কোরিয়া হান নদী: দক্ষিণ কোরিয়ার নদী

হান নদী বা হ্যাং (কোরীয় উচ্চারণ: ) দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রধান নদী এবং আমনক (ইয়ালু), তুমান (তুমান) এবং নকডং নদীর পরে কোরিয়া উপদ্বীপের চতুর্থ বৃহত্তম নদী। নদীটি কোরিয়া উপদ্বীপের পূর্ব পাহাড়ে দুটি ছোট নদী হিসেবে শুরু হয় এবং দেশের রাজধানী সিউলের কাছে একত্রিত হয়।

হান নদী (한강)
নদী
হ্যাং রেল সেতু হান অতিক্রম করে।
হ্যাং রেল সেতু হান অতিক্রম করে।
হ্যাং রেল সেতু হান অতিক্রম করে।
আদি নাম: বেয়েক হানজা,
"হানসু" (漢水)
দেশসমূহ দক্ষিণ কোরিয়া(কেওআর), উত্তর কোরিয়া(পিআরকে)
Provinces গঙ্গওয়ান (কেওআর), গ্যেঙী (কেওআর), সিউল (কেওআর), উত্তর হাওয়াঙ্গে (পিআরকে)
উপনদী
 - বাঁদিকে ডালছেণ, চেংমাইছেন, বখেছেণ, গ্যাঙ্গনছেন, অন্যাঙচেঙ, আরা খাল
 - ডানদিকে সওম নদী, বুখান নদী, জুনগ্নাংছেণ, গোঙ্গনিউংছেণ, রিমজিন নদী
উৎস তেঁবেক পর্বতমালা
 - অবস্থান জুমদায় পিক, তেঁবেক, গঙ্গওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া
মোহনা পীতসাগর
 - অবস্থান কোর-পিআরকে সীমান্তের জিম্পো উপদ্বীপ এর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় টিপ,
দৈর্ঘ্য ৪৯৪ কিলোমিটার (৩০৭ মাইল)
অববাহিকা ৩৫,৭৭০ বর্গকিলোমিটার (১৩,৮১১ বর্গমাইল)
প্রবাহ for হ্যাং সেতু, সিওল
 - গড় ৬১৩ m³/s (২১,৬৪৮ ft³/s)
হান নদী ব্যবস্থা
হান নদী ব্যবস্থা
হান নদী ব্যবস্থা
† : Distributary of Han
Han river
হাঙ্গুল
হাঞ্জা
সংশোধিত রোমানীকরণHan(-)gang
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়াHan'gang

হান নদী এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকাটি কোরিয়ার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কোরিয়ার তিন সাম্রাজ্য এই ভূমি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্ররোচিত হয়েছিল, যেখানে এই নদীটি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য পথ (হলুদ সাগরের মাধ্যমে) হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যাহোক, নদীটি এখন আর সক্রিয়ভাবে নৌচলাচলের জন্য ব্যবহার করা হয় না, কারণ এর মোহনা দুই কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এবং স্থানটিতে যেকোনো বেসামরিক নাগরিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

নদীটি ১২ মিলিয়ন কোরিয়দের জন্য জলের একটি উৎস হিসেবে কাজ করে। ২০০০ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী নদীতে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ফেলের কথা স্বীকার করেছিল এবং এর ফলে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল।

বর্তমানে, হান নদীটির নিম্নপ্রবাহে পথচারীর জন্য হাঁটা পথ, সাইকেল পথ, সরকারি উদ্যান এবং পানশালার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। ৮০০ জন বাসিন্দা এবং ১০৩ জন শহুরে পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সিউল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের দ্বারা পরিচালিত ২০১১ সালের জরিপে ৫১.৩ শতাংশ বাসিন্দারা এবং ৬৮.৯ শতাংশ বিশেষজ্ঞরা নামসান পর্বতের পরে শহরটির দ্বিতীয় সবচেয়ে সুন্দর স্থান হিসেবে হান নদীকে ভোট দিয়েছেন।

ভূগোল

হান নদীটি নামহান নদী (দক্ষিণ হান নদী)-এর সমাহার দ্বারা গঠিত, যা ডেডিয়োক পর্বত থেকে উৎপন্ন হয় এবং উত্তর কোরিয়ার কুমগাং পর্বতের ঢালগুলোতে উদ্ভূত বুখান নদী (উত্তর হান নদী)। নদীটি সিউলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং তারপরে এটি হলুদ সাগরে প্রবাহিত হওয়ার পূর্বে রিজজিন নদীর সঙ্গে মিলিতভাবে প্রবাহিত হয়। নদীর দুটি প্রধান শাখা, নামহান নদী এবং বুখান নদী গায়ংগি প্রদেশের ইয়াংপাইং নামক স্থানে মিলিত হয় এবং নদীটি হান নদী হিসেবে পরিচিত হয়। এরপর এটি সিউলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং হলুদ সাগরে পতিত যায়। বৃহৎ জোয়ারের স্থান হান নদীর মুখে পাওয়া যায়, যেখানে নদীটি দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়াকে বিভক্তকারী কোরীয় অসামরিকীকৃত অঞ্চল বরাবর সমুদ্রের সাথে মিলিত হয়।

হান নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৯৪ কিলোমিটার (৩০৭ মাইল)।

নোট

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article uses material from the Wikipedia বাংলা article হান নদী (কোরিয়া), which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.

Tags:

কোরিয়া হান নদী ভূগোলকোরিয়া হান নদী নোটকোরিয়া হান নদী তথ্যসূত্রকোরিয়া হান নদী বহিঃসংযোগকোরিয়া হান নদীউইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় কোরীয় শব্দের প্রতিবর্ণীকরণকোরীয় উপদ্বীপদক্ষিণ কোরিয়া

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

পহেলা বৈশাখপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদমানব দেহজীবনানন্দ দাশমহাস্থানগড়বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলফোর্ট উইলিয়াম কলেজনেপোলিয়ন বোনাপার্টশিল্প বিপ্লববাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহক্যান্টনীয় উপভাষাআযানসংক্রামক রোগশর্করাসমাজতন্ত্ররোমান সাম্রাজ্যরামবাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকাচিয়া বীজমুহাম্মদ ইউনূসসুকুমার রায়জবাতারেক রহমানঅর্থনীতিইতিহাসজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেঅণুজীবরক্তের গ্রুপআইজাক নিউটনঅক্সিজেনঔষধমদিনাদ্বিপদ নামকরণবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২নিরাপদ যৌনতানেলসন ম্যান্ডেলাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধনেপালহোমিওপ্যাথিউপন্যাসডেভিড অ্যালেনইসলামের পঞ্চস্তম্ভস্বরধ্বনিমুসামরক্কোকাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিযতিচিহ্নআল্লাহ২০২৩ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপঅপু বিশ্বাসসামন্ততন্ত্রইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগচ সু-হিয়াংপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাআবদুর রহমান আল-সুদাইসজাতীয় সংসদের স্পিকারদের তালিকালালনঅশোক (সম্রাট)ভরিচাশতের নামাজইহুদিসাঁওতাল বিদ্রোহক্যান্সারবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহমার্কসবাদকলকাতাদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাভারতপদ্মা সেতুবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকাঠগোলাপলিঙ্গ উত্থান ত্রুটিমাম্প্‌সভিটামিনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরনামাজ🡆 More