লাতভিয়া

লাতভিয়া (/ˈlɑːtviə/ or /ˈlætviə/ (ⓘ); লাটভিয়ান: Latvija টেমপ্লেট:IPA-lv; Latgalian: Latveja; টেমপ্লেট:Lang-liv) উত্তর ইউরোপের বাল্টিক সাগরের পূর্ব তীরে লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার মধ্যস্থলে অবস্থিত রাষ্ট্র। ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি ও ঘণ অরণ্যে এবং এগুলির মধ্যে অবস্থিত বহু নদনদী, হ্রদ ও জলাভূমি নিয়ে লাতভিয়ার নয়নাভিরাম ভূ-প্রকৃতি গঠিত। এখানে লাতভীয় জাতির লোকেরা সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে রুশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আকার বেশ বড়। রিগা বৃহত্তম শহর, প্রধান বন্দর ও রাজধানী।

লাতভীয় প্রজাতন্ত্র

Latvijas Republika লাৎভিয়াস্‌ রেপুব্লিকা
লাতভিয়ার জাতীয় পতাকা
পতাকা
লাতভিয়ার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: "Tēvzemei un Brīvībai"  (লাতভীয়)
"মাতৃভূমি ও মুক্তির জন্য"
জাতীয় সঙ্গীত: Dievs, svētī Latviju!  (লাতভীয়)
"ইশ্বর, লাতভিয়াকে আশীর্বাদ করুন!"
 লাতভিয়া-এর অবস্থান (কমলা) – ইউরোপে (তামাটে & সাদা) – ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এ (তামাটে)  –  [ব্যাখ্যা]
 লাতভিয়া-এর অবস্থান (কমলা)

– ইউরোপে (তামাটে & সাদা)
– ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এ (তামাটে)  –  [ব্যাখ্যা]

রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
রিগা
সরকারি ভাষালাতভীয়
নৃগোষ্ঠী
৬৩.০% লাতভীয়
২৪.২% রুশ
  ৩.১% বেলারুশীয়
  ১.৯% পোলীয়
  ৭.৮% অন্যান্য
জাতীয়তাসূচক বিশেষণলাতভীয়
সরকারসংসদীয় গণতন্ত্র
• রাষ্ট্রপতি
ভালদিস জাতলের্স
• প্রধানমন্ত্রী
আলিগার্স কালভিতিস
আয়তন
• মোট
৬৪,৫৮৯ কিমি (২৪,৯৩৮ মা) (১২২তম)
• পানি (%)
১.৫
জনসংখ্যা
• ২০১৬ আনুমানিক
1,953,200 (১৪৮তম)
• ২০১১ আদমশুমারি
2,070,371
• ঘনত্ব
৩৪.৩/কিমি (৮৮.৮/বর্গমাইল) (১৬৬তম)
জিডিপি (পিপিপি)আনুমানিক
• মোট
$৫৩.৪৬৭ বিলিয়ন
• মাথাপিছু
$২৯,৪৮৯
জিডিপি (মনোনীত)২০১৮ আনুমানিক
• মোট
$৩০.১৭৬ বিলিয়ন
• মাথাপিছু
$18,472
জিনি (2016)34.5
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (2015)বৃদ্ধি 0.830
অতি উচ্চ · 44th
মুদ্রাEuro (EUR)
সময় অঞ্চলইউটিসি+2 (EET)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+3 (EEST)
কলিং কোড371
ইন্টারনেট টিএলডি.lv 3
1 Latvia considers itself continuous with the first republic.
2 Secession from Soviet Union begun.
3 Also .eu, shared with other European Union member states.
লাতভিয়া
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত ভূমির পঞ্চম সর্বোচ্চ অনুপাত লাটভিয়ার

১৩শ শতক থেকে লাতভিয়া ক্রমান্বয়ে জার্মানি, পোল্যান্ডরুশদের দ্বারা শাসিত হয়। ১৯১৮ সালে প্রতিবেশী এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়ার সাথে এটিও স্বাধীনতা লাভ করে। রাষ্ট্র তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র নামে পরিচিত লাভ করে। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বলপূর্বক বাল্টিক রাষ্ট্রগুলিকে ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে।

