অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড

অ্যান্ড্রয়েড (ইংরেজি: Android) বা এন্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যেটি পরিবর্তিত লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে গুগল এটির উন্নয়ন করছে। গুগল এলএলসি প্রাথমিক ডেভেলপারদের (অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেট) কাছ থেকে অ্যান্ড্রয়েড কিনে নেয় ২০০৫ সালে। গুগল এবং অন্যান্য মুক্ত হ্যান্ডসেট অ্যাল্যায়েন্সের সদস্যরা অ্যান্ড্রয়েডের ডেভেলপমেন্ট ও রিলিজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট’টি (এওএসপি) অ্যান্ড্রয়েডের রক্ষনাবেক্ষন এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়নের কাজ করে । অ্যান্ড্রয়েড বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম।

অ্যান্ড্রয়েড
অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড
অ্যান্ড্রয়েড লোগো
ডেভলপার
প্রোগ্রামিং ভাষাসি (কোর), সি++, জাভা (ইউআই)
ওএস পরিবারইউনিক্স-সদৃশ
কাজের অবস্থাচলমান
সোর্স মডেলমুক্ত সোর্স
প্রাথমিক মুক্তি২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (2008-09-23)
সর্বশেষ মুক্তিঅ্যান্ড্রয়েড ১৩ (এস) / ১৬ আগস্ট ২০২২; ১৯ মাস আগে (2022-08-16)
মার্কেটিং লক্ষ্যস্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, অ্যান্ড্রয়েড অটো, স্মার্টওয়াচ।
ভাষাসমূহ১০০+ টি ভাষা
প্যাকেজ ম্যানেজারগুগল প্লে, এপিকে-ভিত্তিক
প্ল্যাটফর্ম৩২-বিট এবং ৬৪-বিট; এক্স৮৬; এক্স৮৬-৬৪ এআরএম এবং এমআইপিএস৬৪
কার্নেলের ধরনমনোলিথিক কার্নেল(মোডিফাইড লিনাক্স কার্নেল)
ব্যবহারকারী ইন্টারফেসচিত্রভিত্তিক (মাল্টি-টাচ)
লাইসেন্সঅ্যাপাচি লাইসেন্স ২.০
গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স ২য় সংস্করণের অধীনে লিনাক্স কার্নেল মোডিফিকেশন
ওয়েবসাইটwww.android.com

অ্যান্ড্রয়েডের অনেক ডেভেলপার রয়েছে যারা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করে থাকে। এখন প্রায় ৩৫ লাখের উপরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে গুগল প্লে স্টোরে। গুগল প্লে স্টোর হলো গুগলের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর, যেটি অধিকাংশ স্মার্টফোনের সাথে পূর্বপ্রদত্ত থাকে। ডেভেলপাররা প্রাথমিকভাবে জাভা দিয়ে প্রোগ্রাম লিখে, যেটা গুগল জাভা লাইব্রেরি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে জাভার পাশাপাশি কটলিন ও ডার্ট প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার হচ্ছে।

ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের শুরুর সাথে সাথে অ্যান্ড্রয়েডের বিতরণ উন্মুক্ত করা হয় ৫ই নভেম্বর ২০০৭ সালে, যেখানে ৮০টি হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং টেলিকম কোম্পানি ছিল। তাদের সকলের উদ্দেশ্য ছিল মুক্ত আদর্শ মোবাইল প্লাটফর্ম তৈরী করা। গুগল অ্যান্ড্রয়েডের বেশিরভাগ কোড উন্মুক্ত করে দেয় এপ্যাচি এবং মুক্ত উৎসের লাইসেন্সের আওতায়।

অ্যান্ড্রয়েডের সফটওয়্যার জাভা অ্যাপ্লিকেশনের সমন্বয়ে গঠিত, যা জাভার উপর ভিত্তি করে তৈরী করা, এটি ডেলভিক ভার্চুয়াল মেশিনে (জেআইটি কম্পাইলেশন ব্যবহার করে) জাভা কোর লাইব্রেরিতে চলে। লাইব্রেরিটি প্রোগ্রামিং ভাষা সিতে লিখা যাতে আছে সারফেস ম্যানেজার, ওপেন কোর মিডিয়া ফ্রেমওর্য়াক, এসকিউলিট রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ওপেনজিএল ইএস ২.০ ত্রি মাত্রার গ্রাফিক্স এপিআই, ওয়েবকিট লেআউট ইঞ্জিন, এসজিএল গ্রাফিক্স ইঞ্জিন, এসএসএল এবং বাইয়োনিক লিবক। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম (যাতে লিনাক্স কার্নেল আছে) প্রায় ১২ মিলিয়ন কোডিং লাইনের সমন্বয়ে তৈরী যাতে আছে প্রায় ৩ মিলিয়ন এক্সএমএল লাইন, প্রায় ২.৮ মিলিয়ন সি (প্রোগ্রামিং ভাষা) লাইন, ২.১ মিলিয়ন জাভা লাইন এবং

১.৭৫ মিলিয়ন সি++ লাইন।

ইতিহাস

অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ২০০৩ সালের অক্টোবরে পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ায়, প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি রুবিন (ডেন্জারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা), রিচ মাইনার(ওয়াইল্ডফায়ার কমউনিকেশনস, ইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা), নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট) নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট)এবং ক্রিস হোয়াইট (ওয়েবটিভি’র ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান)। যেহেতু তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তাই অ্যান্ড্রয়েডের কার্যক্রম চলতো অনেকটা গোপনে। প্রতিষ্ঠান থেকে এটা বলা হত যে তারা শুধু মোবাইলের একটি সফটওয়্যারের উপর কাজ করছেন। কোম্পানির প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিলো ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য একটি উন্নত মানের অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা। যদিও পরে তারা বুঝতে পারেন ডিভাইসটির বাজার তত বড় নয়। তাই কোম্পানিটি মনোযোগ দেয় স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর উপর। উদ্দেশ্য ছিলো এটি সিমবিয়ান এবং মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সাথে পাল্লা দেবে। অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেড লুকিয়ে পরিচালনা করা হত, কিন্তু সবাইকে বলতো তারা মোবাইল সফটওয়্যারের উপর কাজ করছে। একই বছরে রুবিনের টাকা ফুরিয়ে যায়। স্টিভ পার্লম্যান, রুবিনের কাছের বন্ধু, তার জন্য ১০,০০০ ডলার নগদ একটি খামে রেখে দেয় এবং কোম্পানির ঝুঁকি নিতে অস্বীকার করে।

গুগল অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেটেড ১৭ আগস্ট ২০০৫ সালে কিনে নেয়; প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মচারীদের তারা আগের অবস্থানেই রাখে (এন্ডি রুবিন, রিচ মাইনার এবং ক্রিস হোয়াইট) । সে সময় অ্যান্ড্রয়েড সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত জানা যায়নি, কিন্তু অনেকেই ধারণা করেছিল যে গুগল মোবাইল বাজারে আসতে যাচ্ছে। গুগলে, রুবিন কর্তৃক পরিচালিত একটি দল মোবাইলের প্লাটফর্ম হিসেবে লিনাক্স কার্নেল ডেভেলপ করে। গুগল এই প্লাটফর্মকে বাজার ছাড়ে হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শর্ত হিসেবে বলে যে তারা এর হালনাগাদ বা উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে। গুগল কিছু হার্ডওয়্যার উপাদান এবং সফটওয়্যার অংশীদারের কথা উল্লেখ্য করে যা অনেক ক্ষেত্রে মুক্ত এবং এমনকি তাদের অংশেও।

