বানৌজা সৈকত: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) সৈকত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রিভার-শ্রেণীর একটি মাইন বিধ্বংসী জাহাজ। জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

ইতিহাস
বানৌজা সৈকত: ইতিহাস, বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো, রণসজ্জাবাংলাদেশ
শ্রেণী এবং ধরন: রিভার-শ্রেণীর মাইনস্যুইপার
নাম: বানৌজা সৈকত
নির্মাতা: রিচার্ড ড্রাই ডক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড
অভিষেক: ১০ জুলাই, ১৯৮৪
কমিশন লাভ: ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৫
শনাক্তকরণ: এম৯৬
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
ওজন:
  • ৮৫০ লং টন (৮৬৪ টন) (স্বাভাবিক অবস্থায়),
  • ৮৯০ লং টন (৯০৪ টন) (পূর্ণ অবস্থায়)
দৈর্ঘ্য: ৪৭ মিটার (১৫৪ ফু)
প্রস্থ: ১০.৫ মিটার (৩৪ ফু)
গভীরতা: ৩.১ মিটার (১০ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × রাস্টন ৬আরকেসি ৩,০৪০ অশ্বশক্তি (২,২৭০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ)
লোকবল:
  • ২৩ জন নাবিক এবং ৫ জন কর্মকর্তা
  • সর্বমোট ৩৬ জন সদস্যের জন্য বাসস্থান (৭ জন কর্মকর্তা এবং ২৯ জন সদস্য)
রণসজ্জা:
  • ১ × বোফোর্স ৪০মিমি/৬০ এমকে-৩ কামান
  • ২ × এল৪৪এ১ ৭.৬মিমি স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান

ইতিহাস

বানৌজা সৈকত জাহাজটি ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীতে এইচএমএস ক্যারন (এম২০০৪) হিসেবে যুক্ত ছিল। ১২ জুলাই, ১৯৮৪ সালে জাহাজটি অবমুক্ত করা হয় এবং রাজকীয় নৌবাহিনীর সাউথ ওয়েলস ডিভিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে রাজকীয় নৌবাহিনীর বাজেট কমানোর জন্য জাহাজটির সার্বিক পরিচালনা স্থগিত রাখা হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সালে জাহাজটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট বিক্রয় করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৫ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে এটি মাইন বিধ্বংসী জাহাজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো

বানৌজা সৈকত জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার (১৫৪ ফু), প্রস্থ ১০.৫ মিটার (৩৪ ফু) এবং গভীরতা ৩.১ মিটার (১০ ফু)। এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ওজন ৮৫০ টন (৮৪০ লং টন) এবং পূর্ণ অবস্থায় ৮৯০ টন (৮৮০ লং টন)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ৩,০৪০ অশ্বশক্তি (২,২৭০ কিওয়াট) ক্ষমতা সম্পন্ন রাস্টন ৬আরকেসি ডিজেল ইঞ্জিন। যার ফলে জাহাজটি সর্বোচ্চ ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম।

রণসজ্জা

বানৌজা সৈকত জাহাজটির উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ, চোরাচালান রোধ এবং জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১টি বোফোর্স ৪০ মিমি কামান;
  • ২টি এল৪৪এ১ ৭.৬ মিমি স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান।

তথ্যসূত্র

Tags:

বানৌজা সৈকত ইতিহাসবানৌজা সৈকত বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামোবানৌজা সৈকত রণসজ্জাবানৌজা সৈকত তথ্যসূত্রবানৌজা সৈকতবাংলাদেশ নৌবাহিনীরিভার-শ্রেণীর মাইনস্যুইপার

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ইহুদি ধর্মজগদ্বন্ধুবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালিদাসপ্রথম বিশ্বযুদ্ধজবাকুলখানিনয়নতারা (উদ্ভিদ)জানাজার নামাজবীর শ্রেষ্ঠভিটামিনবাংলাদেশের সংবিধানইউসুফগুগলকাজী নজরুল ইসলামমতিউর রহমান (বীরশ্রেষ্ঠ)বাংলাদেশইসলাম ও অন্যান্য ধর্মযোনিতামান্নাশ্রীকৃষ্ণকীর্তনইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সমাতারবাড়ি বন্দরময়মনসিংহ জেলাইনকা সাম্রাজ্যরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসংস্কৃত ভাষাবাংলাদেশের পোস্ট কোডের তালিকাভারতীয় জনতা পার্টিহারুন-অর-রশিদ (পুলিশ কর্মকর্তা)নরসিংদী জেলামির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকুয়াকাটাইশার নামাজচাঁদপুর জেলাআন্তর্জাতিক নারী দিবসরামভারতের জাতীয় পতাকারণজিত গুহগীতাঞ্জলিকুরআনের ইতিহাসজিয়াউল ফারুক অপূর্বআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসক্রেটিসসংক্রামক রোগইন্দোনেশিয়াবঙ্গভঙ্গ আন্দোলনমুঘল সাম্রাজ্যজিল্লুর রহমানসুনামগঞ্জ জেলাশ্রাদ্ধবাংলা উইকিপিডিয়াদোয়া কুনুতবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩বিড়ালপ্রথম উসমানবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়আমহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরতাহসান রহমান খানমাটিসৌদি রিয়ালআকবরবাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের তালিকাপ্রধান পাতাবিদায় হজ্জের ভাষণবঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরতুরস্কবিশ্বের ইতিহাসপল্লী সঞ্চয় ব্যাংকষাট গম্বুজ মসজিদ১ মেপ্রিমিয়ার লিগসুদান🡆 More