রাগবি

রাগবি ফুটবল (ইংরেজি: Rugby football) এক ধরনের দলগত ক্রীড়া যা বিশ্বের সর্বত্র কম-বেশি খেলা হয়ে থাকে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ শতাধিক দেশের ক্রীড়াপ্রেমী জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন। এটি বিশ্বের প্রথমদিককার ডিম্বাকৃতির বল যা ফুটবলের ন্যায়। সচরাচর একে রাগবি নামেই অভিহিত করা হয়। দু'টি দল একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়ে সর্বাধিকসংখ্যক পয়েন্ট সংগ্রহের চেষ্টা চালায়। একজন খেলোয়াড় বল হাতে দৌড়ে যায় ও বলটিকে সহ-খেলোয়াড়ের কাছে দেয়ার উদ্দেশ্যে পেছনে দিতে হয়। কিন্তু সম্মুখে দিতে গেলে লাথি মেরে দিতে হয়। খেলার নিয়ম-কানুন প্রবর্তন ও সুষ্ঠুভাবে খেলা পরিচালনার স্বার্থে ইন্টারন্যাশনাল রাগবি বোর্ড ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাগবি
রাগবি ইউনিয়নে ব্যবহৃত গিলবার্ট রাগবি ফুটবল

ইতিহাস

রাগবি 
রাগবি স্কুল মাঠ, যেখানে রাগবি খেলার প্রথম প্রচলন হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

ইংল্যান্ডের রাগবি স্কুলের নামানুসারে রাগবি ফুটবলের নামকরণ করা হয়েছে।

১৭৫০ থেকে ১৮৫৯ সালের মধ্যে রাগবি স্কুলে বলকে হাতে ধরার অনুমতি প্রদান করা হলেও খেলোয়াড়দেরকে বল নিয়ে দৌঁড়ানোর অনুমতি দেয়া হতো না। প্রতিটি দলে খেলোয়াড় সংখ্যাও অনির্দিষ্ট ছিল। এমনকি শতাধিক ব্যক্তি খেলায় অংশ নিতে পারতেন। কখনোবা বিরাট ধরনের আঘাতের ঘটনা ঘটে যায়। ১৮৫৯ থেকে ১৮৬৫ সালের মধ্যে বল নিয়ে দৌঁড়ানোর প্রচলন শুরু হয়। জনশ্রুতি রয়েছে যে, ১৮২৩ সালের কোন একদিন উইলিয়াম ওয়েব এলিস নামীয় একজন সিনিয়র বালক সাধারণ পদ্ধতিতে বলকে লাথি না মেরে বল নিয়ে দৌঁড়েছিলেন। ১৮৪৫ সালে প্রথমবারের মতো রাগবি ফুটবলের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়।

কোন কারণে খেলায় ফলাফল না আসলে ড্রপ গোলের প্রবর্তন করা হয়। দু'দলের মধ্যেকার খেলোয়াড়দের কেউ একজন গোল করতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষ বিজয়ী হবে।

বিবরণ

রাগবি 
খেলা শুরুর দৃশ্যমালা

মাঠে দু'টি দল একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। খেলা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে একজন রেফারী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। মুদ্রা নিক্ষেপ বা টসের মাধ্যমে বলে লাথি মারার জন্য একটি দলকে নির্বাচিত করা হয়। প্রতি অর্ধে খেলার মধ্যমাঠ থেকে একজন খেলোয়াড় বলে লাথি মেরে খেলা শুরু করেন। তবে লাথি মেরে বলকে অবশ্যই প্রতিপক্ষের এলাকায় ১০ মিটারের অধিক দূরত্ব অতিক্রমণ করাতে হয়। সচরাচর সাধারণ কৌশল হচ্ছে বলকে যতোটা উঁচুতে সম্ভব লাথি মেরে প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য চেষ্টা চালানো। প্রত্যেক দলেই ১৫ জন খেলোয়াড় থাকে। সাধারণতঃ ৮জন আক্রমণে ও ৭জন রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় খেলে থাকে। আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর ১ থেকে ৮ হয়ে থাকে এবং তারা প্লেয়ার নামে পরিচিত। অন্যদিকে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের জার্সি নম্বর ৯ থেকে ১৫ হয় ও তারা ব্যাকলাইন নামে অভিহিত হন।

