অনসূয়া: হিন্দু পৌরাণিক চরিত্র

অনসূয়া (সংস্কৃত লিপ্যন্তরের আন্তর্জাতিক বর্ণমালা: অনসূয়া, अनसूया দ্বেষ ও ঈর্ষা মুক্ত), অনুসূয়া, দেবী অনসূয়া নামেও পরিচিত, হিন্দু কিংবদন্তিতে অত্রি নামে এক প্রাচীন ঋষির স্ত্রী ছিলেন। রামায়ণের বর্ণনানুসারে, তিনি তার স্বামীর সাথে চিত্রকোট বনের দক্ষিণ পরিধিতে একটি আশ্রমে বাস করতেন। তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন এবং সর্বদা অনাড়ম্বর ও নিষ্ঠার অনুশীলন করতেন। এগুলি তাকে অলৌকিক ক্ষমতা অর্জন করতে সাহায্য করেছিল। কাহিনি অনুসারে, অনসূয়া আকাশে ঝড় তুলেছিলেন, দেবতাদের অস্বীকার করেছিলেন এবং মন্দাকিনী নদীকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনেছিলেন।

অনসূয়া
রাম অত্রির আবাসস্থল পরিদর্শন করছেন। অত্রি রাম এবং তার ভাই লক্ষ্মণের সাথে কথা বলছেন, অনসূয়া রামের স্ত্রী সীতার সাথে কথা বলেছেন।
রাম অত্রির আবাসস্থল পরিদর্শন করছেন। অত্রি রাম এবং তার ভাই লক্ষ্মণের সাথে কথা বলছেন, অনসূয়া রামের স্ত্রী সীতার সাথে কথা বলেছেন।
অন্যান্য নামঅনুসূয়া, দেবী অনসূয়া, মহা অনসূয়া, সতী অনসূয়া, মাতা অনসূয়া
দেবনাগরীअनसूया
সংস্কৃত লিপ্যন্তরAnusūyā
অন্তর্ভুক্তিদেবী
লিঙ্গস্ত্রী
অঞ্চলভারত উপমহাদেশ
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতা
  • কর্দম (পিতা)
  • দেবাহুতি (মাতা)
সহোদর
সঙ্গীঅত্রি
সন্তান

সীতা এবং রাম যখন তাদের বনবাসের নির্বাসনের সময় তাকে দেখতে গিয়েছিলেন, অনসূয়া তাদের প্রতি খুবই অভিনিবিষ্ট ছিলেন এবং সীতাকে এমন উপলেপ দিয়েছিলেন যা চিরকাল তার সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য উপযোগী ছিল। অনসূয়া সীতাকে বলেছিলেন যে, রাজপ্রসাদের সুখ ত্যাগ করে রামের সঙ্গে বনবাসী হয়ে তিনি সঠিক কাজ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, একজন নারীর তার স্বামীর চেয়ে ভাল বন্ধু আর হতে পারে না যে তাকে সর্বদা রক্ষা করে। তিনি ত্রিমূর্তি- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিবের ঋষি অবতার দত্তাত্রেয়; শিবের অবতার একরোখা-রাগান্ধ ঋষি দুর্বাসা এবং ব্রহ্মার অবতার চন্দ্রাত্রির মাতা ছিলেন। তিনি চন্দ্রদেব চাঁদের মাও ছিলেন। তিনি ছিলেন ঋষি কর্দম এবং দেবাহুতির কন্যা ছিলেন। ঋষি কপিল ছিলেন তার ভাই এবং শিক্ষক। হিন্দু ধর্মানুসারে তিনি সতী অনসূয়া অর্থাৎ পবিত্র স্ত্রী অনসূয়া হিসেবে পূজিত হন। তিনি হিন্দু পুরাণের অন্যতম পবিত্র চরিত্র হিসেবে বিবেচিত। অনসূয়া ছিলেন হিন্দু পুরাণে বর্ণিত দুষ্মন্তের স্ত্রী ও সম্রাট ভরতের মা শকুন্তলার প্রিয়সখীদের একজন।

শব্দতত্ত্ব

অনসূয়া দুটি অংশ নিয়ে গঠিত: অন এবং অসূয়াঅন একটি নেতিবাচক উপসর্গ এবং অসূয়া অর্থ ঈর্ষা। অর্থাৎ, অনসূয়া অর্থ দাঁড়ায় ঈর্ষা বা হিংসা থেকে মুক্ত

