ওড়িশা নামটি দ্বারা ভারতবর্ষের একটি রাজ্যকে বোঝায়। ইতিহাসে বিভিন্ন সময় এই রাজ্যটি ও রাজ্যের অংশগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। অঞ্চলটির সীমান্তও অতীতে বহুবার বদলেছে।
ওড়িশায় মানব ইতিহাসের শুরু ধরা হয় পূর্ব পুরাপ্রস্তর যুগে, কারণ সেই যুগের কিছু অ্যাকিউলীয় অস্ত্র ওড়িশার কিছু কিছু অঞ্চলে পাওয়া গেছে। ওড়িশার প্রাচীন ইতিহাসের কথা মহাভারত, মহা গোবিন্দ সূত্র ও কিছু পুরাণে পাওয়া গেছে। ২৬১ খ্রিস্টাব্দে মৌর্য বংশের সম্রাট অশোক কুখ্যাত কলিঙ্গের যুদ্ধে, যা অধুনা ভুবনেশ্বরের কাছে দয়া নদীর ধারে লড়া হয়েছিল, অঞ্চলটি দখল করেন। কিন্তু যুদ্ধটির ফলে অসংখ্য প্রাণনাশ ও রক্তক্ষয় অশোকের ওপরে গভীর প্রভাব ফেলে, ও তিনি শান্তিবাদী হয়ে যান। একটি জনপ্রিয় মতে ও কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে এর পরেই তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ও ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে মন দেন।
এই অঞ্চলটি সম্পর্কে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বহু রাজ্যও অবহিত ছিল, মূলত নৌবাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে।
১৫৬৮ খ্রিস্টাব্দ অঞ্চলটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল ধরা হয়। ১৫৬৮ সালে আইকনোক্লাস্ট কালাপাহাড়ের নেতৃত্বে শাহী বাংলার সৈন্যদল অঞ্চলটি দখল করে। ওড়িশা তার রাজনৈতিক পরিচয় ও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। ১৭৫১ সালের পরে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে অঞ্চলটি মারাঠাদের দখলে থাকে। ১৮০৩ থেকে ওড়িশা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দখলে থাকে। ১৮৩৬ সালে ওড়িয়া-ভাষী জেলাগুলি নিয়ে ওড়িশা প্রদেশটি তৈরি করা হয়।
অধুনা ওড়িশার অন্তর্গত অঞ্চলগুলি ইতিহাস জুড়ে একই নামে পরিচিত ছিল না। অঞ্চলটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত ছিল।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ওড়িশার ইতিহাস, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.