ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান রূপে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়ে থাকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | |
---|---|
জেলা | |
ডাকনাম: সাংস্কৃতিক রাজধানী | |
বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৭′১০″ উত্তর ৯১°৭′০″ পূর্ব / ২৩.৯৫২৭৮° উত্তর ৯১.১১৬৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪ |
বাংলাদেশের জেলা পরিষদ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
সরকার | |
• জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান | বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার (স্বতন্ত্র) |
আয়তন | |
• মোট | ১,৯২৭.১১ বর্গকিমি (৭৪৪.০৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ২৮,৪০,৪৯৮ |
• জনঘনত্ব | ১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৪০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়তন ১,৯২৭.১১ বর্গ কিলোমিটার (৪,৭৬,১৯৯ একর)। চট্টগ্রাম বিভাগের সর্ব-উত্তরে ২৩°৩৯´ থেকে ২৪°১৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৪৪´ থেকে ৯১°৫১´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে এ জেলার অবস্থান। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা, পূর্বে হবিগঞ্জ জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, কিশোরগঞ্জ জেলা, নরসিংদী জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা।
প্রাচীন আমলে বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভূখণ্ড প্রাচীন বাংলার সমতট জনপদের একটি অংশ ছিল। বারো ভূঁইয়াদের নেতা ঈসা খাঁর জন্ম হয় বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল অঞ্চলে। পরবর্তীতে তিনি সরাইল পরগনার জমিদারি লাভ করলে এই অঞ্চলে তার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন।
১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার দেওয়ানী লাভের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ত্রিপুরাকে পার্বত্য ত্রিপুরা ও চাকলা রৌশনাবদে বিভক্ত করে। ১৭৮১ সালে সরাইল পরগনা ব্যতীত বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী নিয়ে একটি জেলা ইংরেজরা গঠন করে এবং এর নাম দেয় টিপারা জেলা (Tippera) বা ত্রিপুরা জেলা। ত্রিপুরা জেলার দুটি পরিচয় ছিল। সাধারণভাবে ত্রিপুরা জেলা বলতে সমগ্র জেলাকে আর টিপারা প্রপার বলতে চাকলা রৌশনাবাদকে বোঝাত। তবে ইংরেজরা এ জেলাকে রোশনাবাদ ত্রিপুরা বলত। ১৭৮৯ সালে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্থে এটিকে ত্রিপুরা জেলা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৭৯০ সালে প্রশাসনিক ক্ষমতাসহ ত্রিপুরা জেলা হিসাবে ঘোষিত হয়। সেসময় বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিকাংশ এলাকা ময়মনসিংহ জেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল। ১৮৩০ সালে ছাগলনাইয়া (ফেনী জেলার অন্তর্গত) থানা ছাড়া বৃহত্তর নোয়াখালীর বাকী অংশ ত্রিপুরা জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং ময়মনসিংহ থেকে সরাইল, দাউদপুর, হরিপুর, বেজরা ও সতেরখন্দল পরগনাকে ত্রিপুরায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ১৮৬০ সালের ব্রিটিশ আইনে ত্রিপুরার তিনটি সাব-ডিভিশন থেকে নাসিরনগর মহকুমা সৃষ্টি হয়। ১৮৭৫ সালে মহকুমা সদর নাসিরনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে স্থানান্তরিত হয়। নিম্নোক্ত ছয়টি থানার সমন্বয়ে নবগঠিত মহকুমার নামকরণ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৬ সালে ছাগলনাইয়া থানাও ত্রিপুরা জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। তারপর থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এই জেলাটি ত্রিপুরা জেলা নামেই পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬০ সালে এক প্রশাসনিক আদেশে ত্রিপুরা জেলাকে কুমিল্লা জেলা নামে অভিহিত করা হয়।
