তারেক রহমান: বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

তারেক রহমান (জন্ম: ২০ নভেম্বর, ১৯৬৫ ঢাকা, বাংলাদেশ) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তিনি সাধারণত তারেক জিয়া নামে পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তাঁর পিতা বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।

তারেক রহমান
তারেক রহমান: প্রাথমিক জীবন, রাজনীতি, অভিযোগ ও বিতর্ক
জন্ম (1965-11-20) ২০ নভেম্বর ১৯৬৫ (বয়স ৫৮)
জাতীয়তা
মাতৃশিক্ষায়তন
পেশারাজনীতি, ব্যবসা
উপাধিভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীডা. জোবাইদা রহমান
সন্তানজাইমা রহমান (কন্যা)
পিতা-মাতাজিয়াউর রহমান (বাবা)
খালেদা জিয়া (মা)
আত্মীয়আরাফাত রহমান (ভাই)
মাহবুব আলী খান (শ্বশুর)
তৈয়বা মজুমদার (নানী)
খুরশীদ জাহান হক (খালা)
সাঈদ এস্কান্দার (মামা)
সাইফুল ইসলাম ডিউক (মামাতো ভাই)
শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন (খালাতো ভাই)
ওয়েবসাইটwww.tariquerahman.info

প্রাথমিক জীবন

তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর। তার পিতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং মাতা বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তারেক শিক্ষা জীবনের শুরুতে বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকাতে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। এরপর তিনি সেন্ট জোসেফ কলেজ এবং ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজে পড়াশোনা করে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে আইন বিভাগে ও পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি স্নাতক শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে তিনি পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়ে বস্ত্রশিল্প ও নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেন।

রাজনীতি

পিতা জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদান করে তারেক রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনে যোগ দেয়ার পূর্বেই তারেক রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক তার মা খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তারেক রহমান মা বেগম জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মূলত ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে তারেক রহমানের সক্রিয় আগমন ঘটে।

২০০২ সালের পর গণ-সংযোগ

২০০২ সালে তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্মপ্রাপ্ত হন। দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। মূল সংগঠন সহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইত্যাদি আয়োজিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও মাঠপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মতামত গ্রহণ করেন। মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

অভিযোগ ও বিতর্ক

রাজনৈতিক দলের উত্থাপিত অভিযোগ

২০০২ সালে ৩৫ বছর বয়সী তারেক রহমানকে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন নেতা হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার ফলে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংসদের তৎকালীন বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তকে স্বজনপ্রীতি বলে চিহ্নিত করে এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যারা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছিল, দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং কিছু সংবাদপত্রের প্রকাশিত খবরে বিভিন্ন সময় তারেকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দূর্নীতির অভিযোগ আনে। বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া সহ তারেক রহমানের কার্যালয় ঢাকার বনানীস্থ হাওয়া ভবনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অভিযোগ প্রচারিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ ছিল যে, তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে হাওয়া ভবন সরকারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিসহ আরো অনেক অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে ২১শে অগাস্ট তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামীলীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগও রয়েছে এবং এই মামলায় এফবিআই এর কর্মকর্তা ডেবরা লাপ্রেভেটি বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দেন।

উইকিলিক্সের তথ্য

২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর সাড়াজাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিক্স বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের গোপন তারবার্তা ফাঁস করে। বার্তায় বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিশ্বাস করে, “গুরুতর রাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য দোষী, মার্কিন জাতীয় স্বার্থের উপর একটি বিরূপ প্রভাব ফেলছে।”

দুর্নীতির অভিযোগ

মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার ঘনিষ্ট বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে  ঘুষ ও মানি লন্ডারিং নিয়ে  তদন্ত করেছে এবং বাংলাদেশের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এসে  সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন এফবিআইয়ের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি। এফবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে যে, তারেক ও মামুন তাদের সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নির্মান কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর পরিচালক এবং চীনের হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন এর এদেশীয় এজেন্ট খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছিল। হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানীর লোকাল এজেন্ট হিসেবে টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানের কাজ পাওয়ার  জন্য তারেক ও মামুনকে ওই টাকা দিয়েছিল ঘুষ হিসেবে। এফবিআইয়ের এজেন্ট ডেব্রা লাপ্রিভেট গ্রিফিথ এই বিষয়ে তারেক  ও মামুনের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের আদালতের সামনে সাক্ষ্য দেন যে, ব্যবসায়ী খাদিজা ইসলাম সিঙ্গাপুরে মামুনের সিটি ব্যাংকে (তারেকের বন্ধু মামুনের সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার: ১৫৮০৫২-০১৬-০০৮) ওই টাকা জমা দিয়েছিলেন। ওই একই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তারেক রহমানের নামে সাপ্লিমেন্টারি গোল্ড ভিসা কার্ড ( যার নাম্বার: ৪৫৬৮-৮১৭০-১০০৬-৪১২২) ইস্যু করা হয়। সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের কাছ থেকে সাপ্লিমেন্টারি গোল্ড ভিসা কার্ড নিতে তারেক রহমান তার পাসপোর্টের একটি ফটো কপি জমা দিয়েছিল ( তারেক রহমানের পাসপোর্ট নাম্বার: Y ০০৮৫৪৮৩) যেখানে তার পিতার নামের জায়গাতে লেখা ছিল জিয়াউর রহমান এবং মাতার নাম ছিল বেগম খালেদা জিয়া। তারেক রহমান এই কার্ড বিভিন্ন দেশে যেমন; গ্রিস, জার্মানী, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রমোদ ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করেছিল এমন তথ্যই উঠে এসেছে এফবিআইয়ের তদন্তে। এভাবে মোয়াজ্জেম হোসাইন এবং মারিনা জামান ঘুষের টাকা মামুনের সিঙ্গাপুরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিয়েছিল যে অ্যাকাউন্টে তারেক রহমানের সরাসরি  ছিল। ২১ জুলাই ২০১৬ সালে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত তারেক রহমানকে সাত বছরের জেল এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে মানি লন্ডারিং এর জন্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত শুধু রায়ই দেননি তখন রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল যে, এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ ‘ ফিনানশিয়াল ক্রাইম’ ছিল এবং এ ধরনের কাজ দেশের অর্থনৈতিক  উন্নয়নের জন্য বড় ধরনের একটি বাধা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি, ২০০৭ তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় যার প্রধান ছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সেনাপ্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন) মঈন উদ্দিন আহমেদ। ১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়। ৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দুর্নীতি মামলার আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়।

আটকাবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর তারেককে আদালতে হাজির করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তার আইনজীবীরা আদালতে অভিযোগ করেন যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতকে জানায় যে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। এই পর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেয়ার আদেশ শিথিল করে তা কমিয়ে ১ দিন ধার্য করেন ও জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের আদেশ দেন। এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে ঢাকার শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৫ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

মুক্তিলাভ

২০০৮ এর আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি লাভ করে। প্রায় আঠারো মাস কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমানের জামিন লাভ করেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত।

চিকিৎসা ও বিদেশে অবস্থান

১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে বিশেষ কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুত্র তারেক রহমানকে দেখতে যান। সেদিন রাতেই তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বর্তমানে লন্ডনের সাউথ ওয়েলিংটন হসপিটাল ও লন্ডন হসপিটালে তার চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন।

তারেক বিদেশে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বর্তমানে অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে, ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করে। এর প্রতিবাদে বিএনপি দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল

৮ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান সংগঠনের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উক্ত কাউন্সিলে তারেক রহমানের একটি ধারণকৃত বক্তব্য উপস্থিত জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়। বক্তব্যটিতে তারেক রহমান জানুয়ারি ২০০৭-এ ক্ষমতায় আসা অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে তার অন্যায় গ্রেপ্তার ও বন্দি অবস্থায় নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়া বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার আড়ালে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারেক রহমান তার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দেন ও জানান তার চিকিৎসা সম্পন্ন হতে আরও সময় প্রয়োজন। এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার সময় উপস্থিতদের কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

উক্ত কাউন্সিলে আরও বক্তব্য রেখেছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য জর্জ গ্যালোওয়ে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
২০০১-২০০৯
উত্তরসূরী
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
পূর্বসূরী
(পদের সৃষ্টি)
জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
২০০৯
উত্তরসূরী
পদে আসীন

Tags:

তারেক রহমান প্রাথমিক জীবনতারেক রহমান রাজনীতিতারেক রহমান অভিযোগ ও বিতর্কতারেক রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক গ্রেপ্তারতারেক রহমান বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলতারেক রহমান আরও দেখুনতারেক রহমান তথ্যসূত্রতারেক রহমান বহিঃসংযোগতারেক রহমানজিয়াউর রহমানবাংলাদেশবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মাখলিফাদের তালিকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহবাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমহাত্মা গান্ধীসমকামী মহিলাবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলআবদুল হামিদ খান ভাসানীপ্রথম উসমানব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপশ্চিমবঙ্গযুক্তরাজ্যকাজলভারতের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাবর্তমান (দৈনিক পত্রিকা)ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েমুসাযোনি পিচ্ছিলকারকবাংলাদেশী টাকাপানিকাঠগোলাপবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমসিফিলিসরঙের তালিকাগোত্র (হিন্দুধর্ম)বাঙালি হিন্দু বিবাহবাংলাদেশের ইউনিয়নলোকনাথ ব্রহ্মচারীসূর্য (দেবতা)ডিএনএথাইল্যান্ডবাংলাদেশ রেলওয়েবাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষভারতের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাআরবি বর্ণমালাশিক্ষককাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিদৈনিক ইনকিলাবজয়া আহসানমুহাম্মাদের বংশধারাজন্ডিসমুহাম্মাদ ফাতিহগোলাপবাংলা সাহিত্যের ইতিহাসবাংলাদেশের উপজেলার তালিকামিশকাতুল মাসাবীহরক্তের গ্রুপহুমায়ূন আহমেদগায়ত্রী মন্ত্রখুলনা বিভাগবাংলাদেশইব্রাহিম (নবী)রাজশাহীকমনওয়েলথ অব নেশনসকালবৈশাখীসাইবার অপরাধচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সৈয়দ শামসুল হকবৃষ্টিবাংলাদেশ পুলিশসমাসসুনীল নারাইনবৌদ্ধধর্মউসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকাফেনী জেলাকনডমমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসোনাভগবদ্গীতাএস এম শফিউদ্দিন আহমেদকৈবর্ত বিদ্রোহযাকাতকালেমামুঘল সাম্রাজ্যঈদুল ফিতরবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাঢাকা🡆 More