তারা

মহাকাশে অবস্থিত যে সকল বস্তু নিজের অভ্যন্তরে থাকা পদার্থকে জ্বালিয়ে ফিউশন বিক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং আলোক উজ্জ্বল হয় তাদেরকে নক্ষত্র বলা হয়। এছাড়া তারা, তারকা বা নক্ষত্র বলতে মহাশূন্যে প্লাজমা দশায় অবস্থিত অতি উজ্জ্বল এবং সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ডকেও বোঝায়। উচ্চ তাপে তারা নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত নিজের জ্বালানি উৎপন্ন করে।

তারা
বড় ম্যাজেলানিয় মেঘপুঞ্জ অঞ্চলে একটি তারকা গঠিত হচ্ছে। নাসা/ইএসএ চিত্র।

নিউক্লীয় সংযোজন থেকে উদ্ভূত তাপ ও চাপ মহাকর্ষীয় সঙ্কোচনকে ঠেকিয়ে রাখে। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে একটি তারার মৃত্যু হয়ে শ্বেত বামন অথবা নিউট্রন তারা আবার কখনো কৃষ্ণ বিবরের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের তারা হচ্ছে সূর্য। তারা জ্বলজ্বল করার কারণ হচ্ছে, এর কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা তারার পুরো অভ্যন্তরভাগ পার হয়ে বহিঃপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী প্রায় সকল মৌলই তারার কেন্দ্রে প্রথমবারের মত উৎপন্ন হয়েছিল।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তারার বর্ণালি, দীপন ক্ষমতা বা গতি পর্যবেক্ষণ করে এর ভর, বয়স, রাসায়নিক গঠন এবং অন্যান্য অনেক ধর্মই বলে দিতে পারেন। তারাটির সর্বমোট ভরই মূলত তার বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দেয়। অন্যান্য ধর্মগুলো নির্ণয় করা হয় বিবর্তনমূলক ইতিহাসের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে ব্যাস, ঘূর্ণন, চাপ এবং তাপমাত্রা। অনেকগুলো তারার তাপমাত্রাকে তাদের দীপন ক্ষমতার বিপরীতে একটি লেখচিত্রে স্থাপন করলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাকে হের্টস্‌স্প্রুং-রাসেল চিত্র বলা হয়। এই চিত্রের মাধ্যমেই তারার বিবর্তনের বর্তমান দশা এবং এর বয়স নির্ণয় করা যায়।

ধ্বসে পড়ছে এমন একটি মেঘের মাধ্যমে তারার জীবনচক্র শুরু হয়। এই মেঘের মধ্যে থাকে মূলত হাইড্রোজেন, অবশ্য হিলিয়াম সহ অতি সামান্য বিরল ভারী মৌল থাকতে পারে। তারার কেন্দ্রটি যখন যথেষ্ট ঘন হয় তখন সেই কেন্দ্রের হাইড্রোজেন নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে হিলিয়ামে পরিণত হতে থাকে। তারার অভ্যন্তরভাগের অবশেষ থেকে শক্তি বিকিরণ এবং পরিচলনের এক মিশ্র প্রকিয়ায় বহির্ভাগে নীত হয়। এই প্রক্রিয়াগুলো তারাকে ধ্বসে পড়তে দেয় না এবং উৎপন্ন শক্তি একটি নাক্ষত্রিক বায়ু তৈরি করে যা বিকিরণকে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়।

তারার মধ্যকার হাইড্রোজেন জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে তার মৃত্যু ঘটে। মৃত্যু ভরের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। অবশ্য মৃত্যু ঘটার আগে তারাটি আরও কয়েক প্রজন্ম পার করে যার মধ্যে রয়েছে অপজাত অবস্থা। প্রতি প্রজন্মে তার পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় ভারী মৌলের পরিমাণ বেশি থাকে। তারা নিঃসঙ্গ থাকতে পারে, আবার দুই বা ততোধিক তারা একসাথে একটি তন্ত্র গড়ে তুলতে পারে। দুটি হলে সাধারণত একে অন্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে এবং বেশি কাছাকাছি এসে গেল একে অন্যের বিবর্তনকেও প্রভাবিত করে।