গুগলের কার্যক্রম দেখে অনেকেই মনে মনে ভাবতে শুরু করেন যে গুগল মোবাইল যোগাযোগ বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে (২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে)। বিবিসি এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল উল্লেখ করে গুগল তাদের সার্চ ইঞ্জিন এবং অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ফোনে চালাতে চায় এবং তারা তা করার জন্য কাজ করছে। অনলাইন এবং কাগজে গুজব ছড়াতে থাকে যে গুগল তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট তৈরী করছে। কেউ কেউ মতামত দেয় যে যেহেতু গুগল কারিগরী দিকগুলোর কথা বলছে সেহেতু এটা মোবাইল ফোনের নমুনা উৎপাদক এবং নেটওর্য়াক অপারেটরদের দেখাচ্ছে।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, ইনফরমেশন উইক প্রকাশ করে যে গুগল কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে প্যাটেন্ট করে নিয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
এরিক স্কমিডিট , এন্ডি রুবিন, এবং হুগো বাররা গুগল নেক্সাস ৭ ট্যাবলেটের সংবাদ সম্মেলনে

৫ই নভেম্বর, ২০০৭ সালে ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স সূচনা করে যাতে ছিল ব্রডকম কর্পোরেশন, গুগল, এইচটিসি, ইন্টেল, এলজি, মার্ভেল টেকনোলজি গ্রুপ, মটোরোলা, এনভিডিয়া, কোয়ালকম, স্যামস্যাং ইলেক্ট্রনিকস, স্প্রিন্ট নেক্সটেল, টি-মোবাইল এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট। ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্সের উদ্দেশ্য হল মুক্ত ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্লাটফর্ম তৈরী করা। একই দিনে, ওপেন হ্যান্ডসেট এল্যায়েন্স তাদের প্রথম পণ্য অ্যান্ড্রয়েড ছাড়ে যা লিনাক্স কারণেল ২.৬.২৫ এর উপর ভিত্তি করে তৈরী। প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ছাড়া স্মার্টফোনটি ছিল এইচটিসি ড্রিম যা ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর ছাড়া হয়।

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
এইচটিসি ড্রিম

৯ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে, আরো ১৪ জন নতুন সদস্য যোগ দেয় যাতে ছিল এআরএম হোল্ডিংস, এথিরস কমিউনিকেশনস, আসুসটেক কম্পিউটার ইনকর্পোরেট, জারমিন লিমিটেড, হাওয়াই টেকনোলজিস, প্যাকেটভিডিও, সফটব্যাংক, সনি এরিকসন, তোসিবা ককর্পোরেশন এবং ভোডাফোন গ্রুপ।

২০১০ সালে গুগল তাদের গুগল নেক্সাস সিরিজের স্মার্টফোন ছাড়ে, যা অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট সিরিজের নাম এবং প্রস্তুত করা হয় অংশীদারত্বের মাধ্যমে। এইচটি গুগলের সাথে মিলে প্রথম নেক্সাস স্মার্টফোন তৈরি করে যা ছিল নেক্সাস ওয়ান। গুগল তারপর থেকেই এই সিরিজের ডিভাইস ডেভেলপ করে এসেছে, যেমন—নেক্সাস ৫ তৈরী করে এলজি, নেক্সাস ৭ (ট্যাবলেট) তৈরী করে আসুস। গুগল তাদের নেক্সাস ধারার যন্ত্রটি ছাড়ে মূলত অ্যান্ড্রয়েডের একেবারে মূল ধারার পণ্য হিসেবে। কারণ এটি একেবারে নতুন, হালনাগাদকৃত ও উন্নীত অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের বৈশিষ্ট্য সংযুক্ত করে ছাড়া হয়।

২০১৩ সালের ১৩ই মার্চ ল্যারি পেজ তার একটি ব্লগ লেখায় জানান অ্যানডি রুবিন অ্যান্ড্রয়েড বিভাগ থেকে গুগলের অন্য একটি প্রকল্পে চলে গিয়েছেন। তার স্থলে সুন্দর পিচাই স্থলাভিষিক্ত হন যিনি গুগল ক্রোম বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করতেন।

২০০৮ থেকেই, অ্যান্ড্রয়েড অসংখ্য হালনাগাদ পেয়েছে বা করা হচ্ছে যার মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমটিকে উন্নত ও ত্রুটি মুক্ত করা হয়, নতুন সুযোগ সুবিধা যোগ করা হয়। প্রত্যেক বড় ধরনের সংস্করণের নাম ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে রাখা হয় যেমন সংস্করণ ১.৫ কাপকেকের (Cupcake) পর ডোনাট (Donut) ১.৬ সংস্করণ। ৪.৪.৪ কিটক্যাটⓠ আসলে নিরাপত্তা বিষয়ক হালনাগাদ যা ছাড়া হয় ১৯ শে জুন ২০১৪ সালে ৪.৪.৩ সংস্করণ ছাড়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যে। অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ উন্মুক্ত করা হয়েছিল ১৪ নভেম্বর ২০১৪ সালে এবং এতে মেটেরিয়াল ডিজাইন সূচনা করা হয়; পরে আরো দুটি ত্রুটি সংশোধন সংস্করণ ছাড়া হয় (৫.০.১ এবং ৫.০.২)।

২০১৪ সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান বাজারে ছাড়ে যা একটি স্মার্টফোনের আদর্শ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। প্রধানত এটি যারা ডেভেলপার তাদের জন্যই ছাড়া হয়। অ্যান্ড্রয়েড ওয়ানের স্মার্টফোনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ রাখা হয় যা মূল অ্যান্ড্রয়েডে সংস্করন বা স্টক অ্যান্ড্রয়েডের কাছাকাছি।

৬ আগস্ট ২০১৮ (2018-08-06)-এর হিসাব অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই মুক্তি দেওয়া হয় শুধুমাত্র পিক্সেল যন্ত্রের জন্যে। এ বছরের শেষের দিকে অন্যান্য যেসব যন্ত্র বেটার জন্যে সাইন আপ করেছিলো, তারা এ হালনাগাদটি পাবে। গুগল এ বছরের আগস্টে তা সবার জন্যে উন্মুক্ত করবে। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত হুগো বাররা অ্যান্ড্রয়েড দলের পক্ষে তাদের পন্যের মুখপাত্র হিসেবে ছিলেন। তিনি অ্যান্ড্রয়েড প্রতিনিধিত্ব করতেন সংবাদ সম্মেলন এবং গুগল আই/ও, গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার-কেন্দ্রিক সংবাদসম্মেলনগুলোতে। তিনি পুরো অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেম যাতে সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার রয়েছে তার পুরোটাই প্রতিবেদন করতেন। যেমন— হানিকম্ব ,আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন এবং কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম যাত্রার সংবাদ সম্মেলন। নেক্সাস ৪ এবং নেক্সাস ৫ স্মার্টফোন, নেক্সাস ৭ ৭ এবং নেক্সাস ১০ ট্যাবলেটসমূহ। এছাড়া আরো গুগল সম্পর্কিত পণ্য যেমন গুগল নাও এবং গুগল ভয়েস সার্চ ২০১৩ সালে বাররা অ্যান্ড্রয়েড দল ছেড়ে চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারণ শাওমিতে যোগ দেন।

