গ্রহ

গ্রহ বলতে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মহাবিশ্বের এমন যেকোন বস্তুকে বোঝানো হয় যার কেবলমাত্র নিজের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করার ক্ষমতা আছে, যা তার নিকটতম নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরে, যার ভর তাপ-নিউক্লিয় বিক্রিয়া শুরু করে সূর্যের মত শক্তি উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়, যে তার একদম নিকটে থাকা নক্ষত্র কে কেন্দ্র করে ঘুরছে এবং যে তার প্রতিবেশের সব ছোট ছোট বস্তুকে সরিয়ে দিয়েছে বা নিজের মধ্যে অধিগ্রহণ করে নিয়েছে। সাধারণত গ্রহরা কোন না কোন তারা বা নাক্ষত্রিক ধ্বংসাবশেষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, তবে এর ব্যতিক্রম থাকার সম্ভাবনাও অনেকে ব্যক্ত করেছেন। গ্রহের ইংরেজি প্রতিশব্দ planet-এর মূল বেশ প্রাচীনকালে প্রোথিত যার সাথে জড়িয়ে আছে অনেক ঐতিহাসিক, বৈজ্ঞানিক, পৌরাণিক ও ধর্মীয় বিষয়াদি। প্রাচীনকালের অনেক সংস্কৃতিতেই গ্রহদেরকে স্বর্গীয় বা দেবতাদের দূত ভাবা হতো। মানুষের জ্ঞানের সীমা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে এই ধারণারও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে আমরা জানি এরা কিছু জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু বৈ অন্য কিছু নয়। ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন একটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সৌরজগতের গ্রহগুলোর সুস্পষ্ট সংজ্ঞা নির্ধারিত করে। এই আধুনিক সংজ্ঞা অনুসারে ১৯৫০ সালের পূর্বে আবিষ্কৃত গ্রহগুলোর মধ্যে কেবল ৮টিকে গ্রহের মর্যাদায় বহাল রাখা হয়। কিন্তু সেরেস, পালাস, জুনো, ভেস্তা এবং প্লুটোর মত কিছু বস্তু যাদের কোন কোনটিকে আগে অনেক বিজ্ঞানী গ্রহ বলতেন, তাদের সবগুলোকেই গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

গ্রহ
গ্রহ
গ্রহ আকারের বস্তুসমূহ, স্কেল অনুযায়ী:
প্রথম সারি: ইউরেনাসনেপচুন;
দ্বিতীয় সারি: পৃথিবী, শ্বেত বামন তারা সিরিয়াস বি, শুক্র;
নিচের সারি (বর্ধিত) – উপরে: মঙ্গলবুধ;
নিচে: চাঁদ, বামন গ্রহ প্লুটোহাউমিয়া

গ্রিক জ্যোতির্বিদ টলেমি মনে করতেন গ্রহরা পৃথিবীর চারদিকে কিছু ডিফারেন্ট এবং এপিসাইকেল-এর মাধ্যমে আবর্তিত হয়। গ্রহরা যে সূর্যকে আবর্তন করছে এই ধারণা আগে বেশ কয়েকবার প্রস্তাবিত হলেও সপ্তদশ শতকে গালিলেও গালিলেই-এর দুরবিন দিয়ে করা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই তা প্রথমবারের মত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। পর্যবেক্ষণকৃত উপাত্ত গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে জার্মান জ্যোতির্বিদ ইয়োহানেস কেপলার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন গ্রহদের কক্ষপথ বৃত্তাকার নয়, বরং উপবৃত্তাকার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণের যন্ত্রের দিন দিন উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে জানা গেছে যে, অন্য গ্রহগুলোরও ঘূর্ণন অক্ষ খানিকটা আনত এবং অনেকগুলোর পৃথিবীর মতই মেরু বরফ এবং ঋতু পরিবর্তন রয়েছে। খুব সাম্প্রতিক সময়ের কিছু গবেষণা বলছে, অন্য গুহগুলোতে পৃথিবীর মত অগ্ন্যুৎপাত, হারিকেন, প্লেট টেকটোনিক এবং এমনকি পানিও আছে।