বিশেষ প্রতিযোগিতায় সংরক্ষিত অতিরিক্ত খেলোয়াড়দেরও প্রতিযোগিতার নিয়ম-কানুনের উপর নির্ভর করে জার্সি নম্বর প্রদান করা হয়। বলের উভয় প্রান্ত কিছুটা তীক্ষ্ণ প্রকৃতির হয়। ফুটবল মাঠের ন্যায় রাগবি খেলার মাঠও চতুর্ভূজ আকৃতির। তবে, মাঠের দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার (১০৯.৩৬ গজ) এবং প্রস্থ ৬৯ মিটারের (৭৫.৪৬) বেশি হতে পারবে না। মাঠের উভয় অংশের শেষ প্রান্তে খুঁটি দিয়ে গোলপোস্ট তৈরী করা হয় যা ইংরেজি এইচ (H) অক্ষরের ন্যায়। এছাড়াও, ইন-গোল শিরোনামে একটি এলাকা রয়েছে। খেলোয়াড়েরা বলকে ইন-গোলে নেয়ার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালায় এবং বলকে মাটিতে রাখে। কোন কারণে তা করতে পারলে ট্রাই নামে ফলাফলে অন্তর্ভুক্ত হয়। তারপর ট্রাই থেকে গোল করার চেষ্টা করে সফলকাম হলে গোল নামে অভিহিত হয়। গোল করার জন্যে বলকে লাথি মেরে এইচের অভ্যন্তরের উপরিভাগে প্রবেশ করায়।

সচরাচর রক্ষণভাগের খেলোয়াড়গণ আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের তুলনায় উচ্চতায় বড় এবং শক্তিশালী হয়ে থাকেন। কিন্তু আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা দ্রুত দৌঁড়ে গোল করার চেষ্টা চালায়। গোল করার চেষ্টা কিংবা গোল করা থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে খেলোয়াড়গণ একে-অপরকে বাঁধা দেয়। কিন্তু রাগবি খেলায় বাঁধা দেয়ার অর্থ হচ্ছে বিপক্ষের খেলোয়াড়কে ধরে রাখা, নড়াচড়া করতে না দেয়া কিংবা মাটিতে ফেলে রাখা। এ ধরনের বাঁধা সচরাচর অন্যান্য খেলায় তেমন দেখা যায় না।

একটি দল সর্বোচ্চ ৭জন অতিরিক্ত খেলোয়াড় রাখতে পারে। লীগের ধরন কিংবা দেশভেদে এ নিয়মের ব্যতয় হতে পারে। অতিরিক্ত খেলোয়াড়গণ বেঞ্চে বসে থাকেন এবং আঘাতজনিত কিংবা অন্য কোন কারণে খেলোয়াড়ের মাঠ ত্যাগের ফলে শূন্যস্থান পূরণ করেন। সাধারণতঃ আঘাতগ্রস্ত খেলোয়াড় খেলা থেকে বিরত থাকলে তারা আর মাঠে প্রবেশ করেন না। কোন কারণে প্রবেশ করলেও তা ১৫ মিনিটের মধ্যে হতে হবে। খেলার সময়সীমা ৮০ মিনিট যা ৪০ মিনিট করে বিভাজ্য। কিন্তু মাঝখানে কোন বিরতি-পর্ব নেই।

রাগবি বল

রাগবি 
বল নিয়ে একজন রাগবি খেলোয়াড়ের দৌঁড়ানোর দৃশ্য

আন্তর্জাতিক রাগবি বোর্ডের পরিচালনায় রাগবি ইউনিয়নের খেলায় বলের আকার এবং গঠন ধারা-২ বা ল ই.আর.বি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। আনুষ্ঠানিকভাবে রাগবি ইউনিয়নের বল ডিম্বাকৃতির এবং বলটি চারটি অংশ নিয়ে গঠিত। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দৈর্ঘ্য ৭৪০-৭৭০ মিলিমিটার এবং প্রস্থ ৫৮০-৬২০ মিলিমিটার। চামড়া অথবা উপযোগী সিন্থেটিক পদার্থ দিয়ে এটি তৈরীসহ পানিরোধক, সহজে ধরার উপযোগী হতে হবে। বলের ওজন ৪৬০ গ্রামের বেশি কিংবা ৪১০ গ্রামের কম হতে পারবে না। অভ্যন্তরে বাতাসের চাপ থাকবে ৬৫.৭১-৬৮.৭৫ কিলোপাসক্যাল বা প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে ০.৬৭-০.৭০ কিলোগ্রাম বা প্রতি বর্গইঞ্চিতে ৯.৫-১০.০ পাউন্ড।

নিয়ম মোতাবেক অতিরিক্ত বল সরবরাহ করা যাবে কিন্তু খেলোয়াড় কিংবা দলের সুবিধার লক্ষ্যে বল পরিবর্তন করা যাবে না। তবে শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে তুলনামূলকভাবে ছোট আকৃতির বল ব্যবহার করা যেতে পারে।