অক্টোবর ২০১৬ তে গুগল পিক্সেল ও পিক্সেল এক্সএল রিলিজ করে, যেগুলোকে বলা হয় গুগল কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রথম স্মার্টফোন। ২০১৭ সালে নতুন সংস্করণ প্রকাশের পর গুগল পিক্সেল নেক্সাস সিরিজকে প্রতিস্থাপন করে।

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
গুগল পিক্সেল ও পিক্সেল এক্সএল

বৈশিষ্ট্য

ইন্টারফেস

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ ন্যুগাটের নোটিফিকেশন শেড

অ্যান্ড্রয়েডের ইউজার ইন্টারফেস সরাসরি পরিচালনা করা যায় স্পর্শের মাধ্যমে, এছাড়া বিশেষ ধরনের স্পর্শ ধরন যেমন সুইপিং, ট্যাপিং, পিঞ্চিং ইত্যাদির মাধ্যমে প্রদর্শিত বিষয়বস্তুকে পরিচালনা করা যায়। আর লেখার জন্য থাকে ভার্চুয়াল বা থাম্ব কীবোর্ড কি-বোর্ড। ব্যবহারকারী প্রদত্ত ইনপুটের প্রতিক্রিয়া তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীকে সহায়তার জন্য কম্পনের মাধ্যমে স্পর্শ বিষয়ে জানানো হয় যাকে হ্যাপটিিিক ফিডব্যাক বলে। অভ্যন্তরীন হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন অংশ যেমন অ্যাকসেলেরোমিটার, জাইরোস্কোপ এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর বিভিন্ন এপ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যবহারকারীর জন্য এগুলো ব্যবহার করে থাকে। যেমন- ডিভাইসটি অনুভূমিক বা উলম্ব থাকলে প্রদর্শনী ঠিক করা, রেস গেম খেলার সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।। অ্যান্ড্রয়েড বুট হওয়ার পর ব্যবহারকারী যেটা দেখে এটাকে হোমস্ক্রিন বলা হয়। স্টক অ্যান্ড্রয়েডে এ হোমস্ক্রিনে এক বা একাধিক পৃষ্ঠা থাকে এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনসফটওয়্যারের আইকন থাকে। তবে ফোনে থাকে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন এখানে পাওয়া যায় না। সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন পেতে হলে মার্শম্যালো বা তার আগের সংস্করন ব্যবহারকারীদের এপ লঞ্চার আইকনে চাপ দিতে হয়, আর অ্যান্ড্রয়েড ন্যুগাট বা ওরিও সংস্করনে তাকে নিচ থেকে উপরে সুইপ করতে হয় যা তাকে নিয়ে যায় অ্যাপ্লিকেশন ড্রয়ারে যেখানে অন্যান্য সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারকারী বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তার প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী এসব পরিবর্তন করতে পারে। তারা গুগলের প্রদত্ত গুগল নাও লঞ্চার বা পিক্সেল লঞ্চারের পরিবর্তে অন্যান্য পরিবর্তনযোগ্য লঞ্চার ইন্স্টল করতে পারে, যেমন—একশন লঞ্চার, ফেসবুক হোম, টার্বো লঞ্চার, নকিয়া জি লঞ্চার, নোভা লঞ্চার, ইভি লঞ্চার, মাইক্রোসফট লঞ্চার ইত্যাদি।


এছাড়াও প্রস্তুতকারকরা তাদের ব্যবহারকারীদের ভিন্ন ভিন্ন সাদ দিতে তাদের নিজস্ব ইন্টারফেস ব্যবহার করে। যেমন- শাওমির মিইউআই, হুয়াওয়ের ইএমইউআই, আসুসের জেনইউআই, মেইজুর ফ্লাইমি ইত্যাদি যাদের সাথে গুগলের প্রদত্ত অ্যান্ড্রয়েডের মিল নেই বললেই চলে। এদের অনেকেরই বিরুদ্ধে এপলের আইওএসকে নকলের প্রবণতা দেখা যায়।

অ্যাপ্লিকেশন

অ্যাপ্লিকেশন ("অ্যাপস"), যা যন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (এসডিকে) এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে লেখা হয়। গোপ্রোগ্রামিং ভাষাও সমর্থন করে, যদিও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস এর একটি সীমিত সেটের জন্যে। মে ২০১৭ সালে, গুগল কোটলিন প্রোগ্রামিং ভাষা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহার করা যাবে বলে ঘোষণা দেয়।

ডিডিব্লগার, সফটওয়্যার লাইব্রেরি, কিউইএমইউ, ডকুমেন্টেশন, নমুনা কোড এবং টিউটোরিয়াল-এর উপর ভিত্তি করে একটি হ্যান্ডসেট এমুলেটর সহ এসডিকে-এর মধ্যে একগুচ্ছ ডেভেলপমেন্ট হাতিয়ার রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, গুগল এর সমর্থিত ইন্টেগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট ছিলো এক্লিপ্স; কিন্তু ডিসেম্বর ২০১৪ সালে, গুগল অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিওটি প্রকাশ করে, যা ইন্টেলি জে আইডিয়া-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্যে ডিফল্ট আইডিই হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়। অন্যান্য ডেভেলপমেন্ট হাতিয়ারগুলো হল নেটিভ ডেভেলপমেন্ট কিট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অথবা সি বা সি++ এর এক্সটেনশন, গুগল এ্যপ ইনভেন্টর, নবীন প্রোগ্রামারদের জন্য একটি দৃশ্যমান পরিবেশ, এবং আরো অনেক ক্রস প্লাটফর্ম ভিত্তিক মোবাইল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক। জানুয়ারি ২০১৪ সালে গুগল এ্যপাচি কর্ডোবা ভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক উন্মুক্ত করে যার মাধ্যমে গুগল ক্রোম এইচটিএমএল ৫ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড্রয়েডে আনা যাবে যাতে আবার একটি নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন শেলও রয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী অফিশিয়াল অ্যাপস্টোর(গুগল প্লে স্টোর) বা অন্য যেকোন ওয়েবসাইট থেকে এপিকে ডাউনলোড করে তা ইন্সটল করতে পারে। গুগল ছাড়াও তৃতীয় পক্ষের অনেক ডেভেলপার অ্যান্ড্রয়েডের জন্যে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ডেভেলপ করে থাকে। গুগল প্লে স্টোর হলো চিনের বাইরে অন্য অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রগুলোর প্রাথমিক অ্যাপ্লিকেশন স্টোর, যা গুগলের অনুমতিপত্রেরই নির্দেশন দেয়। গুগল প্লে স্টোর ব্যবহারকারীদের গুগল এবং তৃতীয় পক্ষের ডেভেলপারদের দ্বারা প্রকাশিত অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্রাউজ, ডাউনলোড এবং হালনাগাদ করতে পারে। ২০১৭ সালের এক হিসাবে, গুগল প্লে স্টোরে ৩৫ লক্ষেরও বেশি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এবং ২০১৭ সালের আরেক হিসাবে এপর্যন্ত ৮২০০ কোটিবার অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড হয়েছে। মে ২০১৭ সালের হিসাবে, জিমেইল, অ্যান্ড্রয়েড, ক্রোম, গুগল প্লে এবং গুগল ম্যাপের মাসে ১০০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।

অ্যান্ড্রয়েডের ওপেন সোর্স প্রকৃতির কারণে, গুগল প্লে স্টোর ছাড়া একাধিক তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর অ্যাপ্লিকেশনের জন্যে রয়েছে, যা যেসব যন্ত্র গুগলের সার্ভিসসহ শিপ হওয়ার সুবিধা পায় না তাতে কাজে লাগে। এই তৃতীয় পক্ষের স্টোরেজগুলোর মধ্যে আমাজন অ্যাপস্টোর, গেটজার, মি এপ স্টোর এবং স্লাইডমি অন্তর্ভুক্ত। এফ-ড্রয়েড, আরেকটি বিকল্প মার্কেটপ্লেস, যেটা শুধুমাত্র বিনামূল্য ও ওপেন সোর্স অ্যাপ্লিকেশনগুলো সরবরাহ করে।