অনসূয়া ও অত্রির আখ্যান

অনসূয়ার পরিবারের কাহিনি ভাগবত পুরাণের তৃতীয় স্কন্দে উল্লিখিত রয়েছে। ঋষি কর্দম, স্বয়ম্ভু মনুর কন্যা দেবাহুতিকে বিবাহ করেছিলেন। তাদের দশটি সন্তান ছিল; এক পুত্র এবং নয়টি কন্যা। পুত্রের নাম মহর্ষি কপিল (বিষ্ণুর অবতার)। অনসূয়া সেই নয় কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় এবং অন্যতম ছিলেন। অন্য কন্যারা হলেন: কালা, শ্রদ্ধা, মানিনী (হাবির্ভূ নামেও পরিচিতা), গীতা, ক্রিয়া, খ্যাতি, অরুন্ধতী এবং শান্তি। প্রতিটি কন্যার বিবাহ হয়েছিল যথাক্রমে ঋষি মরীচি, অঙ্গীরা, পুলস্ত, পুলহ, ক্রিতু, বশিষ্ঠ এবং অথর্বের সাথে। অনসূয়ার বিবাহ হয়েছিল মহর্ষি অত্রির সাথে।

ঐশ্বরিক ত্রয়ীর কাছে অনসূয়ার পরীক্ষা

অনসূয়া: শব্দতত্ত্ব, অনসূয়া ও অত্রির আখ্যান, দেবী অনসূয়ার আশ্রম 
অনসূয়া হিন্দু ত্রয়ীকে খাওয়াচ্ছেন

ঋষি নারদ তার স্তোত্র এবং শ্লোকে অনসূয়ার প্রশংসা করেছিলেন। সেই কারণে লক্ষ্মী পার্বতী এবং সরস্বতী অনসূয়ার কাছ থেকে পতিব্রত্য শিখতে চেয়েছিলেন। তারা তাদের পতিদের অনুরোধ করেছিলেন অনসূয়ার কাছে গিয়ে তার অনুমতি নিয়ে আসতে, যাতে তারা মানবী রূপে তার কাছে যেতে পারেন। ত্রিদেব ঋষির ছদ্মবেশে অনসূয়ার কাছে গেলেন এবং সেখানে ভিক্ষার মাধ্যমে পত্নীদের জন্য অনুমতি চাইলেন। অনসূয়া যখন তাদের পরিচর্যা করতে গেলেন, তখন তার চোখের মাতৃসুলভ ভালবাসা দেবতাদের ছয় মাস বয়সী শিশুতে পরিণত করল। এরপরে অনেক দিন কেটে গেল তিন দেবী পতিদের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু যখন তারা ফিরলেন না, তারা অনসূয়ার কুটিরে গিয়ে দেখেন দেবতারা শিশুতে রূপান্তরিত। দেবীগণ অনসূয়াকে অনুরোধ করেছিলেন, তাদের পতিদের স্বাভাবিক করে তোলার জন্য। একটি কথন অনুযায়ী, দেবতারা মিশে গিয়ে অনসূয়ার ত্রিমস্তকধারী পুত্রে রূপান্তরিত হলেন।

অনসূয়া: শব্দতত্ত্ব, অনসূয়া ও অত্রির আখ্যান, দেবী অনসূয়ার আশ্রম 
ভাগবত পুরাণের পান্ডুলিপির একটি পৃষ্ঠায় অত্রি এবং অনসূয়ার ত্রিমূর্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার গল্প চিত্রিত হয়েছে (পিএইচপি ৪.১.২১-২৫) (কাগজ, ১৮ শতকের শেষের দিকে, জয়পুর)

পৈঠান থেকে কৌশিক নামে এক পুরুষ, ব্রাহ্মণ এবং ঘরে একনিষ্ঠ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও, এক যৌনকর্মীর কাছে আসতেন। পরে যখন তিনি কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হন, পতিতা তাকে ছেড়ে চলে যায়। তিনি নিজের স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে বাধ্য হন, তার স্ত্রী তখনও তার প্রতি যত্নশীল এবং নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। কৌশিক তখনও সেই পতিতার প্রতি আকৃষ্ট ছিল এবং একদিন তিনি তার পত্নীকে সেই পতিতার কাছে নিয়ে যেতে অনুরোধ করলেন। সেই শহরে, ঋষি মান্ডব্যকে একজন অপরাধীর পরিবর্তে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল এবং বনে একটি সূচ্যগ্র বস্তুর উপর তিনি শুয়ে ছিলেন। রাতে পত্নীর সঙ্গে গভীর বনের মধ্য দিয়ে যাবার সময় কৌশিক ঋষির শরীরে হোঁচট খেয়ে পড়েন। ঋষি তাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে সূর্যোদয়ের আগেই তার মৃত্যু ঘটবে। অভিশাপ আটকাতে, কৌশিকের পত্নী নিজের ভালবাসার শক্তিতে সূর্যোদয় হতে দেননি, এর ফলে স্বর্গে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। দেবতারা সাহায্য প্রার্থনা করে ব্রহ্মার কাছে গিয়েছিলেন। ব্রহ্মা তখন অনসূয়ার কাছে গিয়েছিলেন এবং কৌশিকের স্ত্রীকে বোঝাতে বলেছিলেন, যাতে তিনি সূর্যোদয়ের অনুমতি দেন। অনসূয়া কেবলমাত্র কৌশিকের স্ত্রীকে বুঝিয়ে সূর্যোদয় ঘটিয়েছিলেন তাই নয়, ঋষির অভিশাপ অনুযায়ী কৌশিকের মৃত্যুর পর তাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। ব্রহ্মা অনসূয়ার প্রতি খুব খুশি হয়েছিলেন এবং পরে তার গর্ভে চন্দ্রাত্রী হয়ে জন্ম নেন।

