বিশেষ্য: বাংলা ভাষায় এক প্রকার পদ।

বিশেষ্য (বাংলা উচ্চারণ:  (ⓘ)) বাংলা ব্যাকরণের একটি পদ। সাধারণ বিচারে বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি, বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য বলে। কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে। একে নামপদও বলা হয়। যেমন: মারিয়া, মহানবী, ভারতবর্ষ, বাঞ্ছারামপুর, উলুকান্দী।

সংজ্ঞা

সাধারণভাবে এর সংজ্ঞা হিসাবে বলা হয়, কোন কিছুর নামকেই বিশেষ্য বলে। বাংলা ব্যাকরণ মতে, বাক্যে ব্যবহৃত যে প্রকার পদ (শব্দ-ধ্বনি) দ্বারা কোন কিছুর নাম বোঝানো হয় তাকেই বিশেষ্য পদ বলে। যেমনঃ মাহবুবা, সাকিব, নারায়ণগঞ্জ, তিতাস ইত্যাদি।
যা গুণ প্রকাশ করে না, যা অন্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় না, যা কোনো কাজ করাকে প্রকাশ করে না এবং নিজে অপরির্তিত থেকে অন্য পদকে সমন্বিত করে না−তাই বিশেষ্য পদ।

প্রকারভেদ

বিশেষ্য মোট ছয় প্রকার।

নামবাচক / সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য

বিশেষ্য: সংজ্ঞা, প্রকারভেদ, আরও দেখুন 
নদীর নাম পদ্মা, যা একটি নামবাচক বিশেষ্যের উদাহরণ।

যেসব বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট স্থান, নদী, পর্বত, সমুদ্র, প্রসিদ্ধ গ্রন্থ বা ব্যক্তির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বা নামবাচক বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: মাহবুবা, মুস্তাফিজ, ঢাকা, পদ্মা, মেঘনা, তাজমহল, আল-কোরান, প্রথম আলো, টিউমার ইত্যাদি

শ্রেণিবাচক / জাতিবাচক বিশেষ্য

যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো প্রাণী বা বস্তুর সামগ্রিক নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: মানুষ, নদী, বই, বাঙালি, মুসলিম, রাজা, বালক, বালিকা, শিক্ষক ইত্যাদি।

বস্তুবাচক / দ্রব্যবাচক বিশেষ্য

যে বিশেষ্য পদের সাহায্যে কোনো বস্তুুর নাম বোঝায় এবং যার সংখ্যা নির্দেশ করা যায় না, শুধু পরিমাণ নির্দেশ করা যায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: চাল, তেল, দুধ, পানি, বালি, লবণ ইত্যাদি।

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য

যে বিশেষ্য পদে সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: কমিটি, মাহফিল, জনতা, সমিতি, মিছিল, সভা, দল ইত্যাদি।

ভাববাচক / ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য

যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ গমন (যাওয়ার ভাব বা কাজ)। দর্শন (দেখার কাজ) ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন, দেখা, শোনা প্রভৃতি। ভাববাচক শব্দের শেষে (আ বা অন) হয়।

গুণবাচক বিশেষ্য

যে বিশেষ্য পদে কোনো গুণ, অবস্থা ও ভাবের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুখ, দুঃখ, দয়া, প্রেম, অহংকার, বেদনা, ক্রোধ, সৌন্দর্য, মধুরতা, তারল্য, তিক্ততা, তারুণ্য প্রভৃতি।

টীকা: জাতিবাচক বিশেষ্যের সাথে বস্তুবাচক এর পার্থক্য এই যে জাতিবাচকের বহুবচন হয়; কিন্তু বস্তুবাচকের হয় না।

আরও দেখুন

টীকা

তথ্যসূত্র

Tags:

বিশেষ্য সংজ্ঞাবিশেষ্য প্রকারভেদবিশেষ্য আরও দেখুনবিশেষ্য টীকাবিশেষ্য তথ্যসূত্রবিশেষ্যচিত্র:Bn-বিশেষ্য.oggপদ (ব্যাকরণ)বাংলা ব্যাকরণবাংলা ভাষাসাহায্য:আধ্বব/বাংলা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

কিরগিজস্তানপ্রেমইউক্রেনে রুশ আক্রমণ (২০২২-বর্তমান)মাইটোকন্ড্রিয়াতৃণমূল কংগ্রেসমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়হিমেল আশরাফক্লিওপেট্রাসঙ্গম সাহিত্যপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১ওজোন স্তরমারমাজাতীয় স্মৃতিসৌধমুখমৈথুনঅর্থনীতিদারুল উলুম দেওবন্দমালদ্বীপমুজিবনগর সরকারএশিয়াভাইরাসহামভারতের ইতিহাসইমাম বুখারীকুয়েতচিয়া বীজআনন্দবাজার পত্রিকানামবেগম রোকেয়াসাহারা মরুভূমিবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাআদমলোকসভানিরাপদ যৌনতাজামালপুর জেলাপারি সাঁ-জেরমাঁ২০২২–২৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকার‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসালমান খানহোয়াইট বোর্ডবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলউজবেকিস্তানপিনাকী ভট্টাচার্যবেদে জনগোষ্ঠীব্রিটিশ রাজের ইতিহাসপেশাভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসজাযাকাল্লাহডেঙ্গু জ্বরসতীদাহরক্তশূন্যতাযতিচিহ্নকাজল আগরওয়ালবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীওয়ালটন গ্রুপটাইটানিকইসলামে বিবাহশিয়া ইসলামের ইতিহাসমৌর্য সাম্রাজ্যবাংলাদেশের সংস্কৃতিবসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রপাকিস্তানবাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেডইসলামের নবি ও রাসুলসোরিয়াসিসআফসানা আরা বিন্দুপদ্মা সেতুইউরোপীয় ইউনিয়ননীল বিদ্রোহবাংলাদেশের পৌরসভার তালিকাডায়মন্ড হারবারবাংলাদেশের জনমিতিভারতের সংবিধানসুভাষচন্দ্র বসুরাজশাহীপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকাবেলি ফুল🡆 More