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর এফ ড্রয়েডের একটি স্থিরচিত্র

অ্যান্ড্রয়েড হার্ডওয়্যার

অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রধান হার্ডওয়্যার প্ল্যাটফর্ম হলো এআরএম (এআরএম সংস্করণ ৭ এবং এআরএম সংস্করণ ৮-এ আর্কিটেকচার), এক্স৮৬, এমআইপিএস এবং এমআইপিএস৬৪ এবং এক্স৮৬-৬৪আর্কিটেকচার যা অ্যান্ড্রয়েডের পরবর্তী সংস্করণগুলোও সমর্থন করে। আনফিশিয়াল অ্যান্ড্রয়েড-৮৬ প্রোজেক্ট এক্স৮৬ আর্কিটেকচারের জন্যে সাপোর্ট প্রদান করে। ২০১২ সাল থেকে ইনটেল প্রসেসর যুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস(ট্যবলেট এবং ফোন) বাজারে আসা শুরু করে । ৬৪ বিটের জন্য সাপোর্ট পাওয়ার পর অ্যান্ড্রয়েড প্রথন ৬৪ বিট এক্স৮৬ এর জন্য সাপোর্ট পায় ], তারপর এআরএম৬৪ এর জন্য। অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ সংস্করণ থেকে ৩৪ বিটের সাথে সাথে ৬৪ বিটের জন্যেও সাপোর্ট পেয়ে আসছে

অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ বা তার উপরের সংস্করণের জন্যে ন্যূনতম ১ এবং মানসম্মর কার্যক্ষমতার জন্য ২জিবি র‌্যামের প্রয়োজন। আর একেবারে সর্বনিন্ম ৫১২ এমবি র‌্যাম প্রয়োজন ৩২ বিট যন্ত্রের জন্য। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ কিটক্যাট সংস্করনের জন্য ৫১২ এমবি র‌্যাম প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ কিটক্যাট সংস্করনের জন্য একটি ৩২ বিট এআরএম সংস্করন ৭, এমআইপিএস অথবা এক্স৮৬ স্থাপত্যের প্রসেসর এবং সাথে ওপেনজিএলএস ২.০ সাপোর্ট করা জিপিইউ(গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট) প্রয়োজন হয়। অ্যান্ড্রয়েড ৭.১ ভালকান থেকে ওপেনজিএল ইএস ১.১, ২.০ ,৩.০ ,৩.১ সাপোর্ট করে। কিছু অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের জন্য নির্দিষ্ট সংস্করনের ওপেনজিএল ইএস ও নির্দিষ্ট গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট প্রয়োজন।

উন্নয়ন

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
অ্যান্ড্রয়েড সবুজ অবয়ব, এর আসল মোড়কের পাশে

সবার জন্যে উন্মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েডের সমস্ত উন্নয়ন গুগল করে থাকে, যার পর এ কোডটি অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্টে উন্মুক্ত করা হয়, যা গুগল কর্তৃক সংগঠিত একটি ওপেন সোর্স উদ্যোগ।। এ সোর্স কোড কোন প্রকার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়া গুটিকতক যন্ত্রে পাওয়া যায়, যার মধ্যে গুগলের নিজস্ব নেক্সাস ও পিক্সেল সিরিজ অন্যতম। এছাড়াও এসেনশিয়াল ফোন সিরিজ, মোটোরোলার অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও নকিয়া ১,২,৩,৫,৬,৭,৭+,৮ এমন পিউর অ্যান্ড্রয়েডের সাদ পাওয়া যায়। সোর্স কোডে ডিভাইস ড্রাইভার থাকে না যা বিশেষ ডিভসাইসে প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও কিছু প্রোপ্রিয়েটি ড্রাইভারের প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যারের জন্য, যা সোর্স কোডে থাকে না। তাই অ্যান্ড্রয়েড ফ্রি, ওপেন সোর্স এবং প্রোপিয়েটি সফটওয়ারের সংযোগে লঞ্চ হয়।

হালনাগাদ সূচি

গুগল বছরের ভিত্তিতে মেজর আপডেট বা প্রধান হালনাগাদগুলো দেয়, যা ওভার দ্য এয়ার বা ওটিএ-র মাধ্যমে ইন্সটল করা যায়। বর্তমানের সর্বশেষ সংস্করণ হল কিউ ১০। এর পূর্বের সংস্করণগুলো ছিল পাই ৯.০, ওরিও ৮.০ ও ন্যুগাট ৭.০।

গুগল নিজস্ব নেক্সাস ও পিক্সেল ফোন ছাড়া অন্যান্য প্রস্তুতকারকের যন্ত্রে এপলের আইওএসের তূলনায় অ্যান্ড্রয়েড হালনাগাদ দেরিতে আসার বদনাম রয়েছে, যার পেছনে অন্যতম কারণ এর হার্ডওয়্যারের বৈচিত্র। প্রস্তুতকারকরা মাঝেমধ্যে নতুন যন্ত্রকে গুরুত্ব দেন এবং পুরোনো যন্ত্রে হালনাগাদ দিতে চান না, এর পেছনে যদিও ব্যবসায়িক স্বার্থও কাজ করে। তবে নকিয়া, সনি, মোটরলাসহ কিছু প্রস্তুতকারক অত্যন্ত দ্রুত এবং অনেক পুরোনো ডিভাইসেও হালনাগাদ প্রদান করার অঙ্গিকার দিয়ে থাকে। যেক্ষেত্রে আবার স্যামসাং, শাওমি, হুয়াওয়ে, এইচটিসিসহ অনেক প্রস্তুতকারককে অনাগ্রহী দেখা যায়।

২০১২ সাল থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নির্দিষ্ট অংশ, বিশেষত এর কোর অ্যাপ্লিকেশনগুলো এমনভাবে পরিবর্তন করে যাতে তা অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন না এনেও গুগল প্লে সার্ভিসের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে হালনাগাদ করা যায়। ২০১৬ সালে বুমবার্গ রিপোর্ট করে যে গুগল অ্যান্ড্রয়েডকে আরও হালনাগাদ রাখার জন্যে গবেষণা করছে, নিরাপত্তা হালনাগাদ ত্বরিতান্বিত ও আগের তূলনায় কম ফোনে টেস্টিং এর মাধ্যমে। ২০১৭ সালে অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিও ঘোষণার মাধ্যমে গুগল প্রজেক্ট ট্রেবলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। প্রজেক্ট ট্রেবল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্কে একটি মেজর পরিবর্তন আনে যা প্রস্তুতকারকদের জন্যে নতুন হালনাগাদকে আরও কম ব্যয়ে ও দ্রুত প্রদানের সুবিধা দেয়।