১৯৯১ সালে লাতভিয়া পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে এবং একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে। দেশটি বেশ সফলভাবে সোভিয়েত আমলের কেন্দ্রশাসিত অর্থনীতি থেকে পশ্চিমা বাজারভিত্তিক অর্থনীতিতে উত্তরণ ঘটায়। লাতভিয়ার এই সাফল্য ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তিতে ভূমিকা রাখে।

ইতিহাস

খ্রিষ্টজন্মের ৯ হাজার বছর আগে থেকে লাটভিয়া নামের বর্তমান দেশটিতে মনুষ্যবসতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার সালের আগে এলাকাটি জমে ওঠেনি। আরো প্রায় ৪ হাজার বছর পর এ অঞ্চলের জনমিতিতে বড় পরিবর্তন দেখা দেয়। তখন চারটি উপজাতি বসতি দেখা যায়। এরা কুউরি, ল্যাটগালি, সেলি ও জেমগালি নামে পরিচিত। সবারই ছিল আলাদা সংস্কৃতি ও কৃষ্টি। পরে চারটি স্বতন্ত্র ধারায় এর বিকাশ ঘটতে দেখা যায়। প্রাচীনকাল থেকে বাল্টিক সাগরের তীরের দেশটি ইউরোপীয়দের জন্য ছিল বেশ অকর্ষণীয়। বিশেষত সাগর তীরের হলুদাভ বাদামি পাথর পাওয়া যেত। এগুলো অত্যন্ত মূল্যবান অলঙ্কার উপাদান হিসেবে ইউরোপে সমাদৃত ছিল। প্রাচীন রোম ও গ্রিসে এরা এই পাথর রফতানি করত উচ্চ দামে। বর্তমানেও লাটভিয়ার স্বর্ণালঙ্কারে এ পাথরের বহুল ব্যবহার দেখা যায়।

খ্রিষ্টান মিশনারিরা ১১৮০ সালে লাটভিয়ায় আসে। এ সময় লাটভীয়রা দেবদেবীর পূজা করত। জার্মানি থেকে আগত খ্রিষ্টানরা ক্রমেই তাদের এ ধর্মে দীক্ষা দেয়। ১২০০ সালে তারা জার্মান সরকারের অধীনে রীতিমতো লিভোনিয়া নামের একটি নতুন রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে। প্রতিবেশী এস্তোনিয়ার দক্ষিণ অংশ এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। রাজধানী রিগা তখন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়। পূর্ব ইউরোপের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল। ১৫০০ সালে এখানকার অদিবাসীদের মধ্যে আবার একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি অঞ্চলটির কর্তৃত্ব চলে যায় পোল্যান্ডের কাছে। অষ্টাদশ শতকের শুরু পর্যন্ত লিভোনিয়া নামক অঞ্চল দখলের ত্রিমুখী লড়াই চলে পোল্যান্ড, সুইডেনরাশিয়ার মাঝে। একটা সময় সুইডিশরা এর কর্তৃত্ব পায়। তারা কৃষকদের শিক্ষাদীক্ষার জন্য স্কুল স্থাপন করে। অঞ্চলটি আবার জার্মানদের দখলে আসে। দীর্ঘদিন জার্মান দখলের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দানা বাঁধে। ১৯৪০ সালে হিটলারের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট স্টালিনের এক চুক্তিবলে রাশিয়া দেশটি গ্রাস করে নেয়। কিন্তু ১৯৪১ সালেই হিটলারের বাহিনী দেশটি দখল করে নেয়।

১৯৪৪ সালে রাশিয়া লাটভিয়াকে আবার দখল করে। রাশিয়ার শাসনে দেশটিতে ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটে। একই সাথে লাটভিয়ায় বসতি স্থাপন করে হাজার হাজার রাশিয়ান। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে তারা লাটভিয়া থেকেও সরে আসে। তবে দেশটির সামাজিক জীবনে রাশিয়ানরা ব্যাপক প্রভাব রেখে যায়। জনসাধারণের এক-চতুর্থাংশ রাশিয়ান ভাষায় কথা বলে।

