ঢুম্পা সঙ্গীত হল ভারতের ওড়িশার গঞ্জাম এবং নয়াগড় জেলার একটি লোক সঙ্গীত শিল্প । ঢুম্পা গানের নামটি এসেছে ঢুম্পা নাক বাদ্যযন্ত্র থেকে যা একপ্রকার বাঁশের ঘাতযন্ত্র এবং এটি ঢুম্পা নাচের সময় ব্যবহৃত হয়। ঐতিহ্যটি বর্তমানে হ্রাস পাচ্ছে এবং অনেকাংশেই বিলুপ্তির সম্মুখীন।
ঢুম্পার সৃষ্টির কৃতিত্ব কবিসুর্য বলদেব রথকে দেওয়া হয়, যিনি ওড়িশার গঞ্জাম জেলার ১৮ শতকের শেষের দিকে এবং ১৯ শতকের প্রথম দিকের ওড়িয়া সাহিত্যের কবি ছিলেন । গঞ্জাম জেলার গ্রামীণ এলাকায় এখনও ঢুম্পা গীত নামে পরিচিত।
ঢুম্পা নলাকার ফাঁপা বাঁশ দিয়ে গঠিত একটি বাদ্যযন্ত্র, যার দৈর্ঘ্য ছয় থেকে সাত ফুট, রঙিন জরিতে মোড়ানো এবং একটি লম্বা কাঠের প্লাইতে লাগানো। এটি একসাথে চারজন পর্যন্ত বাজাতে পারে। এটি ছন্দময় তাল তৈরি করার জন্য লাঠি দিয়ে বাজানো হয়।
ঢুম্পা সঙ্গীত পরিবেশনায় দশজন পর্যন্ত সঙ্গীতজ্ঞের দল থাকে যারা বিভিন্ন তাল বাদ্যযন্ত্র বাজায়, একজন প্রধান গায়ক, কোরাস গায়ক এবং একজন গোটিপুয়া নর্তকী। কিছু পরিবেশনায় প্রধান গানের সাথে হারমোনিয়াম, তবলা, বাঁশি, বীণা, মারদালা, থালি এবং নাগারা বাজানো হয়।
ওড়িশার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া সত্ত্বেও ঢুম্পা পরিবেশনা একটি বিরল ঘটনা হয়ে উঠেছে। কবিসুর্য এবং ঢুম্পা গীতের জন্মস্থান দিগপাহান্দিতে এখন মাত্র ৩০ থেকে ৪০ জন শিল্পচর্চাকারী বাস করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ওড়িশা এবং ভারত সরকার এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কলকাতার ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার 'গুরু-শিষ্য পরম্পরা' স্কিমের অধীনে ঢুম্পা সঙ্গীত প্রচার করছে। গুরু আদিত্য কুমার পাত্র, দিগপাহান্দি, গঞ্জাম এই শিল্পকলার উল্লেখযোগ্য সূচক।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ঢুম্পা সঙ্গীত, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.