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন কুমিল্লা জেলার তিনটি মহকুমা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরকে পৃথক জেলার মর্যাদা দেওয়া হলে সেবছরের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে। এস এম শাহনূর প্রণীত "নামকরণের ইতিকথা" থেকে জানা যায়,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণ 'বাউনবাইরা'। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিকৃত নাম 'বি-বাড়িয়া' বহুল প্রচলিত। যার ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ অবস্থার উত্তরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন হতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন হতে সকল ক্ষেত্রে বি-বাড়িয়ার পরিবর্তে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ লেখার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হলে বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত কর্তৃক বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে আন্দামানে দ্বীপান্তরিত হয়েছিলেন। ১৯৩১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে সুনীতি চৌধুরী, শান্তি ঘোষ ও গোপাল দেব প্রকাশ্য দিবালোকে তদানিন্তন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সি.সি.বি স্টিভেনসকে তারই বাসগৃহে গুলি করে হত্যা করে। ১৯৩০ সালে কৃষক আন্দোলনের সময় কংগ্রেস নেতা আব্দুল হাকিম খাজনা বন্ধের আহ্বান জানান। এ সময় ব্রিটিশ সৈন্যদের বেপরোয়া গুলিবর্ষণে চারজন বেসামরিক লোক নিহত হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান অনেক। আবদুল কুদ্দুস মাখনের মত ব্যক্তিরা এখানে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয় এবং এদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন । ২৭ মার্চ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়োজিত চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার কর্নেল শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম তার সাথের বাঙালি সেনাদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর্মি ক্যাম্পের সকল পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দি করেন। ঐদিন দুপুরে খালেদ মোশাররফ মৌলভীবাজারের শমসেরনগর হতে তার সেনাদল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন এবং কর্নেল শাফায়াত জামিল তার কাছে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কোম্পানির দায়িত্ব অর্পণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদার মুক্ত হয়। বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ সালে আখাউড়ার দরুইন গ্রামে শহীদ হন । ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে এস ফোর্সের অধিনায়ক তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধ হয়। ঐ যুদ্ধে দুজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং ১১ জন আহত হন । পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৫ জন নিহত ও ১৪ জন বন্দী হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে গড়ে তোলা হয়েছে কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ। এখানে ৫০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে।
মুঘল আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসলিন কাপড় তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল। এ জেলার বিখ্যাত মিষ্টান্নের মধ্যে ছানামুখী অন্যতম, যা দেশের অন্য কোন অঞ্চলে তেমন প্রচলন নেই। এছাড়া তালের রস দিয়ে তৈরি আরেকটি মিষ্টান্ন তালের বড়া ও রসমালাই বিখ্যাত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুতুলনাচ ও তিতাস নদীর নৌকা বাইচের জন্যেও বিখ্যাত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ১০০টি ইউনিয়ন, ৯৯৩টি মৌজা, ১৩৩১টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৯টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুটি মহাসড়কের সাথে যুক্ত। একটি হলো এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, অপরটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। সরাইল উপজেলার বিশ্বরোডে দুটি হাইওয়ে রোড মিলিত হয়েছে। তাছাড়া ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য আখাউড়া হয়ে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু হয়েছে এবং আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন সড়কের কাজও চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে। ২০০২ সালে নির্মিত এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ১২০০ মিটার। এর পূর্ব নাম বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু। এর পাশেই রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেলসেতু। এর বর্তমান নাম শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম সেতু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাথে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের রেল যোগাযোগ রয়েছে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া আশুগঞ্জ-ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতু