ওলফ পালমে

ভেন ওলফ জোয়াচিম পালমে (সুইডীয়: ⓘ; জন্ম: ৩০ জানুয়ারি, ১৯২৭ - মৃত্যু: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬) সুইডেনে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত ১৯৬৯-১৯৮৬ সময়কালে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ছিলেন। এছাড়াও, ১৯৬৯-১৯৭৬ সাল এবং ১৯৮২-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

ওলফ পালমে
ওলফ পালমে
প্রধানমন্ত্রী প্লেম অফিসিয়াল পালমে
সুইডেনের ২৬তম প্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৪ অক্টোবর, ১৯৬৯ – ৮ অক্টোবর, ১৯৭৬
(৬ বছর, ৩৬০ দিন)
সার্বভৌম শাসকগুস্তাফ ষষ্ঠ এডল্ফ
কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ
পূর্বসূরীতাগে আর্লেন্ডার
উত্তরসূরীথর্বজর্ন ফলদিন
কাজের মেয়াদ
৮ অক্টোবর, ১৯৮২ – ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬
(৩ বছর, ১৪৩ দিন)
সার্বভৌম শাসককার্ল ষোড়শ গুস্তাফ
ডেপুটিইংভার কার্লসন
পূর্বসূরীথর্বজর্ন ফলদিন
উত্তরসূরীইংভার কার্লসন
বিরোধী দলীয় নেতা
কাজের মেয়াদ
৮ অক্টোবর, ১৯৭৬ – ৮ অক্টোবর, ১৯৮২
(৬ বছর, ০ দিন)
প্রধানমন্ত্রীথর্বজর্ন ফলদিন
ওলা আলস্টেন
থর্বজর্ন ফলদিন
পূর্বসূরীথর্বজর্ন ফলদিন
উত্তরসূরীউল্ফ আদেলসন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মভেন ওলফ জোয়াচিম পালমে
(১৯২৭-০১-৩০)৩০ জানুয়ারি ১৯২৭
স্টকহোম, সুইডেন
মৃত্যু২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬(1986-02-28) (বয়স ৫৯)
স্টকহোম, সুইডেন
রাজনৈতিক দলসুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটি পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীলিসবেট পালমে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীস্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়,
কেনিয়ন কলেজ
স্বাক্ষরওলফ পালমে

প্রারম্ভিক জীবন

স্টকহোমের অস্টারমামের রক্ষণশীল উচ্চবিত্ত শ্রেণীর পরিবারে ওলফ পালমে জন্মগ্রহণ করেন। ডাচ বংশোদ্ভূত বাবা পেশায় ব্যবসায়ী এবং মা ফ্রিন ভন নাইরিম বাল্টিক জার্মান ছিলেন। ১৯১৫ সালে উদ্বাস্তু হিসেবে সুইডেনে বসবাস করতে শুরু করেন। প্রপিতামহ আলেকজান্ডার ভন নাইরিম রুশ সাম্রাজ্যের সিনেটের অ্যাটর্নি জেনারেল, সিনেটর এবং সদস্য ছিলেন। ছয় বছর বয়সে বাবা মারা যান। উচ্চবিত্ত শ্রেণীতে বসবাস করা স্বত্ত্বেও সোশ্যাল ডেমোক্র্যাসিতে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণা গড়ে উঠে। তিনি তৃতীয় বিশ্বে ভ্রমণ করতেন। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অসমতা, জাতিগত বিদ্বেষও তাকে প্রভাবিত করেছিল।

রাজনৈতিক জীবন

তিনি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী তাগে আর্লেন্ডার প্রশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অবস্থান নিয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের পরাজয়ে মনে করা হয়েছিল যে তাদের ৪০ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার দিন বুঝি চীরতরে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ১৯৬০-এর দশক থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অভিষিক্ত পালমে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক - উভয় পর্যায়ে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮২ ও ১৯৮৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে তিনি পুনরায় সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীত্বে আসীন হন।

ইরান-ইরাক যুদ্ধে জাতিসংঘের বিশেষ মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত হন। জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনে তিনি সমর্থন যোগান। ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হতে তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল। এছাড়াও, অগণতান্ত্রিক এবং সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার বিরোধী আন্দোলনে অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দেন।