লিনাক্স কার্নেল

অ্যান্ড্রয়েড কার্নেল লিনাক্স কার্নেলের একটি দীর্ঘ সমর্থিত শাখার উপর ভিত্তি করে নির্মিত। ২০১৭ সালের হিসাব মোতাবেক, অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রাংশগুলো প্রধানত লিনাক্স কার্নেল সংস্করণ ৩.১৮ অথবা ৪.৪ ব্যবহার করছে। কিন্তু মূল কার্নেল যন্ত্রের উপর নির্ভর করে। অ্যান্ড্রয়েড ১.০ সংস্করণে ২.৬.২৫ কার্নেল ব্যবহারের পরে কার্নেলের অনেক সংস্করণই ব্যবহার করা হয় গুগলের ওপেন সোর্স চিপ ক্রিস ডিবোনা, লিনাক্স ফাউন্ডেশন এবং অনেক সাংবাদিকদের মতে অ্যান্ড্রয়েড একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন। আবার অনেকে , যেমন গুগলের প্রকৌশলি প্যাট্রিক ব্র্যাডি, মনে করেন ধ্রুপদী ইউনিক্স মর অপারেটিং সিস্টেমের হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স ডিস্ট্রো নয়। অ্যান্ড্রয়েডে জিএনইউ সি লাইব্রেরি নেই এবং আরও অনেক কিছু নেই যা সাধারনত একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড ওরিও প্রকাশের পর গুগল জানাচ্ছে যে নতুন যে সিস্টেম-অন-চিপগুলো তৈরি হচ্ছে তাতে যেন নিরাপত্তার প্রয়োজনে লিনাক্স সংস্করন ন্যূনতম ৪.৪ থাকে। যে পুরোনো যন্ত্রগুলো বর্তমানে ওরিওতে আপগ্রেড হয়েছে বা যেসব যন্ত্রে পুরোনো সিস্টেম-অন-চিপ ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের জন্য অবশ্য এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

সফটওয়্যার স্ট্যাক

লিনাক্স কার্নেলের ছাড়াও অ্যান্ড্রয়েডে মিডলওয়্যার, সফটওয়্যার লাইব্রেরি এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) রয়েছে যা সি এর ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া রয়েছে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার যা চলছে অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্কে যার মধ্যে আছে জাভা সমর্থিত এ্যপাচি হারমোনি ভিত্তিক লাইব্রেরি। লিনাক্স কার্নেলের উন্নয়ন অন্যান্য ডেভেলপাররা গুগলের উৎস কোড থেকে স্বাধীনভাবে করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ সংস্করণের আগে পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড প্রকিয়াকরণ ভার্চুয়াল মেশিনের জন্য ডেলভিক] জেআইটি কম্পাইলেশন ব্যবহার করত "ডেস্ক-কোড" চালাতে যা সাধারনত জাভা বাইটকোড থেকে ভাষান্তর করা হত। জেআইটি নীতি মেনে ডেলভিক প্রতিবার একটি এ্যপ্লিকেশন চালু হলে কম্পাইলেশন করত। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ সংস্করণে অ্যান্ড্রয়েড রানটাইম (এআরটি) প্রবর্তন করা হয় নতুন রানটাইম এনভায়রনমেন্ট হিসেবে যা এহেড-অব-টাইম (এওটি) কম্পাইলেশন ব্যবহার করে বাইটকোড কম্পাইল করার জন্য। অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ সংস্করণে এআরটি ছিল একটি পরীক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য এবং আগে থেকেই সচল করা ছিল না। অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ সংস্করণে এটিকে একমাত্র রানটাইম হিসেবে রাখা হয়েছে।

মুক্ত উৎস সম্প্রদায়

অ্যান্ড্রয়েডের সোর্স কোড গুগল কর্তৃক প্রকাশিত হয় একটি ওপেন সোর্স অনুমতিপত্রের অধীনে। আর অ্যান্ড্রয়েডের এ মুক্ত প্রকৃতি একটি বিশাল অঙ্কের ডেভেলপারদের এ সোর্স কোডকে কম্যুনিটি ড্রাইভেন প্রকল্পের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহারে আকৃষ্ট করেছে, যেটা বছর পুরোনো যন্ত্রগুলোতেও অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে আবার এমন কিছু সুবিধা দিচ্ছে ব্যবহারকারীদের যা বিভিন্ন কারণে প্রস্তুতকারকরা তাদের ভোক্তাদের সরবরাহ করে না। এসব ডেভেলপাররা অনেক সময় ক্যারিয়ার বা প্রস্তুতকারকরা সরবরাহের অনেক আগেই অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করনগুলো সরবরাহ করে, যেগুলো অনেক সময় প্রস্তুতকারকদের সরবরাহকৃত সংস্করনের মত মানসম্মত। এ সংস্করনগুলো কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড ডিস্ট্রিবিউশন বা কাস্টম রম নামে পরিচিত।

কাস্টম রম ডেভেলপারগোষ্ঠির মধ্যে লিনিয়াজওএস ডেভেলপার কমুনিটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। তাদের সায়ানোজেনমোড ছিলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কমুনিটি ফার্মওয়্যার, যা ২০১৬ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় লিনিয়াজওএস। লিনিয়াজওএস ছাড়াও জনপ্রিয় কয়েকটি কাস্টম রমের তালিকা নিচে দেয়া হলো—

  • রিসারেকশান রিমিক্স ওএস
  • প্যানান্ড্রয়েড অ্যান্ড্রয়েড
  • ডার্টি ইউনিকর্ন
  • অমনি রম
  • মিইউআই
  • লেওয়াওএস
  • কপারহেড ওএস
  • কার্বন রম
  • এওকেপি

এদের প্রত্যাকেরই আলাদা ইন্টারফেস ও সুবিধা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের পছন্দ করতে সহায়তা করে।

২০১৪ বা ২০১৫ সালের পুরোনো অনেক ফ্ল্যাগশিপ প্রস্তুতকারকরা হালনাগাদ করতে অনাগ্রহী হলেও এসব ডেভেলপারদের সুবাদে সেসব যন্ত্রগুলোতেও অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করন চলছে। উদাহরণস্বরূপ- সনির ২০১৪ সালের ফ্ল্যাগশিপ যন্ত্র সনি এক্সপেরিয়া জি২-তে সনি অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শম্যালো প্রদানের পর ক্ষান্ত হয়ে গেলেও, তাতে এখনও রিসারেকশান রিমিক্স রমের সুবাদে অ্যান্ড্রয়েড ৮.১.০ ওরিও বা রিসারেকশান রিমিক্স ৬ চালানো যাচ্ছে।

নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা

অ্যান্ড্রয়েড এপ্লিকেশগুলো চলে স্যান্ডবক্সে যার মানে হলো এর এপগুলো চলার জন্যে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। ব্যবহারকারী চায়লে কোন অ্যাপ্লিকেশনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তাকে বিশেষ কোন কাজ করার অধিকার দিয়ে বা সে অধিকার খারিজ করে। উদাহরণস্বরূপ ব্যবহারকারী চায়লে ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশনের ক্যামেরায় প্রবেশের অধিকার বা তার অবস্থান জানার অধিকার খারিজ করতে পারে, যাতে করে সেই অ্যাপ্লিকেশন তার অবস্থান জানতে পারবে না বা তার ছবি তুলতে পারবে না। আবার ব্যবহারকারী চায়লে কোন অ্যাপ্লিকেশনকে সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তনের অধিকার দিতে পারে। যা অই অ্যাপ্লিকেশনকে সেই যন্ত্রের উপর পূর্ণ বা আংশিক ক্ষমতা দিবে।

