পাঞ্জাব কালপঞ্জিঅঞ্চল পাঞ্জাব ফটো গ্যালারিঅঞ্চল পাঞ্জাব তথ্যসূত্রঅঞ্চল পাঞ্জাবপূর্ব পাকিস্তান

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

টাইটানিকজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীবাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডমধ্যপ্রাচ্যসার্বিয়ামুসাফিরের নামাজঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকাশশাঙ্কবাঙালি মুসলিমদের পদবিসমূহবিবাহমুসাসূর্যোদয়আব্বাসীয় খিলাফতপ্রেমবায়ার ০৪ লেভারকুজেনপৃথিবীর ইতিহাসইসলামি বর্ষপঞ্জিজওহরলাল নেহেরুঅর্শরোগহিন্দি ভাষাছয় দফা আন্দোলনবিটিএসস্ক্যাবিসশবনম বুবলি১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহমোশাররফ করিমবাংলাদেশ নৌবাহিনীবাবরবেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসোনালী ব্যাংক পিএলসিবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরপেপসিইউরোমিয়া মালকোভারাম নবমীবাংলাদেশের পোস্ট কোডের তালিকাউত্তম কুমারজাহ্নবী কাপুরহানাফী (মাযহাব)ঋতুগোপাল ভাঁড়বাংলাদেশের মন্ত্রিসভাসার্বভৌমত্বচৈতন্য মহাপ্রভুঈসাচট্টগ্রাম জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থানবাংলাদেশের উপজেলাচেঙ্গিজ খানগোলাপআহমদ ছফাজীববৈচিত্র্যওয়াহাবি আন্দোলনসিরাজউদ্দৌলাএম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামজবাবাংলালিংকমাইটোসিসমুম্বই ইন্ডিয়ান্সব্র্যাকশ্রীকৃষ্ণকীর্তনপাবনা জেলাপ্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীসমূহফুটিজায়েদ খান (বাংলাদেশী অভিনেতা)ক্রোমোজোমবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাখাজা সলিমুল্লাহখ্রিস্টধর্মঢাকা বিভাগসুলতান সুলাইমানচার্লি চ্যাপলিনজলাতংকপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা🡆 More