গ্রহদেরকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়: বৃহৎ স্বল্প ঘনত্বের গ্যাসীয় দানব এবং পাথুরে ভূসদৃশ গ্রহ। সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা আটটি। সূর্য থেকে বাইরের দিকে গেলে প্রথম চারটি গ্রহ হচ্ছে ভূসদৃশ, যথা, বুধ, শুক্র, পৃথিবী এবং মঙ্গল। এর পর চারটি গ্যাসীয় দানব: বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। এর মধ্যে ছয়টি গ্রহেরই এক বা একাধিক উপগ্রহ রয়েছে। এর পাশাপাশি আইএইউ সংজ্ঞা অনুযায়ী রয়েছে ৬টি বামন গ্রহ, এছাড়া আরও অনেকগুলো বামন গ্রহের তালিকাভূক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে, আর আছে হাজার হাজার ক্ষুদ্র সৌর জাগতিক বস্তু।

১৯৯২ সাল থেকে আকাশগঙ্গার অন্যান্য তারার চারপাশে অনেক গ্রহ আবিষ্কৃত হয়ে আসছে, যাদেরকে বহির্গ্রহ বলা হয়। ২০১৩ সালের ২২শে মে তারিখ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে আবিষ্কৃত মোট বহির্গ্রহের সংখ্যা হচ্ছে ৮৮৯, মোট গ্রহ জগতের সংখ্যা ৬৯৪ এবং মোট একাধিক গ্রহবিশিষ্ট জগতের সংখ্যা ১৩৩। এদের আকার এবং ভর পৃথিবীর মত থেকে শুরু করে বৃহস্পতির চেয়ে অনেক বেশি পর্যন্ত হতে পারে। ২০১১ সালের ২০শে ডিসেম্বর কেপলার মহাকাশ দুরবিন প্রথম পৃথিবীর সমান আকারের বহির্গ্রহ, কেপলার ২০ই ও কেপলার ২০এফ আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। তারা কেপলার ২০ তারাটিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। ২০১২ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে আকাশগঙ্গার প্রতিটি তারার চারপাশে গড়ে ১.৬টি করে গ্রহ থাকতে পারে, এছাড়া থাকতে পারে আরও অনেক নিঃসঙ্গ গ্রহ যারা কোন তারাকে আবর্তন করে না। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন, আকাশগঙ্গায় পৃথিবীর সাথে তুলনীয় আকারের (পৃথিবীর ভরের ০.৮ থেকে ১.২৫ গুণ) অন্তত ১৭০০ কোটি বহির্গ্রহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যারা তাদের তারাকে ৮৫ দিন বা তার কম সময়ে একবার আবর্তন করে।

ব্যুৎপত্তি

গ্রহ 
অলিম্পীয় দেবতাগণ , যাদের নামে প্রাচীন গ্রিকেরা সৌর জগতের গ্রহগুলোর নামকরণ করেছিলেন।

প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে লক্ষ করতেন, কীভাবে নির্দিষ্ট কিছু আলো আকাশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যেতো যার সাথে অন্যান্য তারার আলোর পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ এই আলোগুলো তারা ছিল না; তারা মনে করতো এগুলো পৃথিবীর চারিদিকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করছে এবং স্থির অবস্থায় আছে। এই আলোগুলোকে প্রথম প্রথম প্রাচীনকালের গ্রিকরা πλανήτης (planētēs) নামে অভিহিত করতো। এই গ্রিক শব্দটির অর্থ হল বিক্ষিপ্তভাবে পরিভ্রমনকারী। সকলের ধারণা মতে এই শব্দটি থেকেই planet শব্দ উৎপত্তি লাভ করেছে। আর planet শব্দের বাংলা হিসেবে গ্রহ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