অ্যান্ড্রয়েডে তৃতীয় পক্ষের প্রবেশ বা ব্যবহার বন্ধের জন্যেও বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্যাটার্ন লক, পিন, পাসোয়ার্ড, ফিঙারপ্রিন্ট ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষের ব্যবহার কমানো যায়। আবার অনেক সময় প্রস্তুতকারকরা ভোক্তাদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা দেয়, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করে। স্যামসাং প্রদত্ত আইরিশ স্ক্যানার, অপো , হুয়ায়েই, ভাইভো প্রদত্ত ফেস আনলক, ওয়ানপ্লাস, হুয়ায়েই প্রদত্ত প্রতিটি অ্যাপ্লিকেশন আলাদা করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে লক করার সুযোগ অন্যতম।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহারের ক্ষতিকর দিক

এক গবেষণায় জানা গেছে, ৭৯ শতাংশ ম্যালওয়্যার তৈরির পেছনে অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্টফোন দায়ী ! এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে নোকিয়ার অপারেটিং সিস্টেম সিমবিয়ান এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাপলের আইওএস। তবে আইওএসের জন্য ম্যালওয়্যার তৈরি হয় মাত্র ০.৭ শতাংশ।

অনুমতিপত্র

অ্যান্ড্রয়েড পাওয়া যেত ওপেন সোর্স লাইসেন্সের আওতায় ২১শে অক্টোবর ২০০৮ সাল পযর্ন্ত। এরপর গুগল তাদের পুরো সোর্স কোড ছাড়ে অ্যাপাচি লাইসেন্সের আওতায়। গুগল তাদের প্রকাশিত কোডগুলোকে উন্মুক্ত করে সবার দেখার এবং মন্তব্য করার সুযোগ দেয়। যদিও সফওয়্যারটি উন্মুক্ত, তবুও মোবাইল প্রস্ততকারকরা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে পারবে না কারণ গুগলের ট্রেডমার্ক করা অপারেটিং সিস্টেমের কপি গুগল সার্টিফিকেট প্রদান করার আগ পযর্ন্ত কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র মূল অ্যান্ড্রয়েডই ওপেন সোর্স, প্রকাশিত বা ব্যবহৃত সমস্ত অ্যান্ড্রয়েডই প্রোপ্রিয়েটি সফটওয়্যারের সাথে লঞ্চ হয়। যেমন- প্রস্তুতকারকদের গুগল মোবাইল সার্ভিস গুগল থেকে কিনে নিতে হয়।

সংস্করণসমূহ

সংস্করণ কোড নাম মুক্তির তারিখ এপিআই লেভেল রানটাইম প্রথম যন্ত্রসমূহ
১১ ১১ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সর্বশেষ স্থিতিশীল সংস্করণ: ২৮ এআরটি গুগল পিক্সেল ২, পিক্সেল ২ এক্সএল, পিক্সেল ৩, পিক্সেল ৩ এক্সএল, পিক্সেল ৩এ, পিক্সেল ৩এ এক্সএল পিক্সেল ৪, পিক্সেল ৪এক্সএল
১০ ১০ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ একটি পুরানো সংস্করণ, তবে এখনও সমর্থিত: ২৯ এআরটি পিক্সেল (প্রথম প্রজন্ম), পিক্সেল ২, পিক্সেল ২ এক্সএল, পিক্সেল ৩, পিক্সেল ৩ এক্স এল, পিক্সেল ৩এ, পিক্সেল ৩এ এক্সএল
পাই ৬ আগস্ট ২০১৮ একটি পুরানো সংস্করণ, তবে এখনও সমর্থিত: ২৮ এআরটি পিক্সেল, পিক্সেল এক্সএল, পিক্সেল ২, পিক্সেল ২ এক্সএল, নকিয়া ৭ প্লাস, ওয়ানপ্লাস ৬, সনি এক্সপেরিয়া এক্সজি২,
৮.১ ওরিও ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ একটি পুরানো সংস্করণ, তবে এখনও সমর্থিত: ২৭ এআরটি পিক্সেল, পিক্সেল এক্সএল, নেক্সাস ৬পি, নেক্সাস ৫এক্স
৮.০ ২১ আগস্ট ২০১৭ একটি পুরানো সংস্করণ, তবে এখনও সমর্থিত: ২৬ এআরটি জানা নেই
৭.১ ন্যুগাট ৪ অক্টোবর ২০১৬ একটি পুরানো সংস্করণ, তবে এখনও সমর্থিত: ২৫ এআরটি পিক্সেল, পিক্সেল এক্সএল
৭.০ ২২ আগস্ট ২০১৬ একটি পুরানো সংস্করণ, তবে এখনও সমর্থিত: ২৪ এআরটি নেক্সাস ৫এক্স, নেক্সাস ৬পি
৬.০ অ্যান্ড্রয়েড মার্শম্যালো ৫ অক্টোবর ২০১৫ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ২৩ এআরটি
৫.১ ললিপপ ৯ মার্চ ২০১৫ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ২২ এআরটি অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান
৫.০ ৩ নভেম্বর ২০১৪ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ২১ এআরটি ২.১.০ নেক্সাস ৬, নেক্সাস ৯
৪.৪ কিটক্যাট ৩১ অক্টোবর ২০১৩ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ১৯ ডেলভিক (এবং এআরটি ১.৬.০) নেক্সাস ৫
৪.৩ জেলি বিন ২৪ জুলাই ২০১৩ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ১৮ ডেলভিক নেক্সাস ৭ ২০১৩
৪.২ ১৩ নভেম্বর ২০১২ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ১৭ ডেলভিক নেক্সাস ৪, নেক্সাস ১০
৪.১ ৯ জুলাই ২০১২ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ১৬ ডেলভিক নেক্সাস ৭
৪.০ আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ ১৯ অক্টোবর ২০১১ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ১৫ ডেলভিক গ্যালাক্সি নেক্সাস
২.৩ জিঞ্জারব্রেড ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ পুরানো সংস্করণ, আর সমর্থিত নয়: ১০ ডেলভিক ১.৪.০ নেক্সাস এস
ব্যাখ্যা:
পুরনো সংস্করণ
পুরানো সংস্করণ, এখনও সমর্থিত
সর্বশেষ সংস্করণ
সর্বশেষ পূর্বরূপ সংস্করণ
ভবিষ্যৎ প্রকাশ

অভ্যর্থনা

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
এসুসের ইপিসি নেটবুকে অ্যান্ড্রয়েড-এক্স৮৬ চলছে; অ্যান্ড্রয়েড অনানুষ্ঠানিকভাবে পিসিতে চালানোর উপযোগী ডেস্কটপ সংস্করণ করে বানানো হয়

অ্যান্ড্রয়েড যখন ২০০৭ সালে উন্মুক্ত হয় তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া পায়। বিশ্লেষকরা প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি কোম্পানি একত্রিত হওয়াকে যদিও ভাল চোখে দেখছিলেন তবুও মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারকরা নতুন অপারেটিং সিস্টেম তাদের মোবাইলে চালু করবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধানিত হয়। মুক্ত উৎস এবং লিনাক্স ভিত্তিক ধারনাটি বেশ আগ্রহের জন্ম দেয়, কিন্তু এর সাথে সাথে অন্য চিন্তার বিষয় ছিল যে, অ্যান্ড্রয়েড কঠিন প্রতিযোগীতার মুখোমুখি হবে অন্যান্য স্মার্টফোন প্রস্তুতকারদের কাছ থেকে যেমন নকিয়া, মাইক্রোসফট এবং অন্যান্য লিনাক্স ভিত্তিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম প্রস্তুতকারক ইত্যাদি। এই সব প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়রা ছিল সন্দিগ্ধচিত্ত: নকিয়া বলে "আমরা একে হুমকি হিসেবে দেখছি না", এবং মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইল দলের একজন সদস্য জানায় "আমি তাদের বাজারে আসার প্রভাব বুঝতে পারছি না"