কিছু সময় পরে, রাহু সূর্যকে গলাধঃকরণ করে, এর ফলে সারা পৃথিবী অন্ধকারে ডুবে যায়। বহু বছরের কঠোর তপস্যার ফলে অত্রি এক বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন, সেই ক্ষমতার বলে তিনি রাহুর কবল থেকে সূর্যকে মুক্ত করেছিলেন। ফলে বিশ্ব পুনরায় আলোকিত হয়েছিল। দেবতারা সন্তুষ্ট হয়েছিলেন এবং শিব, বিষ্ণু, দুর্বাসা এবং দত্তাত্রেয় রূপে অত্রি এবং অনসূয়ার সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন।

অন্য এক কিংবদন্তি অনুসারে, অত্রি কুলা পর্বতমালায় এক ভয়ংকর তপস্যা করেছিলেন। ফলে পুরো বিশ্বে আগুন ধরে গিয়েছিল। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব তার এই সাধনায় মুগ্ধ হয়ে তাকে বর প্রদান করতে চেয়েছিলেন। অত্রি বরদান হিসেবে তাদের অনুরোধ করেন তার সন্তান হিসাবে জন্মগ্রহণ করতে। ব্রহ্ম পুরাণ অনুসারে, অত্রি তিন পুত্র এবং এক কন্যা, শুভাত্রেয়ীর জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

দেবী অনসূয়ার আশ্রম

অনসূয়া: শব্দতত্ত্ব, অনসূয়া ও অত্রির আখ্যান, দেবী অনসূয়ার আশ্রম 
অনসূয়ার আশ্রমের পাশে বয়ে যাওয়া মন্দাকিনী নদীর দৃশ্য

দেবী অনসূয়ার আশ্রম চিত্রকূটে অবস্থিত। এটি মন্দাকিনী নদীর উজানে, শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার (৯.৯ মা) দূরে, ঘন অরণ্যের মাঝে অবস্থিত। এখানে সারাদিন পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকে। এখানেই ঋষি অত্রি, তার স্ত্রী অনসূয়া এবং তাদের তিন পুত্র (যারা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিবের তিন অবতার ছিলেন) বাস করতেন এবং কথনে বলা হয়, তপস্যা করতেন।

আদিকবি বাল্মীকি তার রামায়ণে লিখেছেন যে, এক সময় চিত্রকূটে দশ বছর যাবৎ বৃষ্টি হয়নি। সেখানে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল, এবং প্রাণী ও পাখিদের খাওয়া ও পান করার মত কিছুই আর অবশিষ্ট ছিলনা। সতী অনসূয়া কঠোর ও নিবিড় তপস্যা করেন এবং মন্দাকিনী নদীকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনেন। মন্দাকিনীর জলধারায় সবুজ এবং বনভূমি পুনর্জীবিত হয়েছিল, এবং সকল ঋষি ও প্রাণীজগতের দুর্গতি নিবারণ হয়েছিল।

সতী অনসূয়ার আশ্রমটি, বর্তমানে এক অত্যন্ত শান্ত জায়গায় অবস্থিত। এখানে পাহাড়ের বিভিন্ন স্রোত একত্রিত হয়ে মন্দাকিনী নদী গঠন করেছে। কথিত আছে যে রাম এবং সীতা মহর্ষি অত্রি এবং সতী অনসূয়ার সাথে দেখা করতে এই স্থানটি পরিদর্শন করেছিলেন। এখানেই সতী অনসূয়া সীতাকে সতীত্বর মহিমা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছিলেন। ঘন দন্ডক অরণ্য এই জায়গা থেকেই শুরু হয়। এই অঞ্চল রাবণের শাসনাধীন ছিল। রাবণ খর এবং বিরাধের মতো শক্তিশালী রাক্ষসকে এর শাসক হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। রাক্ষসদের অত্যাচারে স্থানটিতে সন্ত্রাস বিরাজমান ছিল।

