কলেরা

কলেরা ভিব্রিও কলেরা (Vibrio cholerae) নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ক্ষুদ্রান্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ। এ ব্যাধি উপসর্গবিহীন অথবা মৃদু অথবা মারাত্মক হতে পারে। কলেরার প্রধান উপসর্গ হল ঘনঘন চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা। এছাড়াও থাকতে পারে পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দুর্বলতা এবং চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকলে শেষপর্যন্ত পানিশূন্যতার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে।

কলেরা
প্রতিশব্দAsiatic cholera, epidemic cholera
বিশেষত্বসংক্রামক রোগ, জরুরী চিকিৎসাবিজ্ঞান উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
জটিলতাপানিশূন্যতা, দেহের খনিজ অসমতা
রোগের সূত্রপাতউদঘাটনের ২ ঘন্টা থেকে ৫ দিন পর
স্থিতিকালকয়েক দিন
কারণভিব্রিও কলেরি মল-মৌখিক পথে ছড়ায়
ঝুঁকির কারণদুর্বল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব, দারিদ্র্য
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিমল পরীক্ষা
প্রতিরোধউন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি, হাত ধোয়া, কলেরা টিকাদান
চিকিৎসামৌখিক পুনরুদন থেরাপি, জিঙ্ক পরিপূরক ঔষধ, শিরায় থেরাপি, অ্যান্টিবায়োটিক
সংঘটনের হারবছরে ৩–৫  মিলিয়ন মানুষ
মৃতের সংখ্যা২৮,৮০০ (২০১৫)

কলেরা একটি Vibrio cholerae-র কয়েকটি সেরোটাইপ দিয়ে হতে পারে। এদের মধ্যে কিছু সেরোটাইপ অন্যগুলোর চেয়ে বেশি মারাত্মক রোগ ঘটাতে পারে। শুধু ও১ (O1) এবং ও১৩৯ (O139) সেরোগ্রুপ কলেরা মহামারী ও অতিমারী ঘটায়। মানব শরীরে সংক্রমণের প্রধান বাহক দূষিত পানি অথবা দূষিত খাদ্য।

রোগের কারণসমূহ

সাধারণত আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। সাধারত পয়ঃপ্রণালীর সুষ্ঠু ব্যবস্থার অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মল, খাবার ও পানির সংস্পর্শে এসে খাবার ও পানিকে দূষিত করে। পরবর্তীতে উক্ত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে কলেরার জীবাণু সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করে আক্রান্ত করে। সাধারণত যে কোন পরিবেশেই কলেরার জীবাণু দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।

উপসর্গ-লক্ষণ

কলেরার সংক্রমণ প্রায়ই মৃদু বা উপসর্গহীন হয়ে থাকে। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে এটি গুরুতর হতে পারে। ভিব্রিও কলেরা দ্বারা দূষিত খাবার পানি অথবা দূষিত খাদ্য গ্রহণের পর বার ঘণ্টা থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কলেরার লক্ষণ প্রকাশ পায়।

গুরুতরভাবে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে যা দেখা যায়:

  • ঘনঘন চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা
  • বমি
  • পায়ের শিরটান
  • শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে পানিশূন্যতা ও শক দেখা দিতে পারে।

রোগ প্রক্রিয়া

ভিব্রিও কলেরা কলেরা টক্সিন নামের এন্টেরোটক্সিন তৈরি করে যার বিষক্রিয়ায় ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরের আবরণী কলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরাইড ও জল চোঁয়াতে থাকে যা চাল ধোয়া পানির মত পাতলা পায়খানা গঠন করে। জোরালো সংক্রমণ ও টক্সিনের বিষক্রিয়া হলে কলেরার প্রাণঘাতী ক্রিয়ায় ১ ঘণ্টায় একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে ও ২-৩ ঘণ্টায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মাঝারি মাপের সংক্রমণে ৪-১২ ঘণ্টায় শক (অর্থাৎ নিম্ন রক্ত চাপ ইত্যাদি কারণে দেহের সমস্ত অংশে রক্ত সরবরাহের অভাব) এবং পরবর্তী দেড় দিন বা কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।

আক্রমণ সম্ভাবনা

কলেরা 
বিশ্বে কলেরার প্রাদুর্ভাবপূর্ণ এলাকা (লাল রঙে চিহ্নিত)

কলেরা টীকা

কলেরা টীকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

কলেরা রোগের কারণসমূহকলেরা উপসর্গ-লক্ষণকলেরা রোগ প্রক্রিয়াকলেরা আক্রমণ সম্ভাবনাকলেরা টীকাকলেরা তথ্যসূত্রকলেরা বহিঃসংযোগকলেরাক্ষুদ্রান্ত্রব্যাকটেরিয়াভিব্রিও কলেরাসংক্রামক রোগ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ইসরায়েলফিজিশবনম বুবলিবাংলাদেশ বিমান বাহিনীলহমা ভট্টাচার্যজাকির নায়েকঅপারেশন সার্চলাইটবায়ুদূষণমুকেশ আম্বানিরাজশাহীফ্রান্সের ষোড়শ লুইবাংলার শক্তিপীঠের তালিকাবাংলাদেশের সংস্কৃতিবাংলা স্বরবর্ণইউনিলিভারকালুরঘাট বেতার কেন্দ্রবাংলাদেশের সরকারি ছুটির দিনযোহরের নামাজবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়বিজয় দিবস (বাংলাদেশ)বাংলাদেশ আওয়ামী লীগবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমসূরা নাসবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রহোমিওপ্যাথিনিউমোনিয়াশবে কদরসুফিবাদজন্ডিসসালোকসংশ্লেষণফেসবুকশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসইতিহাসঅতি উত্তমবসন্ত উৎসবঋতুচিয়া বীজসোভিয়েত ইউনিয়নআমার দেখা নয়াচীনবিশেষ্যমসজিদে কুবাতক্ষকস্মার্ট বাংলাদেশপুরুষে পুরুষে যৌনতাজাতীয় পতাকা দিবসজাপানভিয়েতনাম যুদ্ধবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধমৌলিক পদার্থের তালিকাদারুল উলুম দেওবন্দইউরোপজয়নুল আবেদিনশাকিব খানলালবাগের কেল্লারাশিয়াহিন্দি ভাষাআবদুর রহমান আস-সুদাইস১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহপহেলা বৈশাখপাবনা জেলাবাংলার নবজাগরণইন্সটাগ্রামফাতিমাসন্ধিমৌলিক পদার্থশিয়া ইসলামনিউটনের গতিসূত্রসমূহ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপউজবেকিস্তানস্বাধীনতাময়মনসিংহখেজুরইউরোপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরজিয়াউর রহমানদর্শনদৈনিক যুগান্তরবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকা🡆 More