বাজারজাতকরণ

অ্যান্ড্রয়েড লোগোটি নকশা করে ড্রয়েড ফন্ট তৈরী করার সময় এসচেন্ডার কর্পোরেশন। সবুজ রংটি অ্যান্ড্রয়েড রোবটকে নির্দেশ করছে যা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মাস্কট। এর প্রিন্ট রং হল পিএমএস ৩৭৬সি এবং আরজিবি রং হেক্সাডেসিমেলে #A4C639, যেটি গুগলের ব্রান্ড গাইডলাইনে বলা আছে। এটির ভিন্ন ব্যবহারের সময় এটিকে নোরাড বলা হয়। এটি শুধু মাত্র টেক্সট বা লেখার লোগোতে ব্যবহার করা হয়।

বাজারের অংশ

সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে স্ট্যাটকাউন্টারের হিসাবে অ্যান্ড্রয়েড বাজারের ৪০.৪৪% শতাংশ শেয়ার দখল করে আছে, যেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাইক্রোসফটের উইন্ডোজের দখল ৩৫.৩২%। ২০১০ সালের মে মাসে, ইউএসে অ্যান্ড্রয়েডের প্রথম কোয়ার্টার বিক্রয়ে প্রতিদ্বন্ধি কোম্পানি আইফোনকে অতিক্রম করে। এনপিডি গ্রুপের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ২৫% বাজার অজর্ন করেছে ইউএসে, যেখানে প্রায় ৮% ই ছিল ডিসেম্বরের কোয়াটারে। দ্বিতীয় কোয়াটারে, এ্যপলের আইফোন অপারেটিং সিস্টেম ১১% বেড়ে যায় এতে বুঝা যায় যে অ্যান্ড্রয়েড আসলে আরআইএমের (ব্ল্যাকবেরি মোবাইল প্রস্তুতকারক) কাছ থেকেই বাজার দখল করছিল এবং তাদেরকে এখনো প্রচুর প্রতিযোগিতা করতে হবে বিভিন্ন সেবাদাতাদের নতুন নতুন সেবার বিরুদ্ধে এবং ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করেতে। বিশ্লেষকরা আরো বলেন যে, অ্যান্ড্রয়েডের একটি সুবিধা হল এটি মাল্টি-চ্যানেল, মাল্টি-ক্যারিয়ার ওএস, যেটা তাদেরকে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ মোবাইলের মত সাফল্য পেতে সহায়তা করবে। ২০১১ সালের মে মাসে গুগল বলে যে, প্রতিদিনই ৪,০০,০০০ নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সচল হচ্ছে যেখানে সেটি প্রতিদিন ১,০০,০০০ ছিল ২০১০ সালের মে'তে এবং প্রায় ১০০ মিলিয়ন মোবাইল সচল করা হয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 

ট্যাবলেটে অ্যান্ড্রয়েড

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
কি-বোর্ডসহ গুগল পিক্সেল সি ট্যাবলেট

স্মার্টফোনে সফলতার পথ ধরে ট্যাবলেটেও অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার শুরু হয় যদিও তা ছিল ধীর গতির। অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। এর সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্ড্রয়েড যেহেতু মুক্ত স্থাপত্যের উপর ভিত্তি করে বানানো তাই ব্যবহারকারী নিজেই নিজের ট্যাবলেটের জন্যে চায়লে অ্যাপ্লিকেশন বানাতে পারবে। আবার এ মুক্ত স্থাপত্যের কারণে বাজারে অনেক প্রস্তুতকারকই এ অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে ট্যাবলেট প্রস্তুত করছে। ফলে একজন ক্রেতা তার পছন্দ, অর্থ ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে ট্যাবলেট ক্রয় করতে পারছে। এর একটি কারণ ছিল ট্যাবলেটের জন্য ভাল মানের এ্যপ না থাকা, আবার ডেভেলপাররা ট্যাবলেটের ভাল বাজার না থাকায় ভাল এ্যপ তৈরিতে উৎসাহ পাচ্ছিলেন না। আবার অন্যদিকে ট্যাবলেটের বেলায় হার্ডওয়্যারের ধরনের থেকে কি এ্যপ থাকবে এবং এর মধ্যকার জিনিসপত্রই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দেয় ট্যাবলেট বিক্রয়ের বেলায়। ট্যাবলেট ভিত্তিক এ্যপের অভাবে স্মার্টফোনের জন্য তৈরী করা এ্যপ দিয়েই ট্যাবলেটের বড় পর্দায় চালানো হত, যেখানে অ্যাপলের আইপ্যাড যন্ত্রের জন্য ট্যাবলেট ভিত্তিক আইওএস এ্যপ পাওয়া যেত।। তাই অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট খুব একটা সফলতার মুখ দেখতে পায়নি, যা পরবর্তীতে প্রস্তুতকারকদেরও নতুন ট্যাবলেট তৈরিতে নিরুতসাহিত করে। তারপরও প্রতিবছর কিছু ট্যাবলেট উল্লেখযোগ্যহারে বিক্রি হয়, যার মধ্যে স্যামসাঙের ট্যাব এস৪, আসুস জেনপ্যাড ৩এস ১০, হুয়াওয়ের মিডিয়াপ্যাড এম৩ ৮, ও শাওমির মিপ্যাড ৪অন্যতম।

সংস্করণের ব্যবহার

  ওরিও (১২.১%)
  ন্যুগাট (৩০.৮%)
  মার্শম্যালো (২৩.৫%)
  ললিপপ (২০.৪%)
  কিটক্যাট (৯.১%)
  জেলিবিন (৩.৬%)
  আইসক্রিম স্যান্ডহুইচ (০.৩%)
  জিঞ্জারব্রেড (০.২%)

এই অংশের চিত্রে অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণের ব্যবহার দেখানো হয়েছে প্লে স্টোরে বিভিন্ন স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ থেকে প্রবেশ (সাইন ইন) করার উপর ভিত্তি করে। এটি ৭ দিনের গনণার উপর হিসাব করা হয়েছে যা মে ৭, ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে। তাই এই সমীক্ষায় অ্যান্ড্রয়েড ফোর্ক যাদের গুগলে প্লে স্টোরে প্রবেশাধিকার নেই, তাদের গণনা করা হয়নি, যেমন এমাজনের ফায়ার ট্যাবলেট।

সংস্করন কোড নাম মুক্তির তারিখ এপিআই লেভেল বণ্টন
১১.০.০ আর ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ৩০ গ্রহণযোগ্য নয়
১০.০.০ কিউ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৯ ১৮.৬৪%
৯.০.০ পাই ৬ আগস্ট ২০১৮ ২৮ ১৪.০৬%
৮.১.x ওরিও এমআর১ ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ২৭ ২.০%
'৮.০.০ ওরিও ২১ আগস্ট ২০১৭ ২৬ ১০.১
'৭.১.x ন্যুগাট এমআর১ ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ২৫ ৯.৬%
'৭.০.০ ন্যুগাট ২২ আগস্ট ২০১৬ ২৪ ২১.২%
'৬.০.০ মার্শম্যালো ১৫ মে ২০১৫ ২৩ ২৩.৫%
৫.১.x ললিপপ এমআর ১ ৯ মার্চ ২০১৫ ২৬ ১৬.২%
৫.০.০–৫.০.২ ললিপপ ৩ নভেম্বর ২০১৪ ২১ ৪.২%
৪.৪.০–৪.৪.৪ কিটক্যাট ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ১৯ ৯.১%
৪.৩.x জেলি বিন ২৪ জুলাই ২০১৩ ১৮ ০.৫%
৪.২.x ১৩ নভেম্বর ২০১২ ১৭ ১.৯%
৪.১.x ৯ জুলাই ২০১২ ১৬ ১.২%
৪.০.৩–৪.০.৪' আইস ক্রিম স্যান্ডউইচ ১৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫ ০.৩%
২.৩.৩–২.৩.৭ জিঞ্জারব্রেড ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০.২%

