প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বাংলাদেশের একটি বৃহৎ খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। রংপুরে ১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) পথচলা শুরু। এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন আমজাদ খান চৌধুরী।
ধরন | বেসরকারি |
---|---|
শিল্প | খাদ্য প্রক্রিয়াজাত |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৭ মার্চ, ১৯৮১ |
প্রতিষ্ঠাতা | মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী(অব.) |
সদরদপ্তর | প্রাণ-আরএফএল সেন্টার, ১০৫, প্রগতি স্বরণি, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ |
বাণিজ্য অঞ্চল | দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য |
প্রধান ব্যক্তি | মরহুম মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী (অব.) (সিইও) |
পণ্যসমূহ | জুস, পানীয়,স্নাকস্ |
কর্মীসংখ্যা | ১,১০,০০০ |
ওয়েবসাইট | pranfoods www |
১৯৮১ সালে আমজাদ খান চৌধুরী মেজর জেনারেল পদে থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের টাকা দিয়ে শুরু করেন ফাউন্ড্রি বা টিউবওয়েল তৈরি ও আবাসন ব্যবসা। পরবর্তিতে আবাসন ব্যবসা বাদ দিয়ে ফাউন্ড্রির ব্যবসায় নজর দেন তিনি। রংপুরে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ড্রির নাম দেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল)। ১৯৮৫ সালে কৃষিজাত পণ্য উদপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিডেট, প্রাণ। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি নরসিংদীতে জমি ইজারা নিয়ে রজনীগন্ধা ফুল, পেঁপে, কলা ও আনারস উৎপাদন করত। মৌসুমের সময় এসবের দাম না পাওয়া আমজাদ খান আনারস প্রক্রিয়াকরণের কারখানা চালু করেন। প্রাণ ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে কৌটায় আনারস রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি শুরু করে।
বাবার মৃত্যুর পর ২০১৬ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান হন আহসান খান চৌধুরী।
ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করেও আজকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে ২৫টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক লিমিটেড দুটি কোম্পানি। এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড ও রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড(আরএফএল)। এ ছাড়া
এছাড়া ২৫টির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাণ-আরএফএলের দেশের ১৩টি স্থানে ২৩টি কারখানা রয়েছে, বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উৎপাদিত পণ্য ১৪৫ টির বেশী দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
খাদ্য ও প্লাস্টিক-এ দুটি খাতে সর্বাধিক বহুমুখী পণ্য উৎপাদিত হয়। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্লাস্টিক খাতে আছে এক হাজার পাচঁশত পণ্য। খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট লাইনে রয়েছে ৫০০টিরও বেশি পণ্য। দেশজুড়ে বিস্তৃত ১০টি অত্যাধুনিক কারখানায় এসব পণ্য উৎপাদিত হয়।
সারাদেশে প্রাণ-আরএফএল এর কারখানাগুলোতে কাজ করছে প্রায় ৮৫ হাজারের বেশি নারী-পুরুষ। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল আরো ৭৪ হাজারের বেশি পরিবারের জীবন ও জীবিকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ লাখেরও অধিক জনগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ১৪৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয় এই গ্রুপের পণ্য। কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠান। যার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ২০১০-১১ অর্থবছরসহ টানা দশবার শ্রেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে। জাতীয় রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় রপ্তানি খাতে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক শ্রেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানী ট্রফি (স্বর্ণ) পায় প্রাণ এক্সপোর্টার্স লিমিটেড। একই অর্থবছরে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড শ্রেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানী ট্রফি (রৌপ্য) পদকও পায়। এছাড়া ২০১২-১৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর পরিশোধকারী হিসেবে আরএফএলকে সম্মাননা দেয় সরকার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির জন্য স্বর্ণপদক পায় আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ ছাড়া ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে আরএফএল গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিকস লিমিটেড। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তাদের বিক্রির পরিমাণ ১৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.