নির্মাণ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নৌ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম তিতাস ও মেঘনা নদী। শাখা নদীর মধ্যে রয়েছে হুরল, সিংরা কালাছড়া, বালুয়া, আউলিয়া জুড়ি, পাগলা, ডোল ভাঙ্গা, বলভদ্র, বিজনা, লঙ্ঘন, লহুর, রোপা, সোনাই, ছিনাইহানি প্রভৃতি। আশুগঞ্জ ঘাটের সাথে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও কিশোরগঞ্জের লঞ্চ যোগাযোগ রয়েছে । তাছাড়া আশুগঞ্জে আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর স্থাপন করা হয়েছে এবং এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৫ (৭৭) | ২৮ (৮২) | ৩২ (৯০) | ৩৩ (৯১) | ৩৩ (৯১) | ৩২ (৯০) | ৩২ (৯০) | ৩২ (৯০) | ৩২ (৯০) | ৩১ (৮৮) | ২৯ (৮৪) | ২৭ (৮১) | ৩১ (৮৭) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ১৮ (৬৪) | ২২ (৭২) | ২৬ (৭৯) | ২৮ (৮২) | ২৮ (৮২) | ২৯ (৮৪) | ২৯ (৮৪) | ২৯ (৮৪) | ২৮ (৮২) | ২৭ (৮১) | ২২ (৭২) | ২২ (৭২) | ২৫ (৭৭) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১০ (৫০) | ১৪ (৫৭) | ১৯ (৬৬) | ২২ (৭২) | ২৩ (৭৩) | ২৫ (৭৭) | ২৫ (৭৭) | ২৫ (৭৭) | ২৪ (৭৫) | ২৩ (৭৩) | ১৭ (৬৩) | ১৭ (৬৩) | ২০ (৬৯) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৪.৪ (০.৫৭) | ৩৯.৮ (১.৫৭) | ৭২.৮ (২.৮৭) | ১৬৮.২ (৬.৬২) | ৩১৫.৪ (১২.৪২) | ৩৪৪.৯ (১৩.৫৮) | ৩৬৭.৯ (১৪.৪৮) | ২৪৭.৫ (৯.৭৪) | ১৯৭.৬ (৭.৭৮) | ১৪৮.৫ (৫.৮৫) | ৩০.৪ (১.২০) | ৮.৯ (০.৩৫) | ১,৯৫৬.৩ (৭৭.০৩) |
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় (≥ ০.১ mm) | ৪ | ৫ | ৭ | ১২ | ১৯ | ২৩ | ২৮ | ২৬ | ২২ | ১৩ | ৩ | ১ | ১৬৩ |
উৎস: Worldweatheronline |
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোট জনসংখ্যা ২৮,৪০,৪৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩,৬৬,৭১১ জন এবং মহিলা ১৪,৭৩,৭৮৭ জন। মোট পরিবার ৫,৩৮,৯৩৭টি।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাক্ষরতার হার ৪৫.৩%। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে। এ জেলায় ৪১টি কলেজ, ৩টি কারিগরী, ৮৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি ল'কলেজ, ১টি নার্সিং ইন্সটিটিউট, ১টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, ১টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ১টি পিটিআই রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়
'ভেটেনারি ইনস্টিটিউট ' ইনস্টিটিউট অফ লাইভস্টক সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাঁত শিল্প বিখ্যাত। ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত ও ১৯৬৮ সালে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প কারখানা। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর। এ বন্দরের মাধ্যমে ভারতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। এটি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। এখানে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপিত হয় ১৯৮৫ সালে।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ,আলী আকবর খান,বাহাদুর খান এর মত খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞের জন্ম এখানে । উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে যাদের অবদান অসীম । পুতুল নাচের জন্যও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিখ্যাত । ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম পুতুল নাচের প্রচলন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বিপিন পাল ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপ্রিয় খেলা হল - ক্রিকেট,ফুটবল,ব্যাডমিন্টন । ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে রয়েছে - নৌকা বাইচ,লাঠিখেলা,গরু দৌড়,আসিল মোরগ লড়াই । ২০১৪-১৫ মৌসুমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ দল । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গনের মূলকেন্দ্র নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়াম । তৎকালীন এসডিও নিয়াজ মোহাম্মদ খান ১৯৩৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন , যা দেশের প্রাচীনতম স্টেডিয়াম। এ জেলার বিখ্যাত খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন ক্রিকেটার প্রবীর সেন , যিনি ডন ব্র্যাডম্যানের বিপক্ষে খেলেছিলেন । বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ হল:
★গোয়ালীর পীরমুড়ি বিল,নবীনগর
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.