ড্রাগন নৌকা

ড্রাগন নৌকা হল মানবচালিত এক ধরনের নৌযান, যা গণচীনের দক্ষিণাঞ্চলের কুয়াংতুং প্রদেশের পার্ল ব-দ্বীপের আবিষ্কৃত হয়েছিল। এই নৌকা নির্মাণে প্রধানত সেগুন কাঠ ব্যবহার করা হলেও চীনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভিন্ন ধরনের কাঠের ব্যবহার করা হয়। এশিয়া, আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ও পুয়ের্তো রিকোর বিভিন্ন লম্বা গড়নের ঐতিহ্যবাহী নৌযানের সাথে ড্রাগন নৌকার সাদৃশ্যতা পাওয়া যায়। ড্রাগন নৌকা বাইচ বা ড্রাগন বোট রেস অতি প্রাচীনকাল থেকে গ্রামবাসীদের মাঝে চলে আসা এক ধরনের রীতির মধ্যে পড়ে, যা ২০০০ বছর আগে দক্ষিণ চীন জুড়ে প্রচলিত ছিলো। এমনকি প্রাচীন গ্রীসে অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়া গেমসে এই নৌকা বাইচ অন্তর্ভুক্ত ছিলো। চীন এবং গ্রীস উভয় অঞ্চলেই ড্রাগন নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি সাম্প্রদায়িক উৎসব এবং ধর্মীয় ভাবমর্যাদার সাথে উদযাপিত হতো।

ড্রাগন নৌকা বাইচ
ড্রাগন নৌকা
সর্বোচ্চ ক্রীড়া পরিচালনা সংস্থাআন্তর্জাতিক ড্রাগন নৌকা ফেডারেশন
প্রথম উন্নতপ্রাচীন চীন
বৈশিষ্ট্যসমূহ
শারীরিক সংস্পর্শনা
দলের সদস্য২২ (প্রবিধান)
ধরননৌকাবাইচ
খেলার সরঞ্জামড্রাগন নৌকা, বৈঠা, ড্রাম
প্রচলন
দেশ বা অঞ্চলবিশ্বব্যাপী
অলিম্পিকনা

ইতিহাস

ড্রাগন নৌকা 
তাং রাজবংশের আমলে নির্মিত ড্রাগন নৌকা

ড্রাগন নৌকা বাইচের সমৃদ্ধশালী প্রাচীন ধর্মীয় ও রীতিনীতি রয়েছে। যার ফলে বর্তমানে সংঘটিত ড্রাগন নৌকা বাইচে সেই ঐতিহ্যের খুব কম অংশই প্রতিফলিত হয়। নৃতাত্ত্বিকদের মতে ২৫০০ বছর পূর্বে চীনের দক্ষিণে কেন্দ্রে (বর্তমান হংকং) বিদ্য়মান দোংতিং হ্রদে সর্বপ্রথম ড্রাগন নৌকাবাইচে পত্তন ঘটে। প্রায় একই সময়ে গ্রিসের প্রাচীন অলিম্পিয়া গেমসের সূচনা হয়েছিলো। সেই তখন থেকেই ড্রাগন নৌকাবাইচ বার্ষিক পানি নিয়মরীতি ও উৎসব পালনে সংঘটিত হয়ে আসছে। প্রাচীন চীনের কৃষি সমাজে উক্ত উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো।

ড্রাগন নৌকা 
তাং রাজবংশের আমলের শিল্পে ড্রাগন নৌকা বাইচ

দল

ড্রাগন নৌকা 
ফ্লোরিডার মায়ামিতে একটি ড্রাগন নৌকা দল প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একটি আদর্শ ড্রাগন নৌকায় সাধারণত ২২ জন সদস্য থাকে। এদের মধ্যে থেকে ২০ জন মাঝি জোড়া বেধে নৌকার গতিপথের দিকে মুখ করে বৈঠা চালায়। বাকি দুই সদস্যের মাঝে একজন ড্রাম বাদক এবং একজন দিক নির্দেশক। এই দুই ব্যক্তি চালকদের দিকে মুখ করে বসে। ড্রাগন নৌকা আকার ও আয়তনে বিভিন্ন হয়ে থাকে। ছোট আকারের ড্রাগন নৌকায় দশজন মাঝি এবং ঐতিহ্যবাহী বড় আকারের ড্রাগন নৌকায় ৫০ জনের মতো মাঝিও থাকতে পারে।

মাঝি

ড্রাগন নৌকায় জোড়া সংখ্যক মাঝি থাকে। নৌকা চালানোর জন্য তৈরি সাধারণ বৈঠা এই ধরনের নৌকার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় না। যেহেতু ড্রাগন নৌকায় মাঝিরা নৌকা যেদিকে যাচ্ছে সেদিকেই মুখ করে থাকে, তাই এই নৌকার মাঝিদের ভিন্ন ধরনের বৈঠার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ড্রাগন নৌকা ফেডারেশন কর্তৃক নির্ধারিত আদর্শ নকশা মেনে ড্রাগন নৌকার বৈঠা তৈরি করা হয়।

তথ্যসূত্র

Tags:

ড্রাগন নৌকা ইতিহাসড্রাগন নৌকা দলড্রাগন নৌকা তথ্যসূত্রড্রাগন নৌকাআফ্রিকাএশিয়াকাঠকুয়াংতুংগণচীননৌকা বাইচপার্ল ব-দ্বীপপুয়ের্তো রিকোপ্রশান্ত মহাসাগরপ্রাচীন গ্রিসসেগুন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

কাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিযোনিহানিফ সংকেতগাণিতিক প্রতীকের তালিকাবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদবাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিদের তালিকাকারকপর্তুগিজ ভারতবাংলাদেশ পুলিশক্লিওপেট্রাখুলনা বিভাগবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়প্রাকৃতিক সম্পদভোটমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনঢাকা জেলাবায়ুদূষণতাসনিয়া ফারিণআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসমাজটাইফয়েড জ্বরআলিফ লায়লাসংস্কৃতিপ্রথম ওরহানপানিইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগবঙ্গবন্ধু-২মেটা প্ল্যাটফর্মসমুহাম্মাদের সন্তানগণরশ্মিকা মন্দানামুঘল সম্রাটমহেন্দ্র সিং ধোনিগাঁজাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়অপু বিশ্বাসচট্টগ্রাম জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থানজাতীয় স্মৃতিসৌধজব্বারের বলীখেলারেজওয়ানা চৌধুরী বন্যানরেন্দ্র মোদীবাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসতীদাহজলাতংকচিরস্থায়ী বন্দোবস্তসন্ধিসালমান বিন আবদুল আজিজশুক্র গ্রহইশার নামাজইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিবাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিশ্ব দিবস তালিকাকোকা-কোলারামজাপানকনডমইন্সটাগ্রামবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সৌরজগৎবাংলা বাগধারার তালিকাভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাবিদীপ্তা চক্রবর্তীদ্বিতীয় মুরাদমানুষঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনভূমি পরিমাপজয়া আহসানবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাধর্মবাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসপলাশীর যুদ্ধউসমানীয় সাম্রাজ্যরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)নিউমোনিয়াহীরক রাজার দেশে🡆 More