সংখ্যাভিত্তিক বা ব্যবস্থাভিত্তিক তারা আট প্রকার(উদাহরণসহ)

(১). এককতারা ব্যবস্থা (Single star system):-

(২). যুগ্ম তারা ব্যবস্থা (Binary star system):-

(৩). ত্রয়ীতারা ব্যবস্থা (Ternary/triple star system):-

(৪). চতুর্মুখীতারা ব্যবস্থা (Quaternary/Quadruple star system):-

(৫). পঞ্চমর্মুখীতারা ব্যবস্থা (Quinary/Quintuplet star system):-

(৬). ষড়র্মুখীতারা ব্যবস্থা (Senary/Sextuple Star system):-

(৭).সপ্তমর্মুখীতারা ব্যবস্থা(Septenary Star system):-

(৮).অষ্টমর্মূখীতারা ব্যবস্থা (Octonary star system):-

ব্যুৎপত্তি

তারা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ "স্টার"। স্টার শব্দটি গ্রিক অ্যাস্টার থেকে এসেছে যা আবার হিত্তীয় ভাষার শব্দ শিত্তার থেকে এসেছে। শিত্তার শব্দটির ব্যুৎপত্তি আবার সংস্কৃত শব্দ সিতারা (सितारा)।

পর্যবেক্ষণের ইতিহাস

তারা 
প্রাচীনকাল থেকে মানুষেরা তারকাতে নকশা দেখেছে। এটি ১৬৯০ সালে জোহানেস হেভেলিউস লেও তারামণ্ডলীর চিত্রাঙ্কন করেন।

প্রতিটি সংস্কৃতিতেই তারা বিশেষ গুরুত্ব বহন করতো। ধর্ম চর্চায় এর ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি। এছাড়া তারার মাধ্যমে নাবিকরা দিক নির্ণয় করতো এবং ঋতুর সাথে এর সম্পর্কটিও মানুষ অনেক আগে বুঝতে পেরেছিল। প্রাচীন জ্যোতির্বিদরা অনেকেই বিশ্বাস করতেন, তারা স্বর্গীয় গোলকে নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ আছে এবং এরা অপরিবর্তনীয়। চলতি প্রথা অনুযায়ী তারা তারাগুলোকে কিছু তারামণ্ডলে ভাগ করেছিলেন।

এবং এই মণ্ডলগুলোর মাধ্যমে সূর্যের অনুমিত অবস্থান ও গ্রহের গতি সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতেন। তারার পটভূমিতে তথা দিগন্তে সূর্যের গতিকে ব্যবহার করে পঞ্জিকা তৈরি করা হতো যা কৃষিকাজে বিশেষ কাজে আসতো। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পঞ্জিকা হচ্ছে জর্জীয় পঞ্জিকা। এই পঞ্জিকাটিও সৌরকেন্দ্রিক। সূর্যের সাপেক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের কোণগুলোর মাধ্যমে এই পঞ্জিকা নির্মিত হয়।

জানা মতে সঠিকভাবে প্রস্তুতকৃত প্রাচীনতম পঞ্জিকা নির্মাণ করেছিল প্রাচীন মিশরীয়রা, ১,৫৩৪ খ্রিস্টপূর্বে। ইসলামী জ্যোতির্বজ্ঞানীরা অনেক তারার আরবি নাম দিয়েছিলেন যার অনেকগুলো এখনও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া তারা তারার অবস্থান নির্ণয়ের জন্য প্রচুর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক যন্ত্র নির্মাণ করেছিলেন।

একাদশ শতাব্দীতে আবু রাইহান আল-বিরুনি আকাশগঙ্গা ছায়াপথ বিপুল সংখ্যক ভগ্নাংশের সমন্বয়ে গঠিত বলে ব্যাখ্যা করেন। এর ভগ্নাংশগুলোর নীহারিকময় তারার মত ধর্ম রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ১০১৯ সালের এক চন্দ্র গ্রহণের সময় তিনি বিভিন্ন তারার অক্ষাংশও নির্ণয় করেছিলেন।

