বাংলাদেশের ভূগোল

দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম দুটি নদী - গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র যেখানে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে সেখানেই কালের পরিক্রমায় গড়ে ওঠা বঙ্গীয় ব-দ্বীপ। এই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র মোহনা অঞ্চলে প্রায় ৩০০০ বছর বা তারও পূর্ব থেকে যে জনগোষ্ঠীর বসবাস, তা-ই ইতিহাসের নানান চড়াই উতরাই পেরিয়ে এসে দাড়িয়েছে বর্তমানের স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ রূপে। ভৌগোলিক বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায়, ভারত ও মিয়ানমারের মাঝখানে। এর ভূখণ্ড ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার (বিবিএস ২০২০ অনুসারে) অথবা ১,৪৮,৪৬০ বর্গকিলোমিটার (সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক ২০২১ অনুসারে) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশের পশ্চিম, উত্তর, আর পূর্ব জুড়ে রয়েছে ভারত। পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় রাজ্য। পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম। তবে পূর্বে ভারত ছাড়াও মিয়ানমারের (বার্মা) সাথে সীমান্ত রয়েছে। দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের স্থল সীমান্তরেখার দৈর্ঘ্য ৪,২৪৬ কিলোমিটার যার ৯৪ শতাংশ (৯৪%) ভারতের সাথে এবং বাকী ৬ শতাংশ মিয়ানমারের সাথে। বাংলাদেশের তটরেখার দৈর্ঘ্য' ৫৮০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতগুলোর অন্যতম।

বাংলাদেশের ভূগোল
মহাকাশের উপগ্রহ থেকে তোলা বাংলাদেশের আলোকচিত্র

বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩°৫`) অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সমুদ্র সমতল হতে মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। সমুদ্র সমতল মাত্র ১ মিটার বৃদ্ধি পেলেই এদেশের ১০% এলাকা নিমজ্জিত হবে বলে ধারণা করা হয়। বাংলাদেশের উচ্চতম স্থান দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এর মোডকমুয়াল পর্বত, যার উচ্চতা ১,০৫২ মিটার (৩,৪৫১ ফুট)। বঙ্গোপসাগর উপকূলে অনেকটা অংশ জুড়ে সুন্দরবন অবস্থিত, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এখানে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিন সহ নানা ধরনের প্রাণীর বাস। ১৯৯৭ সালে এই এলাকাকে বিলুপ্তির সম্মুখীন বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে ৬টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে-গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীতবসন্ত। বছরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৫০০-২৫০০মি.মি./৬০-১০০ইঞ্চি; পূর্ব সীমান্তে এই মাত্রা ৩৭৫০ মি.মি./১৫০ইঞ্চির বেশি। বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা ২৫o সেলসিয়াস। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছে। এখানকার আবহাওয়াতে নিরক্ষিয় প্রভাব দেখা যায়। নভেম্বর হতে মার্চ পর্যন্ত হালকা শীত অনুভূত হয়। মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্ম কাল চলে। জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত চলে বর্ষা মৌসুম। এসময় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, ও জলোচ্ছাস প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশে আঘাত হানে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

Tags:

আসামকক্সবাজারকিলোমিটারগঙ্গা নদীত্রিপুরাদক্ষিণ এশিয়াদ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকপশ্চিমবঙ্গবঙ্গোপসাগরব্রহ্মপুত্র নদীভারতমিজোরামমিয়ানমারমেঘালয়শতাংশ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মিয়ানমারসজনেডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিবহুব্রীহি সমাসজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেজাতীয় সংসদের স্পিকারদের তালিকামুজিবনগরবাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকারধর্ষণঅষ্টাঙ্গিক মার্গভৌগোলিক নির্দেশকর‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নবাংলা ভাষা আন্দোলনমুদ্রাস্ফীতিপশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদকৃষ্ণপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকারাম মন্দির, অযোধ্যাইস্তেখারার নামাজসহজ পাঠ (বই)মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহশিবপথের পাঁচালীময়মনসিংহক্যান্সারদোয়া কুনুতই-মেইলসাহাবিদের তালিকাঅমর্ত্য সেনরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মসালোকসংশ্লেষণমালদ্বীপসন্ধিক্রিকেটশিশ্ন বর্ধনরশিদ চৌধুরীসংস্কৃতিমেহজাবীন চৌধুরীময়মনসিংহ জেলাদুর্নীতি দমন কমিশন (বাংলাদেশ)২২ এপ্রিলদৈনিক যুগান্তরকল্কিআমার সোনার বাংলাভালোবাসাফিলিস্তিনের ইতিহাসরাবীন্দ্রিক তালঋগ্বেদমীর জাফর আলী খানশরীয়তপুর জেলাএশিয়াসূর্যগ্রহণআশারায়ে মুবাশশারামনোবিজ্ঞানমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনপ্রাকৃতিক দুর্যোগহিমালয় পর্বতমালাকমনওয়েলথ অব নেশনসবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাক্রিয়েটিনিননোয়াখালী জেলাআরবি বর্ণমালাওঁ নমঃ শিবায়বেনজীর আহমেদসিলেট বিভাগউপসর্গ (ব্যাকরণ)উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগস্মার্ট বাংলাদেশভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনবিজ্ঞানআনু মুহাম্মদঅকাল বীর্যপাতউদ্ভিদদর্শনঘূর্ণিঝড়শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডওমান🡆 More