পশ্চিমা বিশ্বে নিকট-মহাবিশ্বের পরিমণ্ডলে তথা সৌর জগতে অবস্থিত এই গ্রহগুলোর নামকরণ করা হয়েছে গ্রিকো-রোমান দেবতাদের নামে। গ্রহের এই নামগুলো গ্রিকরাই রেখেছিল। অবশ্য দেবতাদের নামে গ্রহের নামকরণের সূচনা করেছিল প্রাচীন পশ্চিমের সুমেরীয় সভ্যতার মানুষেরা, প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে বর্তমানে ইরাকে এই সভ্যতার উৎপত্তি ঘটেছিল। পরবর্তীতে মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এই নামগুলো গৃহীত হয়েছিল যদিও নামগুলোকে তারা উচ্চারণের সুবিধার্থে নিজেদের মত করে নিয়েছিল। উদাহরণস্বরুপ: ব্যাবিলনীয়দের নামকরণ পদ্ধতির উল্লেখ করা যায়। গ্রিকরা তাদের জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং রাশিচক্রের মূল নামকরণগুলো এই ব্যাবিলনীয়দের কাছ থেকেই ধার করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে গ্রিসে ব্যাবিলনিয়ার তত্ত্ব ও নামগুলোর ব্যবহার শুরু হয়। গ্রিকরা ব্যাবিলনীয় নামের তালিকায় অনেকগুলো নামের পরিবর্তে তাদের নিজেদের দেবতাদের নাম যোগ করে দিয়েছিল। অবশ্য নামের এই অনুবাদে অনেক সন্দেহ রয়ে যায়: যেমন, ব্যাবিলনিয়ার মতে একটি জ্যোতিষ্কের নাম ছিল তাদের যুদ্ধ দেবতা নেরগুল-এর নাম অনুসারে, গ্রিকরা এই জ্যোতিষ্কের নাম রাখে তাদের যুদ্ধ দেবতা এরেসের নামে। কিন্তু এরিস এবং নেরগুলের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে; এরিস শুধু যুদ্ধ দেবতা ছিল, কিনবতু নেরগুল একইসাথে মৃত্যু এবং মহামারীর দেবতা ছিল।

পরবর্তীতে রোমান সম্রাজ্যের কর্তৃত্ব এবং তারও পরে রোমান ক্যাথলিক চার্চের একাধিপত্যের কারণে কয়েক শতাব্দী জুড়ে গ্রিক নামগুলোর পরিবর্তে রোমান তথা ল্যাটিন নামগুলোই ব্যবহৃত হয়েছে।

সৌর জগৎ

গ্রহসমূহের ও তাদের বৈশিষ্ট্য

ধরন নাম বিষুবীয় ব্যাস ভর কক্ষপথের ব্যাসার্ধ্য (এইউ) কক্ষীয় পর্যায়কাল
(বছর)
সৌরবিষুবের সাথে কোণ (°) কক্ষীয় উৎকেন্দ্রিকতা অক্ষীয় ঘূর্ণন কাল (দিন) নিশ্চিত উপগ্রহ বলয় বায়ুমণ্ডল
ভূসদৃশ গ্রহ বুধ ০.৩৮২ ০.০৬ ০.৩১-০.৪৭ ০.২৪ ৩.৩৮ ০.২০৬ ৫৮.৬৪ না সামান্য
শুক্র ০.৯৪৯ ০.৮২ ০.৭২ ০.৬২ ৩.৮৬ ০.০০৭ -২৪৩.০২ না CO2, N2
পৃথিবী ৭.২৫ ০.০১৭ না N2, O2
মঙ্গল ০.৫৩২ ০.১১ ১.৫২ ১.৮৮ ৫.৬৫ ০.০৯৩ ১.০৩ না CO2, N2
গ্যাসীয় দানব বৃহস্পতি ১১.২০৯ ৩১৭.৮ ৫.২০ ১১.৮৬ ৬.০৯ ০.০৪৮ ০.৪১ ৬৭ হ্যাঁ H2, He
শনি ৯.৪৪৯ ৯৫.২ ৯.৫৪ ২৯.৪৬ ৫.৫১ ০.০৫৪ ০.৪৩ ৬২ হ্যাঁ H2, He
ইউরেনাস ৪.০০৭ ১৪.৬ ১৯.২২ ৮৪.০১ ৬.৪৮ ০.০৪৭ -০.৭২ ২৭ হ্যাঁ H2, He
নেপচুন ৩.৮৮৩ ১৭.২ ৩০.০৬ ১৬৪.৮ ৬.৪৩ ০.০০৯ ০.৬৭ ১৩ হ্যাঁ H2, He
বামন গ্রহ সেরেস ০.০৮ ০.০০০ ২ ২.৫-৩ ৪.৬০ ১০.৫৯ ০.০৮০ ০.৩৮ না শূন্য
প্লুটো ০.১৮ ০.০০২ ২ ২৯.৭-৪৯.৩ ২৪৮.০৯ ১৭.১৪ ০.২৪৯ -৬.৩৯ ? ক্ষণস্থায়ী
হাউমেয়া ০.১৫×০.১২×০.০৮ ০.০০০ ৭ ৩৫.২-৫১.৫ ২৮২.৭৬ ২৮.১৯ ০.১৮৯ ০.১৬ ? ?
মাকেমাকে ~০.১২ ০.০০০ ৭ ৩৮.৫-৫৩.১ ৩০৯.৮৮ ২৮.৯৬ ০.১৫৯ ? ? ?
এরিস ০.১৯ ০.০০২ ৫ ৩৭.৮-৯৭.৬ ~৫৫৭ ৪৪.১৯ ০.৪৪২ ~০.৩ ? ?