তারাকে স্বর্গীয় অপরিবর্তনীয় বস্তুরূপে কল্পনা করলেও চৈনিক জ্যোতির্বিদরা বুঝতে পেরেছিলেন, নতুন তারার উদ্ভব হতে পারে। টাইকো ব্রাহের মত আদি ইউরোপীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা রাতের আকাশে নতুন তারার উদ্ভব দেখতে পান। এ থেকে তারা প্রস্তাব করেন, স্বর্গ অপরিবর্তনীয় নয়। ১৫৮৪ সালে জর্দানো ব্রুনো বলেন, তারাগুলো মূলত অন্যান্য সূর্য যাদের পৃথিবীর মত বা একটু অন্যরকম গ্রহও থাকতে পারে।

গ্রহগুলো যার যার সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এই ধারণাটি এর আগে গ্রিক বিজ্ঞানী দিমোক্রিতুস এবং এপিকিউরাস-ও ব্যক্ত করেছিলেন। এর পরের শতাব্দী জুড়ে তারাগুলোকে অনেক দূরের সূর্য হিসেবে কল্পনা করার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের মধ্যে জনপ্রিয় হতে থাকে। তারাগুলো কেন সৌর জগৎকে মহাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে প্রভাবিত করে না তা ব্যাখ্যা করার জন্য আইজাক নিউটন বলেন, তারা আসলে মহাবিশ্বে সমানভাবে বন্টিত। ধর্মতাত্ত্বিক রিচার্ড বেন্টলি সমরূপতার এই ধারণাটি প্রথম উল্লেখ করেছিলেন।

ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেমিনিয়ানো মোন্তানারি ১৬৬৭ সালে আলগল নামক তারার জ্যোতির পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন। এডমন্ড হ্যালি সর্বপ্রথম আমাদের কাছাকাছি অবস্থিত এক জোড়া স্থির তারার সঠিক গতি পরিমাপ করে তা প্রকাশ করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখান প্রাচীন গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী টলেমি এবং হিপ্পার্কুসের সময়ে এটি যে অবস্থানে ছিল, এখন সেখানে নেই। পৃথিবী থেকে একটি তারার দূরত্ব প্রথম সঠিকভাবে পরিমাপ করেন ফ্রিডরিক বেসেল, ১৮৩৮ সালে। লম্বন কৌশল ব্যবহার করে তিনি এই দূরত্ব পরিমাপ করেছিলেন। তিনি পৃথিবী থেকে ৬১ সিগনি নামক তারাটির দূরত্ব ১১.৪ আলোকবর্ষ নির্ণয় করেছিলেন। লম্বন পরিমাপের মাধ্যমেই বোঝা গিয়েছিল স্বর্গীয় স্থির তারাগুলো আসলে একে অপর থেকে কতো দূরে দূরে অবস্থান করছে।

উইলিয়াম হার্শেল প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি আকাশে তারার বণ্টনের সঠিক তাৎপর্য উদ্ধারে ব্রতী হন। ১৭৮০'র দশকে তিনি ৬০০টি ভিন্ন ভিন্ন দিকে এক বিশেষ পরিমাপ সম্পন্ন করেন। প্রতিটি দৃষ্টিরেখায় অবস্থিত তারার সংখ্যা পরিমাপ করে ফলাফলগুলো একত্রিত করেন। এ থেকে তিনি বের করেন, আকাশের একটি বিশেষ দিকে তারার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর এই দিকটি হলে আকাশগঙ্গার কেন্দ্রের দিক। তার আবিষ্কার থেকে তিনি এও মন্তব্য করেন যে, কিছু কিছু তারা যে কেবল এক দৃষ্টিরেখায় আছে তা-ই নয়, ভৌতভাবে একে অন্যের সাথে সম্পর্কিতও থাকতে পারে। এ কারণেই যুগল তারা ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়।