রাজনীতি

লাটভিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। ১৯২২ সালে দেশটির সংবিধান প্রণীত হলেও ১৯৯১ সালের আগে তা কার্যকারিতা পায়নি। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদের সদস্যসংখ্যা ১০০। তারাও চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং সাইমা নামক আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন। ছোট দেশটিতে ২০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে।

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

ভূগোল

লাটভিয়ার আবহাওয়ায় বলকান উপসাগরের প্রভাব রয়েছে। সে কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। গ্রীষ্মকালে উত্তপ্ত আবহাওয়া। শরৎ ও বসন্তে সামান্য উষ্ণ থাকে। অবস্থান উত্তর গোলার্ধের কাছে হওয়ায় শীতকালে দেশটিতে প্রচণ্ড শীত পড়ে। বৃষ্টি ও তুষারপাত হয় সারা বছরই। রাশিয়া থেকে তীব্র শীতল বাতাসও প্রবাহিত হয় বছরব্যাপী। সমতল ভূমির পরিমাণ বেশি। এখানকার জমি বেশ উর্বর। পূর্বাঞ্চলে কিছু পাহাড় রয়েছে। দেশটি ২৬টি জেলায় বিভক্ত। রয়েছে সাতটি শহর। এগুলোর শাসনব্যবস্থা কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির। উন্নয়ন ও অর্থনীতির স্বার্থে সরকার দেশটিকে পাঁচটি পরিকল্পিত এলাকায় বিভক্ত করেছে।

অর্থনীতি

২০০০ সাল থেকে লাটভিয়া ইউরোপের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশে পরিণত হয়। ২০০৬ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় প্রায় ১২ শতাংশ। তবে মুদ্রাস্ফীতিও ছয় শতাংশের ওপরে। বেকারত্ব ছিল আট শতাংশের বেশি। সোভিয়েত আমলে সব কিছুতেই ছিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। এখনো বড় সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সরকারের একটা বড় অংশ রয়েছে।

জনসংখ্যা

জাতিগতভাবে লাতভিয়ার বাসিন্দারা (2021)

লাতভীয় ৬২.৭%
রুশ ২৪.৪%
বেলারুশীয় ৩.১%
ইউক্রেনীয় ২.২%
পোল ২.০%
লিথুয়ানীয় ১.১%
অন্যান্য ৪.১%

২০১৩ সালে আয়ু অনুমান করা হয়েছিল ৭৩.১৯ বছর (৬৮.১৩ বছর পুরুষ, ৭৮.৫৩ বছর মহিলা)২০১৫ সালের হিসাবে, লাতভিয়ার বিশ্বে সর্বনিম্ন পুরুষ থেকে মহিলা অনুপাত রয়েছে বলে অনুমান করা হয়, প্রতি মহিলা প্রতি ০.৮৫ পুরুষের মধ্যে ২০১৭ সালে, লাত্ভীয় অঞ্চলে বসবাসরত ১০,৫৪,৪৩৩ মহিলা এবং ৮,৯৫,৬৮৩ জন পুরুষ ছিলেন। প্রতি বছর, মেয়েদের চেয়ে বেশি ছেলে জন্মগ্রহণ করে। ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলাদের চেয়ে বেশি পুরুষ রয়েছে। ৭০ বছর বয়স থেকে, পুরুষের চেয়ে অনেক মহিলা ২.৩ গুণ বেশি।