অ্যাপ্লিকেশনের বেআইনি প্রকাশ

অ্যান্ড্রয়েডে গুগল প্লে স্টোর ছাড়াও একাধিক অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থাকায় এবং সহজেই অ্যাপ্লিকেশনের এপিকে ফাইল পোর্ট করতে পারায় অন্য যেকোন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম(আইওএস,উইন্ডোজ ফোন) থেকে এতে বেআইনিভাবে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারে ব্যবহারের পরিমাণ বেশি। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির হিসাবে ২০১২ সালের ডাউনলোডকৃত অ্যাপ্লিকেশনের মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ দিয়ে বৈধভাবে কেনা হয়েছিলো। ডেড ট্রিগার নামের একটি মোবাইল গেম যা আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড দুটোতেই ০.৯৯ ডলার মূল্যে থাকলেও, অ্যান্ড্রয়েডে এত বেশি পাইরেসি হচ্ছিলো যে পরবর্তীতে ডেভেলপাররা গেমটি বিনামূল্যে দিতে বাধ্য হন। ২০১৩ সালে স্ল্যাশগার্ড তাদের একটি প্রতিবেদনে দেখায় যে, অবৈধ গেমের ৯৫% খেলা হয় অ্যান্ড্রয়েডে, যেখানে ৫% খেলা হয় আইওএসে।

আইনগত সমস্যা

অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান উভয়ই বিভিন্ন সময় অনেক প্যাটেন্টজনিত মামলা মোকদ্দমায় জড়িত ছিল। ১২ই আগস্ট, ২০১০ সালে ওরাকল গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করে এই দাবি নিয়ে যে গুগল জাভা প্রোগ্রামিং ভাষার কপিরাইট ও প্যাটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। ওরাকল এই ক্ষতির পরিমাণ ধরে ৬.১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু এই পরিমানটি ইউনাইটেড স্টেটের ফেডারেল বিচারক নাকচ করে দেন এবং ওরাকলকে পুনরায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারন করতে বলেন। মামলার প্রতিক্রিয়া সরূপ গুগল বিভিন্ন ধরনের আত্মরক্ষার পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ছিল ওরাকলের প্যাটেন্ট খুত ধরাসহ অন্যান্য বিষয়াদি। তারা বলে যে অ্যান্ড্রয়েড এ্যাপাচি হারমোনির ভিত্তিক যা একটি পরিষ্কার জাভা শ্রেণী লাইব্রেরির প্রয়োগ এবং একটি স্বাধীনভাবে নির্মিত ভার্চুয়াল মেশিন যাকে ডেলভিক বলা হয়। ২০১২ সনের মে মাসে জুরিরা রায় দেন গুগল ওরাকলের প্যাটেন্ট ভাঙ্গে নি এবং ট্রায়াল বিচারক রায় দেন জাভার যে এপিআই গুগল ব্যবহার করেছে তা কপিরাইট করা সম্ভব নয়। উভয় পক্ষই কোডের কপির জন্য স্বল্প পরিমাণ ক্ষতিপূরনে সম্মত হয়। ২০১৪ সনের ৯ই মে ফেডারেল সার্কিট রায় আংশিক পরিবর্তন করেন। ওরাকলের পক্ষে যায় কপিরাইট সক্ষম সমস্যাটি এবং জেলা কোর্টের কাছে ফেয়ার ইউজের সমস্যার রিমান্ড করতে দেয়।

স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ব্যতীত ব্যবহার

অ্যান্ড্রয়েডের মুক্ত এবং পরিবর্তনযোগ্যতার কারণে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ছাড়াও অন্যান্য অনেক যন্ত্রে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে, যার মধ্যে রয়ে ল্যাপটপ, নেটবুক, স্মার্টবুক, স্মার্ট টিভি, (অ্যান্ড্রয়েড টিভি), গুগল টিভি এবং ক্যামেরা(যেমন গ্যালাক্সি ক্যামেরা)।

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড 
অ্যান্ড্রয়েড টিভি বক্স

এছাড়াও গুগল গ্লাস নামক গুগলের স্মার্ট গ্লাসে,স্মার্টওয়াচে, শ্রবণযন্ত্রে, গাড়ির সিডি ডিভিডি প্লেয়ার, আয়না, ইবুক রিডার, [ মিডিয়া প্লেয়ার,ল্যান্ডলাইন ইত্যাদিতে অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার দেখা গেছে।

আরও দেখুন

পাদ টীকা

তথ্যসূত্র

টেমপ্লেট:অ্যান্ড্রয়েড

This article uses material from the Wikipedia বাংলা article অ্যান্ড্রয়েড (অপারেটিং সিস্টেম), which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.

Tags:

অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ইতিহাসঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড বৈশিষ্ট্যঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড অ্যান্ড্রয়েড হার্ডওয়্যারঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড উন্নয়নঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড নিরাপত্তা ও গোপনীয়তাঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড অনুমতিপত্রঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড অভ্যর্থনাঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড আইনগত সমস্যাঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ব্যতীত ব্যবহারঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড আরও দেখুনঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড পাদ টীকাঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড তথ্যসূত্রঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড বহিঃসংযোগঅপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডঅপারেটিং সিস্টেমইংরেজি ভাষাওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্সগুগল (কোম্পানি)মুক্ত সোর্সলিনাক্স কার্নেলস্মার্টফোন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

দর্শনউসমানীয় সাম্রাজ্যপারমাণবিক অস্ত্রহিন্দুবাংলা একাডেমিবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মরত জেনারেলদের তালিকামুসাআর্সেনাল ফুটবল ক্লাবপাকিস্তানসিন্ধু সভ্যতাগারোবাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার তালিকাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিমধ্যপ্রাচ্যআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলবাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহের তালিকাক্রোমোজোমটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রামক্কারংপুরবন্ধুত্বযৌন ওষুধডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রবাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবউপসর্গ (ব্যাকরণ)আলিবাংলাদেশ ছাত্রলীগবাংলার ইতিহাসবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)নামবাংলাদেশের পোস্ট কোডের তালিকান্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালআলী খামেনেয়ীকক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকলিঙ্গের যুদ্ধএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)কুরআনভীমরাও রামজি আম্বেদকরঅস্ট্রেলিয়াঅকালবোধনসহীহ বুখারীবদরের যুদ্ধচণ্ডীমঙ্গলকাজল আগরওয়ালইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনহিমোগ্লোবিনপদ্মা সেতুঢাকাউসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকাস্বাধীনতা দিবস (ভারত)জাতীয় স্মৃতিসৌধশামসুর রাহমানবাংলা স্বরবর্ণআকিজ গ্রুপকৃত্তিবাসী রামায়ণপাবনা জেলাবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাইলুমিনাতিঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতানজিম সাইয়ারা তটিনীকুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টধানবাংলার প্ৰাচীন জনপদসমূহআল্লাহবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীহস্তমৈথুনের ইতিহাসএকাদশীচিয়া বীজঅযোধ্যাচর্যাপদএল নিনোজস বাটলারকামরুল হাসানবাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনউহুদের যুদ্ধকালীমধুমতি এক্সপ্রেস🡆 More