নাক্ষত্রিক বর্ণালিবিক্ষণ বিজ্ঞানের উন্নয়ন ঘটান জোসেফ ফন ফ্রাউনহফার এবং অ্যাঞ্জেলো সেচি তারাসমূহের বর্ণালীর তুলনা করে তারা তাদের শক্তি এবং তাদের বর্ণালীতে উপস্থিত বিশোষণ রেখার সংখ্যায় পার্থক্য দেখতে পান। বিশোষণ রেখা বলতে নাক্ষত্রিক বর্ণালিতে উপস্থিত এমন সব কালো রেখাকে বোঝায়, তারাটির পরিবেশে আলোর নির্দিষ্ট কিছু কম্পাঙ্কের শোষণের কারণে যার সৃষ্টি হয়। ১৮৬৫ সালে Secchi তারাগুলোকে বর্ণালী ধরনে বিভক্ত করা শুরু করেন। অবশ্য নাক্ষত্রিক শ্রেণিবিভাগের আধুনিক সংস্করণটির উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন অ্যানি জে ক্যানন, বিংশ শতাব্দীতে।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুগল তারা নিয়ে গবেষণার গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ১৮৩৪ সালে ফ্রিডরিক বেসেল লুব্ধক তারার প্রকৃত গতিতে বিবর্তন লক্ষ করেন এবং এর একটি গুপ্ত সাথী রয়েছে বলে সিদ্ধান্তে আসেন।

পরিমাপের একক

অধিকাংশ নাক্ষরিক বৈশিষ্টসমূহ নিয়মানুসারে এসআই এককে প্রকাশ করা হয়।সি,জি,এস একক ও ব্যবহৃত হয় (যেমনঃ উজ্জ্বলতা একক আর্গ/সেকেন্ড)। ভর, উজ্জ্বলতা এবং ব্যাস সাধারণত সৌর এককে প্রকাশিত হয়।সূর্যের কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে দেওয়া হলঃ

    সৌর ভর: তারা  কেজি
    সৌর উজ্জ্বলতা: তারা  ওয়াট
    সৌর ব্যাসার্ধ: তারা  মিটার

বড় দৈর্ঘ্যের (যেমনঃ দৈত্যাকার তারার ব্যাসার্ধ বা দৈত্য নক্ষত্রব্যবস্থার অর্ধ-মুখ্য অক্ষ) পরিমাপে জ্যোতির্বিদ্যা-একক (AU) ব্যবহৃত হয় -যা প্রায় পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার গড় দূরত্বের সমান (১৫ কোটি কিলোমিটার বা ৯.৩ কোটি মাইল)।

বৈশিষ্টসমূহ

তারার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্টসমূহ যেমনঃ আকার, উজ্জ্বলতা‌, বিবর্তন, জীবনচক্র এবং সবশেষে তারার পরিনতি -এ সব কিছুই এর প্রাথমিক ভরের উপর নির্ভর করে।

বৃহত্তম তারকা

ইউ ওয়াই স্কিউটি (UY Scuti) মহাবিশ্বের বৃহত্তম তারকা। এটি আমাদের সূর্যের চেয়ে ১,০০০ গুণের চেয়েও বেশি প্রশস্ত। এটি একটি লাল মহাদানব (Red Supergiant)।

বয়স

অধিকাংশ তারার বয়স ১০০ কোটি থেকে ১০০০ কোটির মধ্যে। কিছু তারার বয়স ১৩,৭০ কোটির কাছাকাছি, যা আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বের বয়সের সমান।এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত পুরাতন তারা HE1523-0901 এর গননাকৃত বয়স ১,৩২০ কোটি বছর। তারার আকার যত বড় হয় এর আয়ূকাল ততই কমে যায়। কেননা, বৃহদকার তারার কেন্দ্রের চাপ বেশি থাকে এবং এই চাপের সমতার জন্য এর হাইড্রোজেন দ্রুত পুড়ে নিঃশেষ হয়। আধিকাংশ বৃহদকার তারার আয়ূকাল গড়ে প্রায় ১০ লক্ষ বছর হয়। আপেক্ষাকৃত কম ভরের তারার (যেমন লাল বামন নক্ষত্র) জ্বালানি ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয় এবং এদের আয়ূকাল ১,০০০ কোটি থেকে লক্ষ কোটি বছর হয়।