নাসার (21 oct, 2019) তথ্য মতে বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা ৭৯ টি এবং শনির সংখ্যা ৮২ টি। তাই শনির উপগ্রহের সংখ্যা বেশি ধরা যায় ।

প্লানেট নাইন

সৌরজগতে আরও একটি গ্রহের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। আঁধারে থাকা ও বরফে আচ্ছাদিত এই গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্লানেট নাইন’ বা নবম গ্রহ। বুধবার এক ঘোষণায় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল মহাকাশ বিজ্ঞানী নতুন এ গ্রহের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেন। গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৫ থেকে ১০ গুণ বড়।পৃথিবীর চেয়ে এর ব্যাস দ্বিগুণ থেকে চারগুণ বেশি।এটি সৌরজগতে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ।সূর্য থেকে দূরত্ব খুব বেশি হওয়ার কারণেই গ্রহটিতে খুবই কম আলো পৌঁছায়।

পাদটীকা

তথ্যসূত্র

Tags:

গ্রহ ব্যুৎপত্তিগ্রহ সৌর জগৎগ্রহ পাদটীকাগ্রহ তথ্যসূত্রগ্রহইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নজ্যোতির্বিজ্ঞান

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

নোরা ফাতেহিউসমানীয় সাম্রাজ্যবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাইন্দিরা গান্ধীআদমমহাত্মা গান্ধীমুজিবনগরজীববৈচিত্র্যপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাহানিফ সংকেতরাফিয়াথ রশিদ মিথিলাবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহবাংলাদেশের জেলাশিশ্ন বর্ধনপহেলা বৈশাখরামকৃষ্ণ পরমহংসবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাযিনাসিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডসমূহইন্দোনেশিয়াশ্রীকৃষ্ণকীর্তনবাংলাদেশবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়নারায়ণগঞ্জ জেলাজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাযোনিওমানআলী খামেনেয়ীভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাখাওয়ার স্যালাইনঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকাব্রিটিশ রাজের ইতিহাসখলিফাদের তালিকাতথ্যখুলাফায়ে রাশেদীনমালয়েশিয়ার ইতিহাসবিটিএসনগররাষ্ট্রবাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডবাইসননারীমার্ক জাকারবার্গমেটা প্ল্যাটফর্মসসুন্দরবনপ্লাস্টিক দূষণঅশ্বগন্ধাআমার সোনার বাংলামুখমৈথুনবাংলাদেশের ইতিহাসএইচআইভিচিকিৎসকম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবশ্রীলঙ্কাবাংলাদেশের উপজেলালিভারপুল ফুটবল ক্লাবমাশাআল্লাহপিরামিডহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)শ্রীবৎসমানব শিশ্নের আকারআবু হানিফাআলিইন্টার মায়ামি ফুটবল ক্লাবধানরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)বেদসূরা ফাতিহামিশা সওদাগররামমোহন রায়ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানখন্দকের যুদ্ধউমর ইবনে আবদুল আজিজসৌদি রিয়ালঅর্থনীতিবন্ধুত্বফজরের নামাজ🡆 More