রাগবি শার্ট

পূর্বে তুলা দিয়ে উৎপন্ন সুতার সাহায্যে রাগবি খেলার উপযোগী শার্ট তৈরী করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তুলা এবং পলিয়েস্টারের সংমিশ্রণে তৈরী কাপড়ে রাগবি শার্ট তৈরী করা হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে - এ জাতীয় কাপড়ে শরীরের ঘাম কিংবা পানি কম জমা থাকে এবং কাদাও অল্প লেগে থাকে।

রাগবি খেলার উপর নির্ভর করে রাগবি জার্সি যৎকিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়। রাগবি লীগে খেলোয়াড়েরা সাধারণতঃ বড় আকারের 'ভি' (V) গলাকৃতির শার্ট পরিধান করে। কিন্তু রাগবি ইউনিয়নে প্রাচীন ও সনাতনী পোশাক পরিধান করা হয়। জার্সির পেছনে খেলোয়াড়ের জার্সি নম্বর এবং তার ডাকনাম লেখা থাকে। সচরাচর ডাকনাম নম্বরের উপরাংশে থাকে। নম্বরটি তুলনামূলকভাবে নামের চেয়ে বড় হয় এবং কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। দলের লোগো বুকের বাম পার্শ্বে থাকে।

প্রতিযোগিতার ধরন

রাগবি খেলায় রাগবি ইউনিয়ন এবং রাগবি লীগ নামে দু'ধরনের প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। এ দু'টি প্রতিযোগিতায় বিপরীতমূখী চিত্র দেখা যায়। খেলোয়াড়ের সংখ্যা নির্ধারণ ও আঘাতপ্রাপ্তিতে খেলোয়াড় বদলই এর মূল কারণ। রাগবি লীগের তুলনায় রাগবি ইউনিয়নে খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু বৃটেন বিশেষতঃ উত্তর ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং পাপুয়া নিউগিনির রাগবি লীগে অনেক লোক খেলে থাকেন। অন্যান্য দেশে রাগবি শব্দ বলতে রাগবি ইউনিয়নকেই বুঝানো হয়ে থাকে। রাগবি ইউনিয়নে ১৫ জন এবং রাগবি লীগে ১৩ জন খেলোয়াড় রয়েছে।

রাগবি ইউনিয়ন প্রতিযোগিতা পেশাদার এবং শৌখিন - উভয় পর্যায়েই অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম সারির দল হিসেবে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েলস অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সারির দলরূপে ব্রাজিল, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, ফিজি, জর্জিয়া, জাপান, মেক্সিকো, নামিবিয়া, পেরু, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সামোয়া, স্পেন, টোঙ্গা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উরুগুয়ে এবং ভেনেজুয়েলা এ প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে। রাগবি ইউনিয়নকে নিয়ন্ত্রণ করে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রাগবি বোর্ড।

নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েলস, ফিজি, সামোয়া, টোঙ্গা এবং মাদাগাস্কারে রাগবি খেলাকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। রাগবি সেভেন্স নামে রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্‌স-এর ইভেন্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। লন্ডন অলিম্পিকে প্রদর্শনীমূলক খেলা হিসেবে রাগবি সেভেন্সের অন্তর্ভুক্তির কথা থাকলেও অন্যান্য অনেক খেলার ন্যায় এটিও বাদ পড়ে যায়।

রাগবি লীগও পেশাদার এবং শৌখিন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। রাগবি লীগ আন্তর্জাতিক ফেডারেশন এর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। শৌখিন এবং অর্ধ-পেশাদারী প্রতিযোগিতা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, লেবানন, সার্বিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপ এবং অস্ট্রেলেশিয়ায় দুটি প্রধান পেশাদার প্রতিযোগিতা - ন্যাশনাল রাগবি লীগ এবং ইউরোপিয়ান সুপার লীগ অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক রাগবি লীগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের জাতীয় রাগবি লীগ দল আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এছাড়াও, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় রাগবি লীগ দলগুলো প্যাসিফিক কাপ এবং ইউরোপিয়ান কাপে অংশ নিয়ে থাকে।