জনপ্রিয় সংস্কৃতি

অনসূয়ার কাহিনি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সর্বপ্রথম ১৯৩৬ সালে তেলুগু ভাষায় অনসূয়া নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন চিত্তজালু পুলায়া। পরবর্তীকালে সতী অনসূয়া শিরোনামে ১৯৫৭ এবং ১৯৭১ সালে দুটি চলচ্চিত্র তেলুগু ভাষায় নির্মিত হয়েছিল। ১৯৫৭ সালের চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছিলেন কাদেরু নাগভূষণম। এটিতে অঞ্জলি দেবী এবং গুম্মাদি ভেঙ্কটেশ্বর রাও অভিনয় করেছিলেন। ১৯৭১ সালের চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছিলেন বি. এ. সুব্বা রাও। যমুনা রামনারাও অনসূয়ার চরিত্রে, শারদা সুমতির চরিত্রে এবং তাদপল্লী লক্ষ্মী কান্ত রাও মহর্ষি অত্রির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন পি. আদিনারায়ণ রাও।

আরও দেখুন

উদ্ধৃতি

সূত্র

    গ্রন্থ
    বিশ্বকোষ
  • পরমেশ্বরানন্দ, স্বামী (২০০১)। "Anasuya"Encyclopaedic Dictionary of Puranas। সরুপ অ্যান্ড সন্স। আইএসবিএন 9788176252263 
  • ডাউসন, জন (১৮৭০)। "Anasuya"অ্যা ডিকশনারি অব হিন্দু মিথোলজি অ্যান্ড রিলিজিয়ন। ট্র্যাবনার অ্যান্ড কোম্পানি। 

Tags:

অনসূয়া শব্দতত্ত্বঅনসূয়া ও অত্রির আখ্যানঅনসূয়া দেবী র আশ্রমঅনসূয়া জনপ্রিয় সংস্কৃতিঅনসূয়া আরও দেখুনঅনসূয়া উদ্ধৃতিঅনসূয়া সূত্রঅনসূয়াঅত্রিআশ্রমঋষিচিত্রকোটরামায়ণহিন্দু

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

যোহরের নামাজবঙ্গবন্ধু সেতুসমাসবাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনভাষাফজরের নামাজমহাদেশ অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাগাজীপুর জেলাব্যাপনশ্রীকৃষ্ণকীর্তনইন্টার মিলানআফগানিস্তানহনুমান চালিশাপদ্মা সেতুউমাইয়া খিলাফতবাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিজাতীয় সংসদের স্পিকারদের তালিকাইসলামের ইতিহাসনিউটনের গতিসূত্রসমূহরামপ্রান্তিক উপযোগমৈমনসিংহ গীতিকাসৌরজগৎগৌতম বুদ্ধবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবইন্দোনেশিয়াশিক্ষাহামফুটবল খেলার নিয়মাবলীআলালের ঘরের দুলালরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকিরগিজস্তানপ্রধান তাপ কর্মকর্তাকৃত্তিবাস ওঝাকুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টসংখ্যার তালিকাতুরস্কহিমালয় পর্বতমালাশেষের কবিতাপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমজলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনইউটিউবভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনগোত্র (হিন্দুধর্ম)সমকামিতামানব শিশ্নের আকারবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাডায়াজিপামপহেলা বৈশাখমুদ্রাস্ফীতিইনডেমনিটি অধ্যাদেশমোবাইল ফোনমহাস্থানগড়জসীম উদ্‌দীনকোণযিনাসৈয়দ সায়েদুল হক সুমনজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সৌদি রিয়ালবর্ডার গার্ড বাংলাদেশহস্তমৈথুনের ইতিহাসগায়ত্রী মন্ত্রব্রিটিশ রাজের ইতিহাসওঁ নমঃ শিবায়ঋগ্বেদমহাভারতমাইকেল মধুসূদন দত্তকাবাসিরাজগঞ্জ জেলাভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধিশিব নারায়ণ দাসনিরপেক্ষ রেখা (অর্থনীতি)নরেন্দ্র মোদীশবনম বুবলিতাপমাত্রাপারমাণবিক অস্ত্রইরান🡆 More