চিতাবাঘ: স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

চিতাবাঘ (Panthera pardus) ফেলিডি গোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির শ্বাপদ। সাহারা-নিম্ন আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চমৎকার এ প্রাণীটি দেখা যায়। আবাসস্থল ধ্বংস, শিকারের অভাব আর চোরাশিকারের ফলে সারা দুনিয়ায় প্রজাতিটি আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। সে কারণে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা আইইউসিএন চিতাবাঘকে প্রায়-বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। হংকং, সিঙ্গাপুর, কুয়েত, সিরিয়া, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় চিতাবাঘ আজ আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত।বাংলাদেশে এটি বিলুপ্তি প্রায় প্রানী প্যানথেরা গণের মোট চারটি বড় বিড়ালের মধ্যে চিতাবাঘই সবচেয়ে ছোট; অন্য তিনটি হল বাঘ, সিংহ ও জাগুয়ার।।

চিতাবাঘ
সময়গত পরিসীমা: Early Pleistocene – Present
কা
পা
ক্রি
প্যা
চিতাবাঘ: বর্ণনা, তথ্যসূত্র, আরও দেখুন
Male African leopard in Maasai Mara National Reserve, Kenya
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন্যপায়ী
বর্গ: শ্বাপদ বর্গ
পরিবার: ফেলিডি
গণ: প্যানথেরা
প্রজাতি: প্যা.পার্ডাস
Subspecies
  • আফ্রিকান চিতাবাঘ
  • ভারতীয় চিতাবাঘ
  • জাভা চিতাবাঘ
চিতাবাঘ: বর্ণনা, তথ্যসূত্র, আরও দেখুন
Present and historical distribution of the leopard
চিতাবাঘ: বর্ণনা, তথ্যসূত্র, আরও দেখুন
চিতাবাঘ - গীর জাতীয় উদ্যান এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ভারত
চিতাবাঘ: বর্ণনা, তথ্যসূত্র, আরও দেখুন
পায়ের ছাপ, জয়ন্তী, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প, ভারত

বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

বর্ণনা

বৃহদাকার ও বলিষ্ঠ এই বিড়াল জাতীয় প্রাণিটির দেহ সরু, লেজ দীঘল এবং পদচতুষ্টয় হ্রস্বাকৃতির হয়ে থাকে। মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ১৬০ সেন্টিমিটার ও লেজ ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুরুষ চিতাবাঘের শরীর মাদী চিতাবাঘের তুলনায় বৃহদাকার। মাদী চিতাবাঘের ওজন ১৭ থেকে ৫৮ কিলোগ্রাম এবং পুরুষ চিতাবাঘের ওজন ৩১ থেকে ৬৫ কিলোগ্রাম অবধি পাওয়া গেছে। চিতাবাঘের কান গোলাকৃতি। কানের পশ্চাৎদেশ কৃষ্ণাভ যাতে সাদা ছোপ রয়েছে। মস্তক তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রকার, উত্তল। পিষ্ঠদেশ খাটো, কোমল। এর লোম মসৃণ, খাটো। রঙ স্বর্ণাভ থেকে পিঙ্গল কিংবা কমলা-তামাটে হয়ে থাকে। দেহপার্শ্বের তুলনায় পশ্চাৎদেশ কিছুটা কালচে। সারা শরীরে কালো ছোপ থাকায় একে চিত্রল দেখায়। দেহতল এবং পদদেশ সাদাটে। চিতাবাঘের গাত্রবর্ণে কালচে ভাব থাকলেও অধিকাংশ এলাকা বাদামী।

চিতাবাঘের বৈজ্ঞানিক নাম Panthera pardus (Linnaeus, 1758) আর চিতার বৈজ্ঞানিক নাম Acinonyx jubatus (Schreber, 1775)। ব্যতিক্রম প্রজাতি ছাড়াও দু’টি প্রাণীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টগত পার্থক্য হচ্ছে চিতার গায়ে কালো ছোপ থাকে, আর চিতাবাঘের গায়ে কালো ছোপ থাকলেও তা অনেকটা বলায়াকৃতির। অধিকন্তু চিতা রোগা ও লম্বাটে আর চিতাবাঘ বাঘের ন্যায় তুলনামূলকভাবে মোটাসোটা শরীরের।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

  1. সিংহ
  2. বাঘ
  3. বিড়াল

বহি:সংযোগ

Tags:

চিতাবাঘ বর্ণনাচিতাবাঘ তথ্যসূত্রচিতাবাঘ আরও দেখুনচিতাবাঘ বহি:সংযোগচিতাবাঘ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

জনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাপশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালদের তালিকাপ্রস্তর যুগবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহপেপসিপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)আমমুজিবনগরবীর শ্রেষ্ঠরাজনীতিস্মার্ট বাংলাদেশসংযুক্ত আরব আমিরাতশ্বেতকণিকাবাংলাদেশ রেলওয়েফরিদপুর জেলাহানিফ সংকেতমাওবাদসৌদি রিয়ালব্যাকটেরিয়াবিদ্রোহী (কবিতা)দৈনিক যুগান্তরবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভূমি পরিমাপকালোজিরাসালাহুদ্দিন আইয়ুবিদ্বিতীয় মুরাদনীল বিদ্রোহসঙ্গম সাহিত্যবিড়ালআডলফ হিটলারপারমাণবিক শক্তিধর দেশের তালিকাসিলেটযোনি পিচ্ছিলকারকসাহাবিদের তালিকাচুয়াডাঙ্গা জেলাবাংলার প্ৰাচীন জনপদসমূহস্পিন (পদার্থবিজ্ঞান)ইউরোব্র্যাকইউসুফগ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডবাংলাদেশের উপজেলাসরস্বতী (দেবী)চিকিৎসকওয়েব ধারাবাহিকবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকাহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দররক্তদশাবতারইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনটুইটারযিনাইন্দোনেশিয়াহিজড়াআল-আকসা মসজিদমানুষনরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রক্রিকেটস্ক্যাবিসগেরিনা ফ্রি ফায়ারলক্ষ্মীবাংলা লিপিমেঘনাদবধ কাব্যমাশাআল্লাহরাজশাহীরামপথের পাঁচালীপাবনা জেলানারায়ণগঞ্জ জেলাবঙ্গাব্দজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)বাংলাদেশের নদীর তালিকাগজল🡆 More