রাগবি বিশ্বকাপ

রাগবি 
রাগবি বিশ্বকাপ ট্রফি বা ওয়েব এলিস কাপ নামে পরিচিত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাগবি ইউনিয়নভূক্ত দলগুলো নিয়ে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি চার বছর অন্তর এ প্রতিযোগিতা রাগবি বিশ্বকাপ নামে পরিচিত। ইন্টারন্যাশনাল রাগবি বোর্ড এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। প্রথম রাগবি প্রতিযোগিতা ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী রাগবি বিশ্বকাপ ২০১৫ সালে স্বাগতিক দেশ হিসেবে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, ২০১৯ সালের রাগবি বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা জাপানে অনুষ্ঠিত হবে। নিউজিল্যান্ড জাতীয় রাগবি ইউনিয়ন দল ২০১১ সালে এ প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।

রাগবি বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলকে ওয়েব এলিস কাপ ট্রফি পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় যা রাগবি বিশ্বকাপ ট্রফি নামে পরিচিত। ওয়েব এলিস কাপ ট্রফির নামকরণ করা হয়েছে রাগবি ফুটবলের প্রবর্তক উইলিয়াম ওয়েব এলিসের নামানুসারে।

রাগবি লীগ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারশনের পক্ষ থেকে রাগবি লীগ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় সদস্যভূক্ত দেশসমূহ অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে এ প্রতিযোগিতাটির তেমন মর্যাদা নেই ও অনিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগতিক ইংল্যান্ডে ২০১৩ সালে এ প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর বসবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা

রাগবি খেলার অন্যতম আকর্ষণ রাগবি লীগের প্রাচীনতম নক-আউটভিত্তিক প্রতিযোগিতা হিসেবে চ্যালেঞ্জ কাপ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক দেশ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দলগুলোয় শৌখিন খেলোয়াড় অংশ নিয়ে থাকে। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ডের মধ্যকার বার্ষিক আকারে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে যথাক্রমে ব্লেডিসলো কাপ ও ক্যালকাটা কাপ প্রদান করা হয়।

  • এন্তিম কাপ - জর্জিয়া ও রুমানিয়া
  • কুক কাপ - অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড
  • ফ্রিডম কাপ - নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা
  • গলাহার কাপ - ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ড
  • হোপটৌন কাপ - অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড
  • ল্যান্সডোন কাপ - অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ড
  • মান্ডেলা উইতদাগপ্লাট - অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা
  • মিলেনিয়াম ট্রফি - ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড
  • পুমা ট্রফি - আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া
  • ট্রফি ডেস বাইসেন্টেইয়ার্স - অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

রাগবি ইতিহাসরাগবি বিবরণরাগবি বলরাগবি শার্টরাগবি প্রতিযোগিতার ধরনরাগবি বিশ্বকাপরাগবি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতারাগবি তথ্যসূত্ররাগবি বহিঃসংযোগরাগবিইংরেজি ভাষাক্রীড়াফুটবল

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

টাঙ্গাইল জেলাবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানফিলিস্তিনিবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাপুরুষাঙ্গের চুল অপসারণপল্লী সঞ্চয় ব্যাংকখুলনা বিভাগইউসুফমিষ্টিপাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারবাংলাদেশ বিমান বাহিনীহেপাটাইটিস বিজাতিক্লিওপেট্রাগঙ্গা নদীযৌন প্রবেশক্রিয়াকুরআনঅ্যান্টিবায়োটিক তালিকাসিন্ধু সভ্যতারাম নবমীপরমাণুবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাবাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়নিউটনের গতিসূত্রসমূহবীর্যলেবাননহামাসঋগ্বেদ২০২৩–২৪ ইন্ডিয়ান সুপার লিগবঙ্গবন্ধু সেতুবর্ষবরণকাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিসোনার চরবাঙালি মুসলিমদের পদবিসমূহমহেরা জমিদার বাড়িরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)আল্লাহর ৯৯টি নামঋতুআলিবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধপর্নোগ্রাফিশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়হনুমান (রামায়ণ)কোকা-কোলারাধাকাশ্মীরদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণকুষ্টিয়া জেলাভূমি পরিমাপধর্মীয় জনসংখ্যার তালিকাছয় দফা আন্দোলনওসামা বিন লাদেনবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)মদচঞ্চল চৌধুরীজাতীয় স্মৃতিসৌধশিয়া ইসলামের ইতিহাসফেসবুকপ্রধান পাতামোটু পাতলু০ (সংখ্যা)বিবাহমহাত্মা গান্ধীমাহিয়া মাহিসমকামী মহিলারুহুল্লাহ খোমেনীশ্যামলী পরিবহনবাঘমুহাম্মাদের সন্তানগণআমলকীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রযৌন অসামঞ্জস্যতাতুরস্ককালবৈশাখী🡆 More