পালমে ধারাবাহিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রবল সমালোচক ছিলেন। সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি। স্পেনের ফ্রান্সিস্কো ফ্রাঙ্কো, চেকোস্লোভাকিয়ার গুস্তাভ হুসাক, দক্ষিণ আফ্রিকার বি জে ভরস্টার ও পি ডব্লিউ বোথা সরকারেরও সমালোচনা করতেন।

দেহাবসান

২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার পথে স্টকহোমে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাতে রাস্তায় নিহত হন তিনি। তৃতীয় গুস্তাভের পর জাতীয় পর্যায়ের নেতার মৃত্যুটি ছিল আধুনিক সুইডেনের ইতিহাসে প্রথম। পালমের মৃত্যুর বিষয়টি স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোয় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। হত্যাকারীকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি কিংবা ব্যবহৃত বন্দুকও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুইডিশ পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি বেশ রহস্যময় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে আটক করেছে।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
গোস্তা স্কগলান্ড
যোগাযোগ মন্ত্রী
১৯৬৫-১৯৬৭
উত্তরসূরী
স্ভান্তে লান্ডকভিস্ত
পূর্বসূরী
র‌্যাগনার এডেনম্যান
শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রী
১৯৬৭-১৯৬৯
উত্তরসূরী
ইংভার কার্লসন
পূর্বসূরী
তাগে আর্লেন্ডার
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী
১৯৬৯-১৯৭৬
উত্তরসূরী
থর্বজর্ন ফলদিন
সুইডিশ সোশ্যাল ডেমোক্র্যামিট পার্টির নেতা
১৯৬৯-১৯৮৬
উত্তরসূরী
ইংভার কার্লসন
পূর্বসূরী
থর্বজর্ন ফলদিন
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী
১৯৮২-১৯৮৬

টেমপ্লেট:Swedish Social Democratic Party

Tags:

ওলফ পালমে প্রারম্ভিক জীবনওলফ পালমে রাজনৈতিক জীবনওলফ পালমে দেহাবসানওলফ পালমে তথ্যসূত্রওলফ পালমে আরও দেখুনওলফ পালমে বহিঃসংযোগওলফ পালমেচিত্র:Sv-Olof Palme.oggপ্রধানমন্ত্রীরাজনীতিবিদসুইডীয় ভাষাসুইডেন২৮ ফেব্রুয়ারি৩০ জানুয়ারি

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

রাম মন্দির, অযোধ্যাবঙ্গাব্দজিয়াউর রহমানবাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকাওয়ালাইকুমুস-সালামবেলি ফুলব্রিটিশ রাজের ইতিহাসকুরআনকোষ বিভাজন২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপলালসালু (উপন্যাস)সালাহুদ্দিন আইয়ুবিজসীম উদ্‌দীনসংস্কৃতিলিওনেল মেসিশ্রীকৃষ্ণকীর্তনসুনামগঞ্জ জেলাগঙ্গা নদী২০২৪ ইসরায়েলে ইরানি হামলাএকাদশীচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়মঙ্গলকাব্যশ্রাদ্ধসেভেন আপ৬৯ (যৌনাসন)ই-মেইলপান (পাতা)পূবালী ব্যাংক পিএলসিনিমহিমেল আশরাফফুলকুরআনের ইতিহাসইরাক–ইরান যুদ্ধস্বপ্ন যাবে বাড়িডিপজলমুহাম্মাদ ফাতিহঅর্থনীতিরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপদ্মা সেতুরামমোহন রায়নামাজবাংলাদেশ ছাত্রলীগমিশনারি আসনদৈনিক ইনকিলাববায়ুদূষণকৃষ্ণমৃণাল ঠাকুরঝড়সাইপ্রাসজামালপুর জেলাবাংলাদেশের ভূগোলফাতিমাসুকান্ত ভট্টাচার্যরামায়ণনোরা ফাতেহিইউটিউববৈসাবি উৎসব১৭ এপ্রিলবাংলাদেশের বিমানবন্দরের তালিকাপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমব্রহ্মপুত্র নদজাতীয় স্মৃতিসৌধনকশীকাঁথা এক্সপ্রেসপশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকাতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়বিড়ালসত্যজিৎ রায়মুহাম্মাদভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাপরীমনিজান্নাতপর্যায় সারণিনরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামআখড়াই গানটাইটানিকবাংলাদেশের কোম্পানির তালিকা🡆 More