জাতিগোষ্ঠী

মার্চ ২০১১ পর্যন্ত, লাটভিয়ানরা জনসংখ্যার প্রায় ৬২.১% গঠন করেছিল, যেখানে ২৬.৯% ছিল রাশিয়ান, বেলারুশিয়ান ৩.৩%, ইউক্রেনীয় ২.২%, পোল ২.২%, লিথুয়ানিয়ান ১.২%, ইহুদি ০.৩%, রোমানিয়ান ০.৩%, জার্মান, ০.১% এস্তোনিয়ান ০.১% এবং অন্যান্য ১.৩%। ২৫০ লোক লিভোনিয়ান (বাল্টিক ফিনিক লাটভিয়ার অধিবাসী) হিসাবে চিহ্নিত। লাটভিয়ায় বসবাসকারী ২,৯০,৬৬০ "অ-নাগরিক" বা লাটভিয়ান বাসিন্দাদের ১৪.১% ছিল, প্রধানত রাশিয়ান বসতি স্থাপনকারী যারা ১৯৪০ এবং তাদের বংশধরদের দখলের পরে এসেছিলেন।

Daugavpils এবং Rēzekne সহ কিছু শহরে, জাতিগত লাটভিয়ানরা মোট জনসংখ্যার সংখ্যালঘু। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিগত লাটভিয়ানদের ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান অনুপাত সত্ত্বেও, জাতিগত লাটভিয়ানরা এখনও লাটভিয়ার রাজধানী শহর রিগা-এর জনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম।

জাতিগত লাটভিয়ানদের অংশ ১৯৩৫ সালে ৭৭% (১৪,৬৭,০৩৫) থেকে ১৯৮৯ সালে ৫২% (১৩,৮৭,৭৫৭) থেকে হ্রাস পায়। ক্রমহ্রাসমান সামগ্রিক জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, ১৯৮৯ সালের তুলনায় ২০১১ সালে কম লাটভিয়ান ছিল, কিন্তু জনসংখ্যার তাদের অংশ বেশি ছিল - ১২,৮৫,১৩৬ (জনসংখ্যার ৬২.১%)।

ভাষা

লাটভিয়ার একমাত্র সরকারী ভাষা হল লাটভিয়ান, যা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের বাল্টো-স্লাভিক শাখার বাল্টিক ভাষা উপ-গোষ্ঠীর অন্তর্গত। লাটভিয়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য ভাষা হল ইউরালিক ভাষা পরিবারের ফিনিক শাখার প্রায় বিলুপ্ত লিভোনিয়ান ভাষা, যা আইন দ্বারা সুরক্ষা ভোগ করে; লাটগালিয়ান - লাটভিয়ানের একটি উপভাষা হিসাবে লাটভিয়ান আইন দ্বারাও সুরক্ষিত কিন্তু লাটভিয়ান ভাষার একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন হিসাবে। রাশিয়ান, যেটি সোভিয়েত আমলে ব্যাপকভাবে কথ্য ছিল, এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ব্যবহৃত সংখ্যালঘু ভাষা (২০১১ সালে, ৩৪% বাড়ীতে এটি বলতেন, যারা জাতিগতভাবে রাশিয়ান ছিল না)। যদিও এখন স্কুলের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের লাটভিয়ান ভাষা শেখার প্রয়োজন, স্কুলগুলি তাদের পাঠ্যক্রমে ইংরেজি, জার্মান, ফরাসি এবং রাশিয়ানও অন্তর্ভুক্ত করে। লাটভিয়ায় ব্যবসা ও পর্যটনে ইংরেজিও ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের জন্য ১০৯ টি স্কুল ছিল যেগুলি ৪০% বিষয়ের জন্য (সমস্ত শিক্ষার্থীর ২৭%)

%) শিক্ষার ভাষা হিসাবে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহার করে (বা৬০ 60% বিষয় লাটভিয়ানে পড়ানো হয়)।

১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১২ তারিখে, লাটভিয়া একটি সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় কিনা রাশিয়ান একটি দ্বিতীয় সরকারী ভাষা হিসাবে গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের মতে, ৭৪.৮% বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, ২৪.৯% পক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ৭১.১%।

২০১৯ সাল থেকে, লাটভিয়ার বেসরকারী কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাশিয়ান ভাষার নির্দেশনা ধীরে ধীরে বন্ধ করা হয়েছিল, সেইসাথে লাটভিয়ান পাবলিক হাই স্কুলগুলিতে সাধারণ নির্দেশনা, রাশিয়ান সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়গুলি ছাড়া, যেমন রাশিয়ান ভাষা ও সাহিত্যের ক্লাস হিসাবে।

