ইউরোপীয় রাসায়নিক সংস্থা (ইসিএইচএ) হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সংস্থা যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রবিধানে রাসায়নিক নিবন্ধন, মূল্যায়ন, অনুমোদন এবং সীমাবদ্ধকরণ (রিচ) নিয়ম বাস্তবায়নের কারিগরি ও প্রশাসনিক দিকগুলি পরিচালনা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাসায়নিক সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যকার চালিকাশক্তি হচ্ছে ইসিএইচএ। ইসিএইচএ নিশ্চিত করে যে কোম্পানিগুলো আইন মেনে চলছে, রাসায়নিকের নিরাপদ ব্যবহার এগিয়ে চলছে, রাসায়নিক সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে এবং উদ্বেগজনক রাসায়নিকগুলোর সমাধান করা হচ্ছে। এটি ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে অবস্থিত। এটি ইউরোপীয় কমিশনের কোনো সহায়ক সত্তা নয়।
হেলসিঙ্কিতে সদর দপ্তর | |
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ১ জুন ২০০৭ |
ধরন | ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থা |
সদর দপ্তর | হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড ৬০°০৯′২৯″ উত্তর ২৪°৫৫′৫৭″ পূর্ব / ৬০.১৫৮১° উত্তর ২৪.৯৩২৫° পূর্ব |
কর্মী | ৬০০ |
সংস্থা নির্বাহী |
|
মূল নথি | |
ওয়েবসাইট | echa |
মানচিত্র | |
ইউরোপীয় রাসায়নিক এজেন্সি (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) |
সংস্থাটি ২০০৭ সালের ১ জুন কার্যক্রম শুরু করে। সংস্থাটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক হলেন শায় ও'ম্যালি।
ইউরোপীয় রাসায়নিক সংস্থা (ইসিএইচএ) ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর তারিখের ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রবিধান দ্বারা তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য রাসায়নিক পদার্থ উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য তখনকার নতুন আইন পরিচালনা করা। ইউরোপীয় কোর্ট অফ অডিটর্সের পরবর্তী একটি নিরীক্ষার মতে এর উদ্দেশ্য হলো:
মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের উচ্চ স্তরের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, পদার্থের ঝুঁকি মূল্যায়নের বিকল্প পদ্ধতির প্রচার সহ অভ্যন্তরীণ বাজারে পদার্থের মুক্ত চলাচল এবং প্রতিযোগিতামূলকতা এবং উদ্ভাবন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
রাসায়নিক আইন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং এর অন্তর্নিহিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে সকল স্বার্থী পক্ষ এবং জনসাধারণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা।
রিচ বিধিমালা এবং এর বাস্তবায়ন সম্পর্কিত যোগাযোগ সমন্বয় করা।
ব্রাসেলস থেকে বদলি হয়ে আসা ৪০ জন কর্মচারীর একটি প্রাথমিক দল ২০০৭ সালের ১ জুন হেলসিঙ্কিতে সংস্থাটি স্থাপন করা শুরু করে। রিচ (রাসায়নিক পদার্থ নিবন্ধন, মূল্যায়ন, অনুমোদন এবং সীমাবদ্ধতা)-এর সাথে সম্পর্কিত কাজের জন্য পৃথক রাসায়নিক পদার্থের তথ্য সংরক্ষণ করতে কম্পিউটার সিস্টেমের ব্যাপক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে বলে বোঝা গিয়েছিলো, যার বেশিরভাগই রাসায়নিক উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো সরবরাহ করেছে।
ইউরোপীয় রাসায়নিক সংস্থা (ইসিএইচএ) তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধিত রাসায়নিক পদার্থ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যের একটি সার্বজনীন সারাংশ সরবরাহ করে। তথ্যগুলো পদার্থের বিপদ, ব্যবহার এবং উৎপাদন বা আমদানির পরিমাণ বর্ণনা করে। ২৪৫,০০০ এরও বেশি রাসায়নিক পদার্থের তথ্য এখানে পাওয়া যায়, যদিও বেশিরভাগেরই পূর্ণ দলিল নেই। কারণ এগুলোর বার্ষিক ব্যবহার এক টন পরিমাণের নিচে। অনলাইন ব্যবস্থায় পদার্থ খুঁজতে ক্যাস নিবন্ধন নম্বর বা ইউরোপীয় সম্প্রদায় নম্বর ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য সম্ভাব্য অনুসন্ধান শর্তের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মালিকানাবিহীন নাম (ফার্মাসিউটিকাল ওষুধের জন্য), আইএসও সাধারণ নাম (কৃষি রাসায়নিকের জন্য) বা আইইউপিএসি নাম।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ইউরোপীয় রাসায়নিক এজেন্সি, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.