তারকার প্রকারভেদ

বিভিন্ন ধরনের তারকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে মেইন-সিকোয়েন্স তারকা। মহাবিশ্বে তারকাদের ৮০ ভাগই এই শ্রেণির। তারকাদের মধ্যে মূলত এরাই হাইড্রোজেন জ্বালিয়ে হিলিয়াম উৎপন্ন করে এবং একই সাথে তৈরি করে বিপুল পরিমাণ আলো ও তাপ। এই তারকাদের হাইড্রোজেন জ্বালানী ফুরিয়ে গেলে তখন এদের নাম হয় দানব নক্ষত্র। কারণ, তখন বিকিরণের চাপে এদের ব্যাসার্ধ বেড়ে যায়। আরো ৫ বিলিয়ন বছর পর আমাদের সূর্য এই দশায় পৌঁছবে। পরবর্তীতে ভরভেদে এরা নিউট্রন তারা, পালসার বা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দুটি তারকা তাদের সাধারণ ভরকেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে। এদেরকে বলা হয় বাইনারি তারকা। মহাবিশ্বে ৫০ ভাগ তারকাই এই শ্রেণির।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

  • Green, Paul J (২০০৫)। "Star"World Book Online Reference Center। World Book, Inc। ২০০৫-০৫-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০ 
  • Kaler, James। "Portraits of Stars and their Constellations"। University of Illinois। ২০০৮-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০ 
  • "Query star by identifier, coordinates or reference code"SIMBAD। Centre de Données astronomiques de Strasbourg। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০ 
  • "How To Decipher Classification Codes"। Astronomical Society of South Australia। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০ 
  • "Live Star Chart"। Dobsonian Telescope Community। ২০১২-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০  View the stars above your location
  • Prialnick, Dina; Wood, Kenneth; Bjorkman, Jon; Whitney, Barbara; Wolff, Michael; Gray, David; Mihalas, Dimitri (২০০১)। "Stars: Stellar Atmospheres, Structure, & Evolution"। University of St. Andrews। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২০ 

Tags:

তারা সংখ্যাভিত্তিক বা ব্যবস্থাভিত্তিক আট প্রকার(উদাহরণসহ)তারা ব্যুৎপত্তিতারা পর্যবেক্ষণের ইতিহাসতারা পরিমাপের এককতারা বৈশিষ্টসমূহতারা তারকার প্রকারভেদতারা আরও দেখুনতারা তথ্যসূত্রতারা আরও পড়ুনতারা বহিঃসংযোগতারাপ্লাজমা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সিরাজগঞ্জ জেলাঅস্ট্রেলিয়াজনি সিন্সআরবি ভাষাবেগম রোকেয়াফাতিমাপ্রথম বিশ্বযুদ্ধসিরাজউদ্দৌলাকাজলরেখামাযহাবমেয়েটাঙ্গাইল জেলাখন্দকের যুদ্ধইতিহাসডেঙ্গু জ্বররবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনভোটসিলেট বিভাগহার্নিয়ারাধাপ্লাস্টিক দূষণব্যবস্থাপনাআইজাক নিউটনডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসিদৈনিক ইনকিলাবসুনামগঞ্জ জেলারঙের তালিকাপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমথাইল্যান্ডময়মনসিংহবায়ুদূষণমালয়েশিয়াওজোন স্তরভারতের রাষ্ট্রপতিরাজস্থান রয়্যালসগাণিতিক প্রতীকের তালিকাপানিপথের প্রথম যুদ্ধআলিধরিত্রী দিবসভারতীয় সংসদকুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টবাংলার প্ৰাচীন জনপদসমূহজান্নাতুল ফেরদৌস পিয়াবাংলাদেশশেখ মুজিবুর রহমানফরাসি বিপ্লবপারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রসমূহের তালিকামীর মশাররফ হোসেনআব্বাসীয় খিলাফতধূমকেতুউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগম্যালেরিয়াভাইরাসদৈনিক প্রথম আলোআমাশয়কৃত্তিবাসী রামায়ণইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিপারমাণবিক ভরের ভিত্তিতে মৌলসমূহের তালিকাআনু মুহাম্মদদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাশুভমান গিলশিবসূরা ফালাকতাসনিয়া ফারিণনোরা ফাতেহিউত্তম কুমারমাওয়ালিবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহউসমান ইবন আফফানএল নিনোযৌন প্রবেশক্রিয়াপারমাণবিক অস্ত্রইহুদিবাইসনপ্রাক-ইসলামি আরবসবচেয়ে বেশি গোলকারী ফুটবলারের তালিকাইসলাম🡆 More