সংস্কৃতি

ইউরোপীয় এ দেশেটির সংস্কৃতিতে উপজাতীয় প্রভাব রয়েছে। যেমন বিয়ের আগে এরা নিজেদের নিষ্পাপ করে নেয়ার একটি সামাজিক প্রথা এখনো অব্যাহত রেখেছে। তারা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের সব পাপকে কোনো বস্তুর মধ্যে আরোপের মাধ্যমে নিজেরা পূতপবিত্র হয়। ঠিক বিয়ের আগে একটি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তা করা হয়। পূর্ব ইউরোপের আরো কিছু দেশে এখনো এ প্রথা প্রচলিত রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলেও একই পদ্ধতিতে তারা সুস্থ হওয়ারও চেষ্টা করে। তবে ইউরোপীয় আধুনিকতার বিস্তারে বেশির ভাগ উপজাতীয় আচার এখন বিলুপ্তির পথে। পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে লাটভিয়ানদের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। অতি সযত্নে তারা এই ধারা অব্যাহত রেখেছে। সাধারণত উৎসব-আয়োজনে সেসব জমকালো পোশাক পরা হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন ঋতু এবং ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এদের পোশাক নির্ধারিত করা থাকে ঐতিহ্যগতভাবে। এসব পোশাক-আশাকের বেশির ভাগই রঙিন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

লাতভিয়া ইতিহাসলাতভিয়া রাজনীতিলাতভিয়া প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহলাতভিয়া ভূগোললাতভিয়া অর্থনীতিলাতভিয়া জনসংখ্যালাতভিয়া সংস্কৃতিলাতভিয়া আরও দেখুনলাতভিয়া তথ্যসূত্রলাতভিয়া বহিঃসংযোগলাতভিয়াউত্তর ইউরোপএস্তোনিয়াচিত্র:En-us-Latvia.oggবাল্টিক সাগররিগালিথুয়ানিয়াসাহায্য:আধ্বব/ইংরেজি

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মনসামঙ্গলআশারায়ে মুবাশশারাখাওয়ার স্যালাইনবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিস্ক্যাবিসঢাকা মেট্রোরেলহাদিসজোয়ার-ভাটাযোনি পিচ্ছিলকারকভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪শিয়া ইসলামের ইতিহাসআন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসসুকুমার রায়রক্তের গ্রুপঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাভাষা আন্দোলন দিবসমুঘল সাম্রাজ্যদেশ অনুযায়ী ইসলামতাহসান রহমান খানপ্রাকৃতিক ভূগোলসূর্য (দেবতা)আকিজ গ্রুপসোনাফজরের নামাজগণতন্ত্রবাংলাদেশের বিমানবন্দরের তালিকাসিলেটভূমিকম্পমাহিয়া মাহিভগবদ্গীতাশরীয়তপুর জেলাইতালিজনি সিন্সইন্সটাগ্রামমাইটোসিসহামকানাডাপুঁজিবাদবাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহপুরুষে পুরুষে যৌনতাথানকুনিডিপজলজীবনানন্দ দাশনিউমোনিয়াবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবিশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কলকাতাকৃষ্ণপাখিযৌনপল্লিচাঁদযিনাময়মনসিংহ জেলাসাঁওতাল বিদ্রোহরাজশাহী বিভাগব্যাংকআরবি বর্ণমালারাষ্ট্রবিজ্ঞানরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবজার্মানিউত্তর চব্বিশ পরগনা জেলাআদমবাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের তালিকাব্রিটিশ রাজের ইতিহাসশিলাবাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডফিলিস্তিনের ইতিহাসমৌলিক পদার্থফুটবলপ্রথম বিশ্বযুদ্ধপ্রথম উসমানঅস্ট্রেলিয়াকোণরামপ্রসাদ সেন🡆 More